ছাগলে গাছ খাওয়া নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত ৩
Published: 19th, September 2025 GMT
পটুয়াখালীর বাউফলে ছাগলে গাছ খাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের ৩ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার দাশপাড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউনুস চৌকিদার বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন:
ফরিদপুরে কিশোর গ্যাংয়ের অস্ত্রের মহড়ার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১
হবিগঞ্জে ২৭ লাখ টাকার ভারতীয় চোরাই পণ্য জব্দ
আহতরা হলেন- খোরশেদ খান (৫৫), তার স্ত্রী মোর্শেদা বেগম (৪৫) ও ছেলে রায়হান খান (২২)। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সকালে মোর্শেদা বেগমের ছাগল প্রতিবেশী মর্জিনা বেগমের কাঁঠাল গাছ খেয়ে ফেলে। এ ঘটনায় দুজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে দুপুরে মর্জিনা বেগম, তার স্বামী সবুজ হাওলাদার ও ছেলে সজীব হাওলাদারের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়। এ সময় তাদের কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মর্জিনা বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘তারা নিজেরা নিজেদের আঘাত করে আহত হয়েছে। তাদের ছাগল আমাদের নতুন লাগানো সব গাছ খেয়ে ফেলেছে। এ বিষয়ে জানতে চাইল উল্টো আমাদের গালাগালি ও হুমকি দিয়েছে।’’
বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকতারুজ্জামান বলেন, ‘‘এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
ঢাকা/ইমরান/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’