কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে ৮ ফুট লম্বা অজগর অবমুক্ত
Published: 19th, September 2025 GMT
রাঙামাটির কাপ্তাই জাতীয় উদ্যান এলাকার রামপাহাড়ের গহীন অরণ্যে একটি অজগর সাপ অবমুক্ত করা হয়েছে। সাপটি আট ফুট লম্বা এবং এর ওজন সাড়ে ছয় কেজি বলে জানান পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) আবু কাওসার বাপ্পী।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় এসিএফ আবু কাওসার বাপ্পী, কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা ওমর ফারুক স্বাধীন, রামপাহাড় বিট কর্মকর্তা মিঠু তালুকদার এবং বন বিভাগের কর্মীরা সাপটিকে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের গহীন অরণ্যের রামপাহাড় এলাকায় অবমুক্ত করেন। এ সময় বনবিভাগ এবং স্নেক রেসকিউ টিমের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বিল থেকে ফেরার পথে সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু
ধানখেত থেকে উদ্ধার অজগর বনে অবমুক্ত
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মধ্যরাতে রাঙামাটি সদর উপজেলার একটি বাসা থেকে স্নেক রেসকিউ টিমের সদস্যরা অজগর সাপটি উদ্ধার করে কাপ্তাই বন বিভাগের কাছে হস্তান্তর করেন।
অবমুক্তকালে এসিএফ আবু কাওসার বাপ্পী বলেন, ‘‘পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য বন্যপ্রাণী অবমুক্ত, মানুষের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য বন্যপ্রাণী ও বন রক্ষা করা অত্যন্ত জরুরি।’’ সকলকে তিনি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও সচেতন হওয়ার জন্য আহ্বান জানান।
ঢাকা/শংকর/বকুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বনভ ম অবম ক ত
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’