বৃষ্টির বাধা কাটিয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে মাঠে ফিরছে এনসিএল
Published: 19th, September 2025 GMT
টানা বৃষ্টিতে থেমে গিয়েছিল আসর। তবে দীর্ঘ অপেক্ষা নয়, মাত্র ক’দিনের বিরতির পর আবার শুরু হচ্ছে ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি। ১৬ সেপ্টেম্বর দেশজুড়ে খারাপ আবহাওয়ার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল টুর্নামেন্টটি। নতুন সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে আবারও গড়াবে বল, আর ফাইনাল হবে ১২ অক্টোবর।
গত মৌসুমের পুরো আসর অনুষ্ঠিত হয়েছিল সিলেটে। তবে এবার ক্রিকেটকে দেশের আরও বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে দিতে আয়োজন করা হয় তিন ভেন্যুতে- সিলেট, রাজশাহী ও বগুড়ায়। ১৪ সেপ্টেম্বর জমকালো সূচনা হলেও শুরু থেকেই বাধা হয়ে দাঁড়ায় বৃষ্টি।
আরো পড়ুন:
খারাপ আবহাওয়ায় স্থগিত হলো এনসিএল টি-টোয়েন্টি
রাজশাহী-বগুড়া-সিলেটে এনসিএল টি-টোয়েন্টি
উদ্বোধনী দিনে রাজশাহীতে ঢাকা মেট্রো বনাম রাজশাহীর ম্যাচে খেলা হয় মাত্র ৫ ওভার। তাতেই মাহফিজুল ইসলাম রবিনের ঝড়ো ইনিংসে জয় পায় ঢাকা মেট্রো। অন্যদিকে, বগুড়ায় সিলেট ও রংপুরের ম্যাচ এক বলও মাঠে গড়ানোর আগেই ভেস্তে যায় ভেজা আউটফিল্ডের কারণে।
পরে বগুড়ার ম্যাচগুলো সরিয়ে আনা হয় রাজশাহীতে। কিন্তু বৃষ্টি সেখানেও ছাড় দেয়নি। ঢাকা বিভাগ বনাম বরিশাল এবং খুলনা বিভাগ বনাম চট্টগ্রাম- দুটি ম্যাচই পরিত্যক্ত হয়। শেষমেশ টুর্নামেন্টের টেকনিক্যাল কমিটি বাধ্য হয় অনির্দিষ্টকালের জন্য খেলাগুলো স্থগিত করতে।
এখন সিদ্ধান্ত হয়েছে, আপাতত পুরো গ্রুপপর্ব অনুষ্ঠিত হবে সিলেটে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে নকআউট পর্ব আবার অন্য ভেন্যুতে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও জানায়নি আয়োজক কমিটি।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স প ট ম বর
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’