কুবি শিক্ষার্থী ও তার মাকে পাশাপাশি দাফন
Published: 8th, September 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিনা বেগমের জানাজা শেষে পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাদ মাগরিব নিজ গ্রাম কুমিল্লার সুজানগরের সুন্নিয়া জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে পৃথক দুটি জানাজা এবং পরে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
কুবি শিক্ষার্থী ও তার মা নিহতের ঘটনায় মামলা
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের অভিজ্ঞতা জানালেন যবিপ্রবির স্নাতক পাস শিক্ষার্থীরা
প্রথমে মায়ের জানাজা নামাজের ইমাম ছিলেন হাফেজ কাউসার এবং সুমাইয়ার জানাজা নামাজের ইমাম ছিলেন সুজানগর সুন্নিয়া জামে মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ ফজলুল করিম।
এ সময় বক্তব্য দেন কুমিল্লা মহানগরের জামায়াতে আমির কাজী দ্বীন মোহাম্মদ। তিনি বলেন, “প্রশাসনের আরো জোরালো ভূমিকা পালন করতে হবে। অনেকগুলো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যাবে বিচার হবে না, তা হতে পারে না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”
সুমাইয়া আফরিনের বড় ভাই মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ফয়সাল বলেন, “গত অক্টোবরে আমার বাবা মারা গেছেন। আজকে এখানে আমার মা এবং একমাত্র বোনের লাশ নিয়ে আমি দাঁড়িয়ে আছি। যার বাবা-মা মারা যায় তারাই বুঝে এই দুঃখ। আমার মা যদি আপনাদের কারো সঙ্গে কখনো খারাপ ব্যবহার করে থাকেন, আমি তার ছেলে হিসেবে ক্ষমা চাচ্ছি।”
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কুমিল্লা নগরীর কালিয়াজুরীতে নিজ বাসা থেকে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আফরিন ও তার মা তাহমিন বেগমের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’