বন্দর প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক  মহিউদ্দিন সিদ্দিকী মোটরসাইকেল চুরি ঘটনায় ২ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো পুরান বন্দর চৌধুরী বাড়ি এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে রিফাত (২৪) ও বন্দর র‌্যালী আবাসিক এলাকার রানা মিয়ার ছেলে সোহান (২০)।

গ্রেপ্তারকৃতদের বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বন্দর থানার দায়েরকৃত ২(৯)২৫ নং মামলায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর)  রাতে বন্দর থানার ২৩ নং ওয়ার্ডের বন্দর খানবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

এর আগে  গত সোমবার (২৫ আগস্ট)  বিকেলে  বন্দর  খানবাড়ি মোড়স্থ তার  নিজ বাড়ির গেটের সামনে থেকে ওই মোটরসাইকেলটি চুরি ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, সাংবাদিক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী পেশাগত কাজ শেষে করে বন্দর খানাবাড়িমোড়স্থ তার  নিজ বাড়ির গেটের সামনে মোটরসাইকেলটি রেখে তার ফ্লাটে যায়। ওই সময় উৎপেতে থাকা চোরের দল কৌশলে উল্লেখিত বাড়িতে অনাধিকার  প্রবেশ করে সাংবাদিকের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি চুরি করে নিয়ে যায়। 

এ রির্পোট লেখা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চুরি ঘটনায় পুলিশ  ২ চোরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করতে সক্ষম হলেও চোরাইকৃত মোটরসাইকেলটি উদ্ধারের সংবাদ জানাতে পারেনি পুলিশ। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ