কক্সবাজারের চকরিয়া থানাহাজতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষকসহ ৯ জনের নামে মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশের পর গতকাল বুধবার এ মামলা হয়। মামলার বাদী হয়েছেন নিহত যুবক দুর্জয় চৌধুরীর বাবা কমল চৌধুরী। এর আগে গত রোববার শুনানি শেষে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক (ভারপ্রাপ্ত) মো.

মামুনুর রশীদ চকরিয়া থানার ওসিকে মামলা নিতে নির্দেশ দেন।

মামলার বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন চকরিয়া থানার ওসি তৌহিদুল আনোয়ার। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আদালতের নির্দেশের নথি থানায় পৌঁছার পর মামলা নেওয়া হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন চকরিয়া থানার তৎকালীন ওসি মো. শফিকুল ইসলাম, থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হানিফ মিয়া, কনস্টেবল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও ইশরাত হোসেন, চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খানম, সহকারী শিক্ষক জসিম উদ্দিন ও মোস্তফা কামাল, অফিস সহায়ক মো. পারভেজ ও প্রহরী নুর মোহাম্মদ। এ ছাড়া এ ঘটনায় পাঁচজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী কমল চৌধুরী উল্লেখ করেন, আসামিদের যোগসাজশে থানাহাজতে দুর্জয় চৌধুরীকে শারীরিক নির্যাতনের পর শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। জানতে চাইলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘নানা চাপ ও আর্থিক প্রলোভনে নত না হয়ে আমি ছেলের হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। আমি আসামিদের শাস্তি চাই।’

গত ২২ আগস্ট সকালে চকরিয়া থানাহাজত থেকে চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর দুর্জয় চৌধুরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে আগের দিন রাত ১০টার দিকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খানম দুর্জয় চৌধুরীকে থানায় সোপর্দ করেছিলেন।

লাশ উদ্ধারের এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সনাতন সম্প্রদায়ের লোকজন ক্ষুব্ধ হন। তাঁরা চকরিয়া থানা ঘেরাও, মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অভিজিৎ দাস ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রূপায়ণ দেবের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করা হয়। এ ঘটনায় ওসি মো. শফিকুল ইসলামকে কক্সবাজার পুলিশ নিয়ন্ত্রণকক্ষের ইনচার্জ পদে বদলি করা হয়। এ ছাড়া চকরিয়া থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয় এএসআই হানিফ মিয়া, কনস্টেবল মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ও ইশরাত হোসেনকে। এ ছাড়া চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খানমকে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র জয় চ ধ র সহক র সরক র চকর য়

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে বিভিন্ন মামলার ২ সাঁজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার 

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ডাকাতি প্রস্তুতি মামলা ও বন্দর থানার মাদক মামলার ২ সাঁজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ধৃতরা হলো বন্দর থানার ২১ নং ওয়ার্ডের শাহীমসজিদস্থ ঠাকুরবাড়ী এলাকার মনা মিয়ার ছেলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার রুজুকৃত  ৪৯(১)২২ নং ডাকাতি প্রস্তুতি মামলার ১ বছরের সাঁজাপ্রাপ্ত আসামী শাকিব (২৫) ও বন্দর থানার ২০ নং ওয়ার্ডের দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মৃত সানোয়ার হোসেন মিয়ার ছেলে বন্দর থানার রুজুকৃত  ৬(৪)২৩ নং মাদক মামলার ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী সোহেল (৪৫)।

ধৃতদের সোমবার ( ৩ নভেম্বর)  দুপুরে পৃথক সাঁজা ওয়ারেন্টে আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। এর আগে গত রোববার (২ নভেম্বর)  রাতে বন্দর থানার শাহীমসজিদ ও দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় পৃথক ওয়ারেন্ট তামিল অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

থানা সূত্রে জানা গেছে,  বন্দর ফাঁড়ী এএসআই  বিরাজসহ সঙ্গীয় র্ফোস গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শাহীমসজিদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের ডাকাতি প্রস্তুতি মামলার ১ বছেরর সাঁজাপ্রাপ্ত আসামী শাকিবকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।

এ ছাড়াও একই রাতে বন্দর থানার অপর এএসআই হাবিবুর রহমানসহ সঙ্গীয় র্ফোস গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত থানার  মাদক মামলার ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী সোহেলকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বন্দরে বিভিন্ন মামলার ২ সাঁজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার