‘ছেলের লাশের অপেক্ষায় চোখ ঝাপসা অইয়া গেছে, তবু আসতেছে না’
Published: 19th, September 2025 GMT
‘লাশের অপেক্ষায় চোখ ঝাপসা অইয়া গেছে, তবু আসতেছে না। ছেলের লাশটা আইন্না দেও। শেষবারের মতোন ছেলেডার মুখ এট্টু দেখতে চাই।’ আজ শুক্রবার সকালে কাঁদতে কাঁদতে মুঠোফোনে নিজের আকুতি জানাচ্ছিলেন পারুল বেগম। তিনি জানান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি হাসপাতালের মর্গে প্রায় এক মাস ধরে তাঁর ছেলে মো. সবুজের (৩৬) লাশ পড়ে আছে। তবে নানা জটিলতায় সেখান থেকে লাশটি আনতে পারছেন না।
সবুজের বাড়ি চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছোট দুর্গাপুর গ্রামে। তিনি একই গ্রামের মৃত আমছর আলী ও পারুল বেগম দম্পতির ছোট ছেলে। প্রায় দুই বছর আগে দুবাই শহরের পাড়ি জমান সবুজ। সেখানে তিনি শ্রমিকের কাজ করতেন। চলতি বছরের ২২ আগস্ট নিজের ভাড়া বাসার সামনে দুর্বৃত্তের অস্ত্রের আঘাতে তিনি খুন হন বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২২ আগস্ট সন্ধ্যায় সেখানকার এক প্রবাসীর সঙ্গে টাকার লেনদেন নিয়ে সবুজের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে সবুজকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন ওই ব্যক্তি। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সবুজ। পরে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সেখানকার একটি হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ। এখনো সেখানেই পড়ে আছে লাশটি। এ ঘটনায় সেখানকার থানায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছে। এ মামলায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ।
সবুজের বড় ভাই সুলতান মিজি বলেন, তাঁর ভাইয়ের লাশ আনার জন্য দুই দেশের দূতাবাসে যোগাযোগ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানকার মামলা মীমাংসা না হওয়ার পাশাপাশি নানা প্রক্রিয়াগত ও আইনগত জটিলতায় লাশটি আনতে দেরি হচ্ছে। তাঁর পরিবারের সদস্যরা লাশটির অপেক্ষায় হাঁপিয়ে উঠছেন। তাঁর মা, সবুজের স্ত্রী ও শিশুপুত্রকে কিছুতেই সান্ত্বনা দেওয়া না। লাশটি দ্রুত আনার ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।
সবুজের স্ত্রী রিভা আক্তার (২৫) বলেন, তাঁদের শিশু সন্তানটি বারবার বাবার কথা জানতে চায়। কিন্তু ছেলেটির প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেন না। সামনে অন্ধকার দেখছেন। স্বামী হত্যার বিচার দাবি করে লাশটি দ্রুত বাড়িতে আনার ব্যবস্থা করতে সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সব জ র
এছাড়াও পড়ুন:
হঠাৎ বিয়ের খবর দিলেন শবনম ফারিয়া
বিয়ে করলেন আলোচিত মডেল ও অভিনয়শিল্পী শবনম ফারিয়া। আজ শুক্রবার বাদ আসর দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় বলে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন ফারিয়া।
শবনম ফারিয়া জানালেন তাঁর পাত্রের নাম তানজিম তৈয়ব, তিনি রাজশাহীর ছেলে। অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব সাউথ ওয়েলস থেকে ফিন্যান্সিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাংকে অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কর্মরত।
বিয়ের পর প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপে শবনম ফারিয়া বলেন, ‘বিয়ে নিয়ে আমার অনুভূতি বরাবরই জটিল—আতঙ্কের চেয়ে কিছু কম নয়। বিবাহবিষয়ক বিভিন্ন জটিল ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যাওয়ার পর মনে করেছিলাম, এই অধ্যায় হয়তো আমার জীবনে আর আসবে না। তবে সময়ের প্রবাহে এবং পরিবারের আকস্মিক সিদ্ধান্তে এই পরিণয়।
শবনম ফারিয়া জানালেন, ঢাকার অদূরে মাদানী অ্যাভিনিউতে অবস্থিত মসজিদ আল মুস্তাফায় নিকট আত্মীয় ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
সবশেষে ফারিয়া জানালেন, বিয়ের সিদ্ধান্তটি হঠাৎ হওয়ায় তাঁর একমাত্র ননদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। কারণ, তিনি দেশের বাইরে আছেন। বললেন, ‘তবে ভবিষ্যতে সহকর্মী, আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ঠজনদের নিয়ে একটি বিয়ে–পরবর্তী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে। আমাদের নতুন যাত্রার জন্য সবার দোয়া ও শুভকামনা প্রত্যাশা করছি।’
প্রসঙ্গত, শবনম ফারিয়া এর আগে ২০১৮ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন হারুনুর রশীদ অপুকে, যিনি তখন একটি বেসরকারি বিপণন সংস্থার জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।