ভারত ও শ্রীলঙ্কার যৌথ আয়োজনে ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে মেয়েদের বিশ্বকাপ ক্রিকেট। ২ অক্টোবর কলম্বোয় পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে সে অভিযান শুরু করবে বাংলাদেশ নারী দল। আইসিসির ওয়েবসাইটে এ নিয়ে লেখা কলামে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা বলেছেন বিশ্বকাপে দলের প্রত্যাশা আর প্রস্তুতির কথা। নিগারের কলামটি এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো—

আমরা দ্বিতীয়বারের মতো আইসিসি নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপে খেলব, নিঃসন্দেহে দারুণ এক টুর্নামেন্ট হবে। আমরা ভীষণ উচ্ছ্বসিত ও আশাবাদী। এবার যেন বিশেষ কিছু করতে পারি, সেটাই প্রত্যাশা।

ওয়ানডে বিশ্বকাপে আমাদের প্রথম খেলার অভিজ্ঞতা তিন বছর আগে নিউজিল্যান্ডে। সেই অভিজ্ঞতা আমাদের চোখ খুলে দিয়েছিল। গতবার পাকিস্তানকে হারিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম জয় তুলে নিয়ে আমরা ইতিহাস গড়েছি। সেই ম্যাচ আমি কখনো ভুলব না।

ফারজানা হক সেদিন সর্বোচ্চ রান করেছিল। সে এবারও দলে আছে। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হিসেবে সে আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঠিক যতটা গুরুত্বপূর্ণ শারমিন আক্তারও, ব্যাটিংয়ে তিন নম্বরে সে দারুণ মানিয়ে নিয়েছে। পাকিস্তানে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শারমিন আমাদের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক।

স্পিনারদেরও বেশ বড় অবদান ছিল আমাদের সাফল্যে। আশা করি, তারা ভারত ও শ্রীলঙ্কায়ও একইভাবে সফল হবে, যেমনটা হয়েছিল পাকিস্তানে।

বাংলাদেশের ওপেনিং ব্যাটার শারমিন আক্তার.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ বক প আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

নানা আয়োজনে দিনভর উৎসবের আমেজ

লম্বা পায়ে মাঠজুড়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে এক ব্যক্তি। মাথায় রঙিন পরচুলা। সাজসজ্জাও অদ্ভুত। বিশেষ কায়দায় বাঁশের এক জোড়া লম্বা লাঠির সাহায্যে ‘রণপা’ তৈরি করে হাঁটছিল ওই ব্যক্তি, যা গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের একটি অংশ। সেই রণপা সাজের ব্যক্তির কাছে শিশু-কিশোরদের অনেকে আগ্রহ নিয়ে যাচ্ছিল, কেউ আবার কাছে যেতে ভয় পাচ্ছিল। এর মধ্যেই পাশে দাঁড়িয়ে ছবি কিংবা সেলফি তোলা ও হাত মিলিয়ে করমর্দনও করছিল কেউ কেউ।

এ ছাড়া মাঠজুড়েই ছিল শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার নানা উপকরণ। মিনি ফুটবল খেলে গোল দেওয়া, লুডু খেলে পুরস্কার জেতা কিংবা বুদ্ধি খাটিয়ে ‘ফুট স্টেপ’ খেলা। এর বাইরে অনেক শিশু-কিশোর ছিল বাবুল্যান্ডে খেলাধুলায় কিংবা বায়োস্কোপ দেখায় মত্ত। অনেকে আবার টিয়া পাখির সাহায্যে নিজেদের ভবিষ্যৎও জেনে নিচ্ছিল।

রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় দক্ষিণ বারিধারা সোসাইটি মাঠে প্রথম আলো আনন্দমেলায় গতকাল শুক্রবার সারা দিনের চিত্র ছিল এমনই। সকাল থেকেই সেখানে ছিল উৎসবের আমেজ। মেলা শুরু হয় সকাল আটটায়। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলে শিশু-কিশোর, অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর আগমনে তা জমজমাট হয়ে ওঠে।

শুক্রবার সকাল আটটার কিছু আগে মাঠে গিয়ে দেখা যায়, অভিভাবক নিজ নিজ সন্তানদের নিয়ে মাঠে আসছেন। সবার হাতে হাতে আঁকাআঁকির রংপেনসিল, তুলি, খাতা, স্কেল ও অন্যান্য সরঞ্জাম। সাড়ে আটটায় শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘প্রথম আলো আনন্দমেলা’। প্রতিযোগিতায় তিন শতাধিক শিশু-কিশোর অংশ নেয়।

প্রতিযোগিতায় পাশাপাশি বসে আঁকে দুই ভাই মেহরাব তালহা ও মাহির তাহমিদ। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তাদের বাবা মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে জানান, বড় ছেলের স্কুল মাঠের পাশেই। স্কুলে ছেলেকে আনা–নেওয়ার সময় দেখেন মাঠে এই অনুষ্ঠান আছে। পরে দুই ছেলেকে বলে রেখেছিলেন যে তাদের এখানে অংশগ্রহণ করাবেন। ছোট ছেলে মাহিরের চিত্রাঙ্কনে বেশি ঝোঁক বলেও জানান তিনি। পরে মেহরাব জুনিয়র ক্যাটাগরিতে দশম স্থান অর্জন করে। সে স্মৃতিসৌধ এঁকেছিল।

প্রথম আলো আনন্দমেলায় ছিল বায়োস্কোপ প্রদর্শনী

সম্পর্কিত নিবন্ধ