এশিয়া কাপ-২০২৫ এ ভারত–পাকিস্তান মহারণকে ঘিরে আগ্রহ আকাশছোঁয়া হলেও টিকিট বিক্রি নিয়ে চলছে বিতর্ক। আগামী রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে নামবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী। কিন্তু টিকিট বিক্রির চিত্র নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

টিকিট বিক্রিতে ধীরগতি?
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়েছে, ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের প্রায় অর্ধেক আসন এখনো খালি। সমর্থকদের আকর্ষণ করতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এএসসি) নাকি টিকিটের দামও কমিয়েছে। সাধারণ আসনের দাম ৪৭৫ দিরহাম থেকে নামিয়ে করা হয়েছে ৩৫০ দিরহাম।

আরো পড়ুন:

ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি: টি-টোয়েন্টিতে কারা এগিয়ে?

পাকিস্তানকে মোদি: রক্ত আর জল একসঙ্গে বইতে পারে না

ইসিবির জোরালো প্রতিবাদ:
তবে এই খবরকে একেবারেই উড়িয়ে দিয়েছে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। টাইমস অব ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানিয়েছে, “টিকিট বিক্রি নিয়ে যে গুঞ্জন চলছে, তার কোনো সত্যতা নেই। বরং পরিস্থিতি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক।”

ইসিবির দাবি, বুধবার রাতে প্লাটিনাম লিস্ট নামের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ৩ হাজার টিকিট ছাড়ার পর কয়েক মিনিটের মধ্যেই সব বিক্রি হয়ে যায়। একই রাতে আরও ৩ হাজার টিকিট ছাড়লে সেগুলোও মুহূর্তের মধ্যেই শেষ হয়ে যায়। তাদের মতে, এতে স্পষ্ট বোঝা যায় ম্যাচটিকে ঘিরে ভক্তদের আগ্রহ কমেনি বরং আরও বেড়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তর্ক-বিতর্ক:
এর আগে এ বছরই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দুবাইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত–পাকিস্তান। তখন চার মিনিটেরও কম সময়ে সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছিল। এবার অবশ্য চিত্র কিছুটা ভিন্ন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ, এমনকি সাবেক ক্রিকেটাররাও, এই ম্যাচকে বয়কট করার আহ্বান জানিয়েছেন। ফলে উত্তেজনার পাশাপাশি একধরনের বিভক্তির আবহও তৈরি হয়েছে।

দুবাইয়ের দিকে নজর:
সবকিছু ছাপিয়ে এখন দৃষ্টি দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। ক্রিকেটের অন্যতম সেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা আবারো নতুন রূপে হাজির হতে যাচ্ছে।

ভারত ইতিমধ্যেই টুর্নামেন্টে দারুণ শুরু করেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৯ উইকেটে হারিয়ে। অন্যদিকে পাকিস্তান আগামী আজ শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে মুখোমুখি হবে ওমানের।

কিন্তু, রোববারের মহারণে মাঠভরা দর্শক দেখা যাবে কি না, তা নিয়েই এখন সবার কৌতূহল।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ