বিএনপি ক্ষমতায় আসলে প্রত্যেক বাড়িতে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে: টুক
Published: 19th, September 2025 GMT
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেছেন, ‘‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে প্রত্যেক বাড়িতে একটি করে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে। আর এই কার্ড থাকবে মায়েদের নামে। নারীর সম্মানে বিএনপি এই পদক্ষেপ নেবে।’’
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে টাঙ্গাইল সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী মহাশ্মশান ঘাটে শ্রী শ্রী মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
অরাজক পরিস্থিতিতে ফেলতে চাচ্ছেন, উদ্দেশ্য কী?
দিঘলিয়ায় বিএনপির দু’ গ্রুগের কর্মসূচি, ১৪৪ ধারা জারি
সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, ‘‘আমরা যা বলি তা করার চেষ্টা করি। জিয়াউর রহমান যখন যা বলেছেন, জনগণের জন্য তা করেছেন; খালেদা জিয়াও করেছেন। আগামীতে তারেক রহমানও করবেন। সকলে মিলে এই দেশটিকে গড়ে তুলতে হবে।’’
পোড়াবাড়ী মহাশ্মশান ঘাটের সভাপতি সুশীল রাজবংশীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি শ্যামল হোড়, জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মাহমুদুল হক সানু, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুর রহমান খান শফিক, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজগর আলী প্রমুখ।
ঢাকা/কাওছার/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
নানা আয়োজনে দিনভর উৎসবের আমেজ
লম্বা পায়ে মাঠজুড়ে হেঁটে বেড়াচ্ছে এক ব্যক্তি। মাথায় রঙিন পরচুলা। সাজসজ্জাও অদ্ভুত। বিশেষ কায়দায় বাঁশের এক জোড়া লম্বা লাঠির সাহায্যে ‘রণপা’ তৈরি করে হাঁটছিল ওই ব্যক্তি, যা গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের একটি অংশ। সেই রণপা সাজের ব্যক্তির কাছে শিশু-কিশোরদের অনেকে আগ্রহ নিয়ে যাচ্ছিল, কেউ আবার কাছে যেতে ভয় পাচ্ছিল। এর মধ্যেই পাশে দাঁড়িয়ে ছবি কিংবা সেলফি তোলা ও হাত মিলিয়ে করমর্দনও করছিল কেউ কেউ।
এ ছাড়া মাঠজুড়েই ছিল শিশু-কিশোরদের খেলাধুলার নানা উপকরণ। মিনি ফুটবল খেলে গোল দেওয়া, লুডু খেলে পুরস্কার জেতা কিংবা বুদ্ধি খাটিয়ে ‘ফুট স্টেপ’ খেলা। এর বাইরে অনেক শিশু-কিশোর ছিল বাবুল্যান্ডে খেলাধুলায় কিংবা বায়োস্কোপ দেখায় মত্ত। অনেকে আবার টিয়া পাখির সাহায্যে নিজেদের ভবিষ্যৎও জেনে নিচ্ছিল।
রাজধানীর মেরুল বাড্ডায় দক্ষিণ বারিধারা সোসাইটি মাঠে প্রথম আলো আনন্দমেলায় গতকাল শুক্রবার সারা দিনের চিত্র ছিল এমনই। সকাল থেকেই সেখানে ছিল উৎসবের আমেজ। মেলা শুরু হয় সকাল আটটায়। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলে শিশু-কিশোর, অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর আগমনে তা জমজমাট হয়ে ওঠে।
শুক্রবার সকাল আটটার কিছু আগে মাঠে গিয়ে দেখা যায়, অভিভাবক নিজ নিজ সন্তানদের নিয়ে মাঠে আসছেন। সবার হাতে হাতে আঁকাআঁকির রংপেনসিল, তুলি, খাতা, স্কেল ও অন্যান্য সরঞ্জাম। সাড়ে আটটায় শিশু-কিশোরদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে শুরু হয় ‘প্রথম আলো আনন্দমেলা’। প্রতিযোগিতায় তিন শতাধিক শিশু-কিশোর অংশ নেয়।
প্রতিযোগিতায় পাশাপাশি বসে আঁকে দুই ভাই মেহরাব তালহা ও মাহির তাহমিদ। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তাদের বাবা মনিরুজ্জামান প্রথম আলোকে জানান, বড় ছেলের স্কুল মাঠের পাশেই। স্কুলে ছেলেকে আনা–নেওয়ার সময় দেখেন মাঠে এই অনুষ্ঠান আছে। পরে দুই ছেলেকে বলে রেখেছিলেন যে তাদের এখানে অংশগ্রহণ করাবেন। ছোট ছেলে মাহিরের চিত্রাঙ্কনে বেশি ঝোঁক বলেও জানান তিনি। পরে মেহরাব জুনিয়র ক্যাটাগরিতে দশম স্থান অর্জন করে। সে স্মৃতিসৌধ এঁকেছিল।
প্রথম আলো আনন্দমেলায় ছিল বায়োস্কোপ প্রদর্শনী