হ্যাট! গয়না! পোশাক! শক্তিধর দেশগুলোর রাষ্ট্রনেতা ও তাদের স্ত্রীরা কী পরছেন এবং কী করছেন তার উপর কড়া নজর রাখে গণমাধ্যম। বিশেষ করে ফার্স্টলেডিরা তো বরাবরই নিজেদের ভিন্ন আঙ্গিকে পোশাক কিংবা গয়নায় উপস্থাপন করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার স্ত্রী মেলানিয়ার যুক্তরাজ্য সফরের সময় এই ফ্যাশনের বেশ ভালোই প্রদর্শনী হয়েছে। এবারের সফরে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের নজর কেড়েছে ফার্স্টলেডির হ্যাট।
হ্যাট পরার ব্যাপারে মেলানিয়া বরাবরই ব্যতিক্রম। চলতি বছরের শুরুতে তার স্বামীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সাদা ও নীল রঙের চওড়া খাঁজযুক্ত হ্যাটটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিল। শপথ অনুষ্ঠানে ট্রাম্প যখন মেলানিয়াকে চুম্বন করার চেষ্টা করেছিলেন তখন সেই হ্যাটের খাঁজ চুম্বন দেওয়াকে জটিল করে তুলেছিল। বিষয়টি নিয়ে তখন ইন্টারনেটে বেশ রসালো আলোচনা হয়।
বুধবার যুক্তরাজ্যে রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম দিনেই মেলানিয়া উইন্ডসর ক্যাসেলে এসেছিলেন একটি চওড়া খাঁজযুক্ত বেগুনি রঙের হ্যাট টুপি পরে। আর এই খাঁজ মেলানিয়ার চোখকে আড়াল করে দিচ্ছিল। হ্যাটের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মেলানিয়া এদিন পরেছিলেন ডিওরের তৈরি গাঢ় ধূসর স্যুট।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জকসুর গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা, নির্বাচনী আচরণবিধির সংশোধন চায় ছাত্রদল
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) গঠন ও পরিচালনা বিধিমালা এবং নির্বাচনী আচরণবিধি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মোস্তফা হাসানের কাছে এ স্মারকলিপি দেন ছাত্রদলের নেতারা।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘আসন্ন জকসু নির্বাচনকে ঘিরে বিভিন্ন গোষ্ঠী জকসু সংবিধি এবং নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য দায়বদ্ধ। ন্যায্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিতে আমাদের অনুরোধ, ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় প্রত্যেক ভোটারের ছবিসহ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। নির্বাচনে অমোচনীয় কালি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং স্বচ্ছ, নাম্বারযুক্ত ব্যালট বক্স রাখা আবশ্যক।’
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, ব্যালট ছাপার সংখ্যা, ভোট প্রদানকারীর সংখ্যা এবং নষ্ট ব্যালটের তথ্য প্রকাশ করতে হবে। মিডিয়া ট্রায়াল বা ভুল তথ্য প্রচার হলে সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে সরাসরি ব্যবস্থা নিতে হবে। সরকার অনুমোদিত সব মিডিয়াকে নির্বাচনকালীন সময়ে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, ডাকসুর তফসিল ঘোষণার ৪১ দিন, চাকসুর ৪৪ দিন, রাকসুর ৮০ দিন এবং জাকসুর তফসিল ঘোষণার ৩১ দিন পর নির্বাচন হয়েছে। যেহেতু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি অনাবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়, তাই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। এ ছাড়া বাকি চার বিশ্ববিদ্যালয়ের তফসিল ঘোষণার সময় ও নির্বাচনের মধ্যবর্তী পার্থক্য বিবেচনা করে জকসু নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করতে হবে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে সুষ্ঠু একটা নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়, এজন্য ছাত্রদল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে আমরা স্মারকলিপি দিয়েছি। আশা করছি, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে।’