কয়েক বছর ধরে প্রায় নিয়মিতই দেখা হচ্ছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার। আর সেই ম্যাচগুলোর উত্তেজনা ও নানা ঘটনাপ্রবাহ ইদানীং বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা লড়াইটাকে এশিয়ান ক্রিকেটের অন্যতম আকর্ষণীয় দ্বৈরথও বানিয়ে তুলেছে। গত জুলাইয়েই শ্রীলঙ্কার মাটিতে গিয়ে তাঁদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতে এসেছিল বাংলাদেশ।

এবার এশিয়া কাপের গ্রুপ পর্বে যদিও বাংলাদেশ হেরে যায় শ্রীলঙ্কার কাছে। কী কাকতাল, তারপর বাংলাদেশের ভাগ্যও চলে গিয়েছিল লঙ্কানদের হাতে। শ্রীলঙ্কা অবশ্য নিরাশ করেনি বাংলাদেশকে, গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানকে হারিয়ে তারা সুপার ফোরে উঠেছে বাংলাদেশকে নিয়েই। এক দিন আগে বাংলাদেশের সমর্থকেরা শ্রীলঙ্কার জয় প্রার্থনা করেছেন। তবে এক দিন পরই আবার তাদের হার চাইবেন সেই সমর্থকেরা, কারণ আগামীকালই সুপার ফোরে আবার মুখোমুখি হচ্ছে দুই দল।    

আবুধাবিতে গতকাল আফগানিস্তানকে হারানোর পর শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটসম্যান কুশল মেন্ডিস ও কামিন্দু মেন্ডিসের উদ্‌যাপন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ