চট্টগ্রামে ছাত্রলীগের মিছিলে ধাওয়া দিয়ে ৭ জনকে গ্রেপ্তার
Published: 16th, September 2025 GMT
চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মিছিল থেকে মশাল, ইটের টুকরাসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে নগরের বড়পুল মোড়সংলগ্ন বন্দর সংযোগ সড়ক থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ইব্রাহিম খলিল, আসিফ মাহবুব, নয়ন শীল, মো. সাগর, জাহিদুল ইসলাম, মাসুদ হাওলাদার ও মইন উদ্দিন। তাঁদের বিরুদ্ধে নগরের বন্দর থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, রাতে বড়পুল এলাকায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের এই মিছিলে মশাল, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারাও অংশগ্রহণ করেন। মিছিলের নেতৃত্ব দেন নগর যুবলীগের নেতা আসিফ মাহমুদ। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে ধাওয়া দিয়ে সাতজনকে গ্রেপ্তার করে। তবে অন্যরা পালিয়ে গেছেন।
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে জনসাধারণের ক্ষতি করার জন্য নাশকতার উদ্দেশ্যে মশাল, লাঠিসোঁটা ও ইটপাটকেল নিয়ে মিছিল করেছেন। তাঁদের কাছ থেকে ৫টি মশাল, ১১টি ইটের ভাঙা টুকরা ও কয়েকটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’