ফতুল্লায় বপ সাইন্স এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সনদ প্রদান
Published: 19th, September 2025 GMT
ফতুল্লা কুতুবপুর ইউনিয়নের সাইনবোর্ড এলাকায় নতুন উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে প্রথম ব্যাচ শেষে বপ সাইন্স এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সনদ প্রদান অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে নতুন প্রজন্মের শিল্প তৈরির অঙ্গিকার নিয়ে বপ সাইন্স এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন হাজী মিসির আলী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির বেপারী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, সফলতা দুই প্রকারের, দুনিয়া এবং আখিরাত উভয় জায়গাতেই সফল হতে হবে। এজন্য দরকার প্লানিং,সংগঠন তৈরি করা,দক্ষতা তৈরি করা।
আপনি একজন উদ্যোক্তা এজন্য সফল হওয়ার মূল হলো শ্রমিকদের ঠকানো যাবেনা।পরামর্শ করে কাজ করবেন, উদ্যোক্তা হতে গেলে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। এজন্য সমস্যাগুলো নির্বাচন করে এগিয়ে যাবেন।
আর কাচামালের খেত্রে খেয়াল রাখবেন, যেন ভালো মানের কাঁচামাল হয়।আপনাকে ৫ টা বিষয় লক্ষ রাখতে হবে। কাঁচামাল ইমপোর্ট করা এবং যাতায়াত ব্যাবস্থার বিষয় মাথায় রাখতে হবে। কাজের ব্যাপারে দক্ষ শ্রমিক রাখতে হবে। আউটপুট বুঝে করতে হবে, যেন যেই এলাকায় যা চলে ঐ প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করতে হবে।
আমরা যদি উদ্যোক্তা তৈরী করতে পারি,থাহলে বাংলাদেশে ছড়িয়ে যাবে এবং শিল্প বিপ্লব হবে। আসুন আমরা সবাই মিলে উদ্যোক্তা তৈরী করে দেশকে উন্নয়নের উচ্চ শিখরে নিয়ে যেতে সচেষ্ট হই।
বপ সাইন্স এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ(ঘঝউঅ) নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে ৬ মাস মেয়াদী টেকনিক্যাল কোর্সে ফুড প্রোডাক্ট তৈরির টেকনিশিয়ান কোর্স,কসমেটিক প্রোডাক্ট তৈরির টেকনিশিয়ান কোর্স,ক্লিনিং প্রোডাক্ট তৈরির টেকনিশিয়ান কোর্স,ভেটেরিনারি ওষুধ ও ফিড তৈরির টেকনিশিয়ান কোর্স,এডহেসিভ ও গ্লু প্রোডাক্ট তৈরির টেকনিশিয়ান কোর্সের প্রশিক্ষন দেওয়া হয়। এই প্রতিষ্ঠানের কোর্সের বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে : ৬ মাসের পূর্ণাঙ্গ ট্রেনিং, হাতে-কলমে ল্যাব প্র্যাকটিক্যাল,রেসিপি প্রজেক্ট প্রোফাইল ব্যবসায়িক গাইডলাইন মার্কেটিং,কোর্স শেষে নিজের ব্র্যান্ড/কারখানা শুরু করার সক্ষমতা এবং সর্বোপরী উদ্যোক্তা তৈরি করা হয়।
উক্ত সনদ প্রদান অনুষ্ঠানে বপ সাইন্স এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিভাগীয় প্রধান মোঃ গোলাম হোসেন সারোয়ার'র সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন বপ সাইন্স এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের  প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বিশেষ অতিথি ভূইঘর দারুসুন্নাহ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যাপক হারুনুর রশীদ,তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার গভনিং বডির সদস্য মুফতি জাহাঙ্গীর আলম,আদর্শ নগর উন্নয়ন কমিটির সহ-সভাপতি গাজী আবুল কাশেম, ভূইঘর দারুসুন্নাহ ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসার  সাবেক প্রভাষক-মোঃ আশরাফ উদ্দিন ভূইয়া, অত্র ইনস্টিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ইঞ্জিনিয়ার হারুন অর রশিদ এর সভাপতিত্বে আরোও উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক মোঃ নজরুল ইসলাম,জাহিদুল ইসলাম টেকনিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল মোঃ জাহিদুল ইসলাম সহ শতাধিক শিক্ষার্থীবৃন্দ।
  
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ উদ য ক ত ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’