রাজধানী ঢাকার মেরুল বাড্ডার দক্ষিণ বারিধারা সোসাইটি মাঠে শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ‘প্রথম আলো আনন্দমেলা’।

দক্ষিণ বারিধারা এলাকায় বসবাসকারীদের নিয়ে আজ শুক্রবার সকাল আটটায় এই আনন্দমেলা শুরু হয়। চলবে রাত আটটা পর্যন্ত।

আজ সকাল আটটার কিছু আগে মাঠে গিয়ে দেখা যায়, অভিভাবকেরা সন্তানদের নিয়ে আসছেন। সবার হাতে হাতে আঁকাআঁকির রং, পেনসিল, তুলি, খাতা, স্কেলসহ অন্যান্য সরঞ্জাম।

মাঠে আসার পর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ইচ্ছুক শিশু-কিশোরদের মঞ্চের সামনে বিছানো কার্পেটে সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে দেওয়া হয়। অংশগ্রহণকারী বেশি থাকায় অনেককে বসানো হয় মঞ্চে।

সকাল সাড়ে আটটায় চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা শুরু হয়। সঞ্চালক এক থেকে দশ গুনে প্রতিযোগিতা শুরুর সংকেত দেন। শিশু-কিশোরেরা লেগে পড়ে রংতুলি দিয়ে আঁকার কাগজ রঙিন করে তুলতে।

আর সন্তানদের নিয়ে আসা অভিভাবকেরা পাশে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে আঁকাআঁকি দেখতে থাকেন। এই প্রতিযোগিতায় কয়েক শ শিশু-কিশোরকে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।

মঞ্চে পাশাপাশি বসে আঁকছিল দুই ভাই মেহরাব তালহা ও মাহির তাহমিদ। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তাদের বাবা মনিরুজ্জামান জানান, মেহরাব দ্বিতীয় শ্রেণিতে আর মাহির নার্সারিতে পড়ে।

মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বড় ছেলের স্কুল মাঠের পাশেই। স্কুলে ছেলেকে আনা-নেওয়ার সময় তাঁর চোখে পড়ে এই মাঠে আনন্দমেলা অনুষ্ঠান আছে। পরে দুই ছেলেকে আগেই বলে রেখেছিলেন তাদের এখানে অংশগ্রহণ করাবেন। চিত্রাঙ্কনে ছোট ছেলে মাহিরের ঝোঁক বেশি বলে জানান তিনি।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া মেহরাব জাতীয় স্মৃতিসৌধ আর মাহির শহীদ মিনারের ছবি আঁকছিল।

আনন্দমেলায় শিশু-কিশোরদের জন্য বিস্কুট দৌড়, মার্বেল দৌড়, চকলেট দৌড়সহ দিনব্যাপী বিভিন্ন প্রতিযোগিতা থাকছে।

এ ছাড়া মঞ্চে জাদু দেখানো, পুতুল নাচ, রোবট শো, মাসকট শোসহ আরও অনেক আয়োজন রয়েছে।

আয়োজকেরা জানান, দুপুরের পর বাবা-মায়েদের জন্য আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতা রয়েছে। প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের জন্য থাকবে উড়োজাহাজের টিকিটসহ বিভিন্ন আকর্ষণীয় পুরস্কার।

‘প্রথম আলো আনন্দমেলা’র টাইটেল স্পনসর এসিআই পিওর। ব্যবস্থাপনায় সহযোগী হিসেবে আছে দক্ষিণ বারিধারা সোসাইটি ও দক্ষিণ বারিধারা ইয়ুথ ক্লাব।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম আল

এছাড়াও পড়ুন:

শামীম হাসানের নতুন সিদ্ধান্ত, ইরফান সাজ্জাদের সতর্কবার্তা

ছোট পর্দার আলোচিত নাম শামীম হাসান সরকার। মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করলেও স্বল্প সময়ে টিভি নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে দর্শকপ্রিয়তা অর্জন করেন। সহজাত অভিনয়শৈলী আর হাস্যরসাত্মক চরিত্র রূপায়নের দক্ষতা তাকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে। ওয়েব সিরিজ, মঞ্চনাটক এবং বিজ্ঞাপনেও রেখেছেন সফল পদচারণা।  

শামীম হাসান সরকারের অভিনয়ের প্রশংসা যেমন তার ভক্তরা করেন, তেমনই তার সমালোচকেরও অভাব নেই। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন এই অভিনেতা। গল্পে পরিবর্তন না আনলে শুটিং সেটে যাবেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি।   

আরো পড়ুন:

আলোচিত হানিয়া কেন ঢাকায় আসছেন?

গল্পটা এই ক্লাসরুম থেকেই শুরু: ইরফান সাজ্জাদ

শামীম হাসান সরকার বলেন, “সামনের মাস থেকে গল্পে যদি পরিবর্তন না আনেন আমি কাজ করতে যাচ্ছি না। দিন শেষে আমি ‘একই রকম অভিনয় করি’ বা ‘হাউ কাউ’ করি এই কথাটা শুনতে বছরের পর বছর কাজ করে যাচ্ছি না। এই রুচি যে আমার না এটার পেছনে বাকিদের অবদানটাই বেশি এই কথা আমি আপনাদের সহজভাবে বুঝাতে পারব না। আবার রাজনীতির শিকার হয়ে যাব।”  

শামীম হাসান সরকার মনে করেন, টাকা দিয়ে অভিনয়ের ক্ষুধা পূরণ করা যায় না। তার ভাষায়, “অভিনয়ের ক্ষুধা আপনি টাকা দিয়ে পূরণ করতে পারবেন না। অন্য কোনো দায়িত্ব দেন কষ্ট হউক করতে রাজি আছি। কিন্তু একই জিনিস থেকে আমাকেও মুক্তি দেন। আমিও বোরড (বিরক্ত)! অনেকদিন যাবত ভেবেছি, আজকে প্রকাশ করলাম। ছুটি নিব, ঘুরতে যাব। অনেক কাজ করেছি, সেগুলা ততদিনে ‘রিলিজ’ করেন।” 

শামীম হাসানের অভিনয়কে যারা ‘হাউ কাউ’ বলেন, তাদের উদ্দেশ্যে এই অভিনেতা বলেন, “যারা টাকা দিয়ে নিয়ে আমাকে দিয়ে হাউ কাউ করায়, তারা যখন অন্য কাউকে বলে আমাকে দিয়ে হাউ কাউ ছাড়া অভিনয় হয় না। কিন্তু এই হাউ কাউ তো আপনাদের রুচি, আমার না। আমি তাদেরকে আমার অভিনয় একটাবার দেখাতে চাই। বয়সে বড় হয়েছি। অনেক বদলে গেছি। একবার সুযোগ দেন... এরপর নাহয় বিচার করলেন। আপনার মুখ থেকেই সুনামের জন্য যেভাবে অভিনয় করা লাগে করে দেখাব। চ্যালেঞ্জ! শেষ কথা—আমার আবারো বিরতি প্রয়োজন!” 

শামীম হাসান সরকারের এই ভাবনার সঙ্গে সহমত পোষণ করেছেন নেটিজেনদের বড় একটি অংশ। মুন্সি প্রকৃতি লেখেন, “এই কথাটা ভালো লাগছে ভাই। দর্শকরা আর্টিস্টদেরকেই গালি দেয়। কিন্তু একই রকম গল্পতে অভিনয় করার পিছনে ক্যামেরার পিছনের লোকদের অবদান বেশি থাকে, এইটা কেউ বুঝতেই চায় না। আর শুধু এইটাই না একটা গল্প হিট গেলে ডাইরেক্টর রাইটারের সুনাম আর ফ্লপ হইলে আর্টিস্টের দুর্নাম।” মঞ্জিল হাসান লেখেন, “আপনাকে দিয়ে বাণিজ্যিকভাবেই ব্যতিক্রমধর্মী কাজ সম্ভব, সে প্রমাণ এর আগেও অনেক গল্পে পেয়েছি। ভালো সিদ্ধান্ত...শুভকামনা।” 

শুধু নেটিজেনরাই নন, সহশিল্পীদের অনেকে শামীম হাসানের পোস্টে মন্তব্য করেছেন। শামীম হাসানকে সতর্ক করে অভিনেতা ইরফান সাজ্জাদ লেখেন, “তাহলে কাজ হারানোর জন্যও প্রস্তুত থাকো। যারা তোমার আশেপাশে ঘুরত, তারা ঘোরা বন্ধ করে দেবে। তারা বিকল্প কাউকে খুঁজে নেবে। কিন্তু তারপরও গল্প, চরিত্র বদলাবে না। বিকল্প খুঁজবে আর বলবে, ‘শামীমের দিন শেষ। বা** অভিনেতা। সেটে ঝামেলা করে।’ কেউই তোমার প্রতিনিধিত্ব করবে না। কেউ ঝুঁকি নেবে না। তোমার সিদ্ধান্ত যদি এটা হয়ে থাকে, তবে এটা ঘটতে যাচ্ছে। কথাগুলো মিলিয়ে নিও ব্রো শামীম হাসান সরকার।”  

ইরফান সাজ্জাদের এ মন্তব্যের জবাবে শামীম হাসান সরকার লেখেন, “ভাই আমিও আপনার সাথে একমত। আপনি যা যা বলছেন আমিও জানি মেলানোর আগেই মিলে আছে!” পাল্টা মন্তব্যে ইরফান সাজ্জাদ লেখেন, এটাই সায়েন্স ব্রো… যার কারণে আমি নিজেই সরে গেছি।”

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ