টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের  উদ্যোগে টাইফয়েড ক্যাম্পেইন বিষয়ক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় বন্দর উপজেলা মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

টাইফয়েড জ্বরের ভয়াবহ প্রাদুর্ভাব রোধে আগামী ১২ অক্টোবর থেকে সারাদেশের ন্যায়  বন্দরে শুরু হচ্ছে টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন। ইপিআই কর্মসূচির আওতায় ১৮ দিন ব্যাপি চলা এ ক্যাম্পেইনে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী ৫৪ হাজার ৯শ’ ৫৮ জন এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৯টি ওয়ার্ডে ৫২ হাজার ৬শ’ ৭৭ জন শিশুকে বিনামূল্যে এ টিকা প্রদান করা হবে। টিকা পেতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১১ হাজার শিশুর নাম নিবন্ধন হয়েছে বলে জানা গেছে।

বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য প.

প. কর্মকর্তা ডা. রাজিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সদানন্দ রায় , উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ুম খান, শিক্ষা কর্মকর্তা রেজাউল করিম, সমাজসেবা কর্মকর্তা ফয়সাল কবির, ইন্সপেক্টর( তদন্ত) আনিসুর রহমান, মেডিকেল অফিসার ডা. উম্মে হাবিবা আরজু,  ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা মফিজুল ইসলাম প্রমুখ। 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ক য ম প ইন কর মকর ত অন ষ ঠ ত ট ইফয় ড

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ