পিসিবির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ আইসিসির, পাঠিয়েছে মেইল
Published: 19th, September 2025 GMT
পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভারতীয়দের হাত না মেলানো বিতর্কে এবার নতুন মোড়! ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) কর্মকাণ্ডে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে আইসিসি। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি পিসিবির বিরুদ্ধে ‘অশোভন আচরণ’ এবং খেলোয়াড় ও ম্যাচ কর্মকর্তাদের নির্ধারিত এলাকার (পিএমওএ) একাধিক নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে।
বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়েছে, এশিয়া কাপের নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ জানিয়ে পিসিবিকে ই–মেইল পাঠিয়েছে আইসিসি।
এশিয়া কাপ–সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র পিটিআইকে বলেছেন, ‘আইসিসির সিইও সঞ্জোগ গুপ্তা পিসিবিকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, ম্যাচের দিনে তাঁরা বারবার বিএমওএয়ের নিয়ম ভেঙেছে। পিসিবি এই ই-মেইল পেয়েছে।’
১৪ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের শুরু ও শেষে সূর্যকুমার যাদবের দল সালমান আগাদের সঙ্গে হাত মেলায়নি। এ ঘটনায় পিসিবি ম্যাচ রেফারি পাইক্রফটকে দোষারোপ করে তাঁর অপসারণের দাবি জানায় আইসিসির কাছে। আইসিসি তা আমলে না নেওয়ার পর ১৭ সেপ্টেম্বর আরব আমিরাতের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কটের হুমকি দেয় পিসিবি। এমনকি ম্যাচ শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়েও দেওয়া হয়।
পিটিআইয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়, পিসিবির সঙ্গে একমত হয়ে আইসিসি রাজি হয় যে ভারত ম্যাচ-সংক্রান্ত বিষয় মেটাতে পাইক্রফট টসের আগে অধিনায়ক ও ম্যানেজারের সঙ্গে দেখা করবেন।
সূত্র বলে, ‘উদ্দেশ্য ছিল ভারত ম্যাচের টসের সময় যেকোনো ভুল–বোঝাবুঝি বা ভুল যোগাযোগ হয়েছিল, তা দূর করা।’ সূত্র আরও জানায়, পিসিবির পক্ষ থেকে বৈঠকে তাদের মিডিয়া ম্যানেজার নাঈম গিলানিকে সঙ্গে নিয়ে আসা হয় এবং তাঁর উপস্থিতি নিয়ে জোরাজুরি করা হয়।
আরও পড়ুনএশিয়া কাপের সুপার ফোরে বাংলাদেশের ম্যাচ কবে কখন৪ ঘণ্টা আগেআইসিসির দুর্নীতিবিরোধী ম্যানেজার পিসিবির মিডিয়া ম্যানেজারকে ঢুকতে দেননি। কারণ, তিনি মুঠোফোনসহ পিএমওএ এলাকায় ঢুকতে চাইছিলেন। সূত্রের বর্ণনায়, তখন পিসিবি হুমকি দেয় যে মিডিয়া ম্যানেজারকে প্রবেশ করতে না দিলে তারা ম্যাচ থেকে সরে দাঁড়াবে। শেষ পর্যন্ত তারা জোর করে বৈঠকের ভিডিও (শব্দ ছাড়া) ধারণ করে, যা ছিল পিএমওএ নিয়মের একটি লঙ্ঘন।
ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে টসের সময় দুই অধিনায়ককে হাত মেলাতে বারণ করেন ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফট (বাঁয়ে).উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আইস স র
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’