সিলেটে টিলা কাটার অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলা
Published: 16th, September 2025 GMT
সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁও মৌজায় ব্যক্তিমালিকানাধীন একটি টিলা কাটার অভিযোগে ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। গতকাল সোমবার সিলেট মহানগরের জালালাবাদ থানায় মামলাটি করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সিলেট জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মামুনুর রশিদ।
এ বিষয়ে মামুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মামলাটি করা হয়েছে। তদন্ত শেষে পরিবেশ অধিদপ্তরের এক কর্মকর্তা এ বিষয়ে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করবেন।
মামলার প্রধান আসামি হলেন সিলেট নগরের হাওয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও টিলার মালিক মালিক উজ্জামান। অন্য আসামিরা হলেন তারাপুর চা-বাগানের স্টার টি স্টেটের ব্যবস্থাপক ও প্রধান সমন্বয়ক রিংকু চক্রবর্তী, মোহাম্মাদীয়া এলাকার জাবেদ, হালেদ ও জাহাঙ্গীর, দুসকি এলাকার আমির হামজা ও সেলিম, মোহাম্মাদীয়া এলাকার বিল্লাল, দুসকি এলাকার কয়েছ আহমেদ এবং মোহাম্মাদীয়া এলাকার জুবায়ের আহমেদ ও রাজু আহমেদ। মামলায় আরও ছয় থেকে সাতজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ৮ সেপ্টেম্বর গোপন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেট মহানগর রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ আলীম উল্লাহ খানের নেতৃত্বে সদর উপজেলার কুমারগাঁও মৌজার ৪৬৬ নম্বর খতিয়ানের ২১৯২ নম্বর দাগের অন্তর্গত দৃশ্যমান ও রেকর্ডীয় টিলা কাটার স্থান সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনকালে টিলা কাটা এবং টিলার মাটি অপসারণের প্রমাণ মেলে। তবে তখন ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনসিলেটে পাথরের পর টিলাও সাবাড়০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫টিলাটি মামলার প্রধান আসামি মালিক উজ্জামানের রেকর্ডীয় ভূমি বলে উল্লেখ করা হয়। এজাহারে আরও বলা হয়, আসামিরা পরস্পরের যোগসাজশে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার জন্য টিলা কেটেছেন। তাঁরা পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি না নিয়ে আনুমানিক ২৩৫ ফুট দৈর্ঘ্য, ১১৫ ফুট প্রস্থ, ৪৩ ফুট গড় উচ্চতা এবং ১১ লাখ ৬২ হাজার ৭৫ ঘনফুট দৃশ্যমান টিলারকম ভূমি কেটে মাটি অপসারণ করেছেন। এটা বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ (সংশোধিত ২০১০)-এর ধারা ৬ (খ) অনুযায়ী বেআইনি ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আরও পড়ুনসিলেটে টিলা কাটা ঠেকাতে নানা ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ প্রশাসনের, অভিযান অব্যাহত০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫৬ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোয় ‘সিলেটে পাথরের পর টিলাও সাবাড়’ শীর্ষক সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এরপরই স্থানীয় প্রশাসন টিলা কর্তনকারী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়। এরই অংশ হিসেবে ৭–৮ সেপ্টেম্বর সিলেট সদর উপজেলা ও মহানগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় টিলা কর্তনকারী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি টিলা কাটায় একজনকে এক সপ্তাহের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া দুজনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।
এরপর ৯ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসনের সীমান্ত শাখা থেকে এক সরকারি আদেশ জারি করা হয়। এতে বলা হয়, সিলেটে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন উপেক্ষা করে টিলা কাটলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স প ট ম বর এল ক র নগর র
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিসি ব্যাংকের পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত
বেসরকারি খাতের এনসিসি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ৫৪৮তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্প্রতি ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সভাকক্ষে পর্ষদ সভাটি হয়।
এনসিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নূরুন নেওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভায় ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, পরিচালক ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান আমজাদুল ফেরদৌস চৌধুরী, পরিচালক ও প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান তানজিনা আলী, পরিচালক সৈয়দ আসিফ নিজাম উদ্দিন, পরিচালক ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান খায়রুল আলম চাকলাদার, পরিচালক মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ, শামিমা নেওয়াজ, মোরশেদুল আলম চাকলাদার, নাহিদ বানু, স্বতন্ত্র পরিচালক মীর সাজেদ উল বাসার এবং স্বতন্ত্র পরিচালক ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম শামসুল আরেফিন, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম খোরশেদ আলম, উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জাকির আনাম, মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, মো. মনিরুল আলম (কোম্পানি সচিব) ও মো. হাবিবুর রহমান এবং বোর্ড ডিভিশনের এসএভিপি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এনসিসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, সভায় ব্যাংকের চলমান ব্যবসায়িক কার্যক্রম ও কৌশলগত পরিকল্পনা–সম্পর্কিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
ব্যাংকটির আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি–সেপ্টেম্বর) ব্যাংকটি মুনাফা করেছে ১৭৩ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ব্যাংকটির মুনাফা ছিল ২৭৫ কোটি টাকা। সেই হিসাবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যাংকটির মুনাফা কমেছে ১০২ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকটি মুনাফা করে ৫৮ কোটি টাকা। গত বছরের জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে মুনাফা ২০১ কোটি টাকা।