মার্সেল বিজনেস পার্টনারদের এসি ফ্যাক্টরি পরিদর্শন
Published: 15th, September 2025 GMT
‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত মার্সেল পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ ও দেশে উৎপাদিত প্রযুক্তি পণ্যের বিষয়ে বাস্তব জ্ঞান লাভ করতে জনপ্রিয় দেশিয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড মার্সেলের অর্ধশতাধিক বিজনেস পার্টনার গাজীপুরে মার্সেলের এয়ার কন্ডিশনার ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করেছেন।
সম্প্রতি গাজীপুরের চন্দ্রায় মার্সেল হেডকোয়ার্টার্সে এসির ফ্যাক্টরি পরিদর্শন আসেন সারা দেশের অর্ধশতাধিক বিজনেস পার্টনার। সকালে অতিথিরা মার্সেল হেডকোয়ার্টার্সে পৌঁছালে প্রশাসনিক বিভাগের কর্মকর্তারা তাদেরকে স্বাগত জানান।
হেডকোয়ার্টার্স প্রাঙ্গণে পৌঁছে অতিথিরা প্রথমে মার্সেলের বিশাল কর্মযজ্ঞের উপর নির্মিত ভিডিও ডক্যুমেন্টারি উপভোগ করেন। পরে তারা সুসজ্জিত প্রোডাক্ট ডিসপ্লে সেন্টার ঘুরে দেখেন। এরপর তারা মার্সেলের বিশ্বমানের এয়ার কন্ডিশনার উৎপাদন ইউনিট সরেজমিনে ঘুরে দেখেন। ঘুরে দেখেন মার্সেলের বিস্তৃত হেডকোয়ার্টার্স প্রাঙ্গণ।
পরিদর্শন শেষে মার্সেলের বিজনেস পার্টনারগণ একটি ট্রেইনিং সেশনে অংশ নেন। যেখানে এসি সার্ভিসিং, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, গ্রাহকসেবার উন্নয়ন, নিরাপত্তা বিধি ও পেশাদার আচরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। মার্সেলের রিসার্চ এন্ড ইনোভেশন বিভাগের বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণকারী বিজনেস পার্টনারদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি, দ্রুত ও মানসম্মত গ্রাহকসেবা নিশ্চিত করার কৌশল বুঝিয়ে দেন। পাশাপাশি বিজনেস পার্টনারগণ মার্সেল এসি সম্পর্কে তাদের বিভিন্ন মতামত প্রদান করেন।
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মার্সেলের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো.
সিবিও তানভীর রহমান বলেন, “দেশেই বিশ্বামানের এসি উৎপাদন করছে মার্সেল। দেশের এসির বাজারে অন্যতম শীর্ষ ব্র্যান্ড মার্সেল এসি। রেসিডেনসিয়াল এসির পাশাপাশি লাইট কমর্শিয়াল এবং কমার্শিয়াল এসি উৎপাদনেও শীর্ষ প্রতিষ্ঠানটি। মার্সেল এসির বিশেষত্ব হলো ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তিসহ বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের ব্যবহার, আন্তর্জাতিকমানসম্পন্ন, সর্বোচ্চ পরিবেশবান্ধব, টেকসই ও দীর্ঘস্থায়িত্ব, দামে সাশ্রয়ী, অসংখ্য মডেল ও রুচিশীল ডিজাইন এবং দেশব্যাপী বিস্তৃত সর্বোচ্চ সংখ্যক সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে দ্রুত বিক্রয়োত্তর সেবা নিশ্চয়তা। এসিতে ব্যবহৃত হচ্ছে বিশ্ব স্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর-২৯০ এবং আর-৩২ গ্যাস। দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিভিন্ন দেশে মার্সেল এসি রপ্তানি হচ্ছে। চলতি বছরের শুরুর দিকে দেশে তৈরি প্রথম সোলার এসি ইয়েমেনে রপ্তানি করেছে মার্সেল।”
হেড অব বিজনেস মতিউর রহমান বলেন, “বিজনেস পার্টনারদের সঙ্গে সসুম্পর্ক বজায় রেখে ব্যবসা পরিচালনা করছে মার্সেল। বিজনেস পার্টনারদের মাধ্যমেই দেশব্যাপী ইলেকট্রনিক্স খাতে বিপ্লব আনতে সক্ষম হচ্ছে মার্সেল। তাই তাদেরকে প্রযুক্তি পণ্যের ওপর দক্ষ করে গড়ে তোলা আমাদের দায়িত্ব। এরই অংশ হিসেবে মার্সেলের ফ্যাক্টরি ও এসি প্রোডাকশন প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেছেন তারা। মার্সেল এসি ও বিজনেস সম্পর্কে তারা বিভিন্ন মূল্যবান মতামত দিয়েছেন। তাদের প্রদত্ত মতামতকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। আমরাও মার্সেলের উৎপাদন ও অন্যান্য সক্ষমতা সরেজমিনে তাদের দেখিয়েছি। পরবর্তী অর্থবছওে মার্সেল এসির সেলস গ্রোথ বৃদ্ধি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে এসব পদক্ষেপ ব্যাপকভাবে ভূমিকা রাখবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।”
ঢাকা/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম র স ল এস র রহম ন য় ল এস ল এস র উৎপ দ
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’