তনুশ্রীর প্রশ্ন ‘আপনারা কী পরীমনির জন্য প্রস্তুত?’
Published: 9th, September 2025 GMT
আলো-আঁধারিতে ঘেরা একটি পোস্টার, তাতে লেখা ‘পরীমনি’। পোস্টারে দেখা যাচ্ছে একটি শিশু পেছন ফিরে তাকিয়ে আছে। এই পোস্টার ঘিরে শুরু হয়েছে আলোচনা।
পোস্টারটি মূলত টলিউডের একটি সিনেমার। ‘পরীমনি’ সিনেমার পোস্টারটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী লিখেছেন, ‘আপনারা কি পরীমনির জন্য তৈরি?’। তার এই পোস্টের পরই মন্তব্যের ঘরে অনেকে জানতে চান, ‘‘এটা কি ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী পরীমনির বায়োপিক?’’
আদতে তা নয়। এই সিনেমাটি পরিচালনা করছেন সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী ও সৌভিক দে। অতিপ্রাকৃতিক গল্পের আবহে সমাজের অন্তর্নিহিত কিছু বাস্তবতা তুলে ধরা হয়েছে সিনেমাটিতে। সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রের নাম ‘পরি’। যে একজন কিশোরী।
এর আগের সংবাদ প্রতিদিনকে সিনেমাটি নিয়ে পরিচালক সৌভিক দে বলেন, ‘প্রথমে পরীমনি ছিল শুধুই একটি হরর কনসেপ্ট। পরে কাজ করতে করতে বুঝলাম, এটি শুধু ভয় নয়; বরং সমাজেরই প্রতিচ্ছবি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের নিচে অনেক সময় এমন সব ভয় লুকিয়ে থাকে, অনেক সময় আমরা বুঝতেও পারি না। আমরা চাই এই সিনেমার মাধ্যমে সেই অতিপ্রাকৃতিক আবরণ ভেদ করে সমাজের সত্যগুলো তুলে ধরতে।’
তনুশ্রী চক্রবর্তী সিনেমাটিতে ‘পরি’র মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এ ছাড়া রয়েছেন রজতাভ দত্ত, দেবরাজ ভট্টাচার্য, প্রজ্ঞা গোস্বামীসহ একঝাঁক শিল্পী। সিনেমাটি চলতি বছরের দেওয়ালি উৎসবে মুক্তি পাবে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’