জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল বলেছেন, ‘‘সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতিতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বেশ কিছু বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনায় সমাধান হচ্ছে না বলে ৫ দফা দাবি দিয়ে জামায়াতে ইসলামী আন্দোলনে যাচ্ছে।’’

পাঁচ গণদাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগরী আয়োজিত বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহী নগরের সাহেববাজার বড় মসজিদের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

জুলাই সনদের ভিত্তিতে নির্বাচন দিন: গোলাম পরওয়ার

জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি এখন ১৮ কোটি মানুষের দাবি: জামায়াত

সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল বলেন, ‘‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি না দেওয়ায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। অনেকেই আমাদের বলছেন, আলোচনায় থাকা সত্ত্বেও কেন আপনারা আন্দোলনে যাচ্ছেন। তার কারণ আলোচনা করা সত্ত্বেও সমাধান হচ্ছে না। কোনো কিছুর চাপের মুখে সরকার এক শুভঙ্করের ফাঁকির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের আন্দোলন রাজনীতির অংশ।’’

মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ থেকে চিরতরে ফ্যাসিজমের পথ রুদ্ধ হবে। এই অন্তর্বর্তী সরকার হচ্ছে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের সবচাইতে উপযুক্ত সরকার। সরকারকে বলব, কোনো সঙ্কট তৈরি না করে জুলাই সনদের ভিত্তিতে আপনি নির্বাচন অনুষ্ঠান করুন। বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামোতে যদি আবার নির্বাচন হয়, তাহলে আবারো ফ্যাসিজমের জন্ম হবে, আরেকটি হাসিনা সরকারের জন্ম হবে।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘জামায়াতে ইসলামী বরাবরই চেয়েছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ এগিয়ে যাক। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, একটি রাজনৈতিক মহলের প্রভাব খাটানোর ফলে সরকার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে পারছে না। আমরা দাবি করেছি, জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির মাধ্যমে নির্বাচন দিতে হবে। ৫ আগস্ট ড.

ইউনূস জুলাই ঘোষণা পেশ করেছিলেন। সেই ড্রাফটটা একটা বিশেষ মহলের প্ররোচণায় পড়ে জনআকাঙ্ক্ষাবিরোধী অনেক কিছু উপস্থাপন করা হয়েছিল। আমরা সেটা সংশোধন করতে বলেছিলাম। যদি নির্বাচনের আগে তা সংশোধন করা না হয়, তবে দেশ মহাবিপর্যয়ের মধ্যে পড়তে পারে।’’ 

জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগরীর আমীর ড. মাওলানা কেরামত আলী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন।  মহানগরীর সেক্রেটারি ইমাজ উদ্দিন মন্ডল ও জেলার সেক্রেটারি গোলাম মোর্তুজা সমাবেশ সঞ্চালনা করেন।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- জামায়াতে ইসলামীর রাজশাহী মহানগরীর নায়েবে আমীর আবু মোহাম্মদ সেলিম, রাজশাহী সদর আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক আব্দুল খালেক, মহানগরীর সহকারী সেক্রটারি অধ্যক্ষ শাহাদৎ হোসাইন, অধ্যক্ষ মাহবুবুল আহসান বুলবুল প্রমুখ। পরে জামায়াতের পাঁচদফা দাবিতে শহরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
 

ঢাকা/কেয়া/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ল ই সনদ র হ নগর র ইসল ম র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

স্যামসনের ফিফটিতে ওমানকে ১৮৯ রানের টার্গেট দিল ভারত

এশিয়া কাপে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ও নিয়মরক্ষার ম্যাচে ওমানের মুখোমুখি হয়েছে ভারত। আজ শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) আবুধাবির শেখ জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারত আগে ব্যাট করতে নামে। সঞ্জু স্যামসনের ফিফটিতে তারা ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রান তুলেছে। জিততে ওমানকে করতে হবে ১৮৯ রান।

ভারতের মতো দল ওমানের বিপক্ষে ৮ উইকেট হারাবে সেটা কেউ ভাবেনি। ভারতের যে দশজন ব্যাটসম্যান মাঠে নেমেছিলেন তাদের পাঁচজন কেবল দুই অঙ্কের কোটায় রান করতে পারেন। তার মধ্যে স্যামসন ৪৫ বলে ৩টি চার ও সমান সংখ্যক ছক্কায় ৫৬ রান করেন।

আরো পড়ুন:

ছেচল্লিশে থেমে গেল অভিনেতার জীবন

প্রভাসের ‘কল্কি টু’ থেকে দীপিকা কেন বাদ পড়লেন?

উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মাত্র ১৫ বলে ৫টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ৩৮ রান। তিলক ভার্মা ১৮ বলে ১টি চার ও ২ ছক্কায় করেন ২৯ রান। আর অক্ষর প্যাটেলের ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান। যা তিনি করেন মাত্র ১৩ বলে ৩টি চার ও ১ ছক্কায়। হরশিত রানা ১ ছক্কায় করেন ১৩ রান। অতিরিক্ত খাত থেকে আসে আরও ১৩ রান।

বল হাতে শাহ ফয়সাল ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ২৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। জিতেন রামানন্দি ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। আর আমির কালিম ৩ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন।

ভারত আগেই সুপার ফোর নিশ্চিত করেছে। অন্যদিকে ওমান বিদায় নিয়েছে। এই ম্যাচটি তাই কেবলই আনুষ্ঠানিকতার।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ