এশিয়া কাপে সুপার ফোরের সমীকরণ মিলে গেছে গতকালই। ‘এ’ গ্রুপ থেকে ভারত ও পাকিস্তান, ‘বি’ গ্রুপ থেকে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে সুপার ফোরে।

বাকি তিন দলের গ্রুপ পর্ব শেষ হয়ে গেলেও ভারত খেলছে আজ নিজেদের শেষ ম্যাচ। আবুধাবিতে প্রতিপক্ষ ওমান। ম্যাচটা আসলে ‘ডেড রাবার’। আর এই ডেড রাবারেই যশপ্রীত বুমরাকে বিশ্রামে দেখতে চান সুনীল গাভাস্কার। শুধু তাই নয়, তিনি চান না সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষেও বুমরা খেলুক!

ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট এমনিতেই বেছে বেছে খেলায় বুমরাকে। এশিয়া কাপের প্রথম দুই ম্যাচে খেলেছেন। আজকের ম্যাচে বিশ্রাম নেওয়া প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু পাকিস্তান ম্যাচেও তাঁকে বাইরে রাখবে ভারত? আসলে গাভাস্কার চাইছেন বুমরাকে ফাইনালের জন্য সামলে রাখতে। মানে, ভারত ফাইনালে উঠবে, এ বিশ্বাস এতটাই শক্ত তাঁর!

এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত তিন উইকেট নিয়েছেন বুমরা।.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাশিয়ার তিনটি মিগ-৩১ রুখে দেওয়ার দাবি ন্যাটোর

ইউরোপের বাল্টিক অঞ্চলের দেশ এস্তোনিয়ার আকাশসীমায় রাশিয়ার তিনটি যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশ করেছে বলে দাবি করেছে পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো। শুক্রবার অনুপ্রবেশের ঘটনার পর সেগুলো রুখে দেওয়া হয় বলে জোটের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ন্যাটো বলেছে, এটি রাশিয়ার ‘বেপরোয়া আচরণ’।

ন্যাটোর সদস্যদেশ এস্তোনিয়া। রুশ যুদ্ধবিমান অনুপ্রবেশকে ‘নির্লজ্জ’ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। শুক্রবার মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অনুমতি না নিয়েই রাশিয়ার তিনটি মিগ–৩১ যুদ্ধবিমান ন্যাটোর সদস্য এস্তোনিয়ার আকাশে প্রবেশ করে। ফিনল্যান্ড উপসাগরের ওপর সেগুলো মোট ১২ মিনিট ছিল।

রুশ যুদ্ধবিমানের ‘অনুপ্রবেশ’ নিয়ে ন্যাটোর মুখপাত্র অ্যালিসন হার্ট বলেন, যুদ্ধবিমানগুলো শনাক্ত করার পর দ্রুত পদক্ষেপ নেন তাঁরা। সেগুলোকে পথিমধ্যে আটকে দেওয়া হয়। বিস্তারিত না জানিয়ে তিনি বলেন, এটি রাশিয়ার বেপরোয়া আচরণ এবং ন্যাটোর জবাব দেওয়ার সক্ষমতার আরও একটি উদাহরণ।

এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি মস্কো। তবে ২০২২ সালে রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ন্যাটো ও মস্কোর মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। এরই মধ্যে গত সপ্তাহে ন্যাটোর আরও দুই সদস্যদেশ—পোল্যান্ড ও রোমানিয়া তাদের আকাশে রাশিয়ার ড্রোন অনুপ্রবেশের দাবি করেছে।

ন্যাটো রুশ যুদ্ধবিমান তাড়ানোর দাবি করার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান কাজা কালাস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেছেন, ইউরোপের সম্পদ ব্যবহার করে সদস্যদেশগুলোর প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করতে সহায়তা দিয়ে যাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তিনি বলেন, ‘পশ্চিমাদের সংকল্প কতটা দৃঢ়, তা পরীক্ষা করে দেখছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। আমাদের দুর্বলতা প্রকাশ করা উচিত হবে না।’

একই সুরে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেন এক্সে লিখেছেন, ‘আমরা প্রতিটি উসকানির জবাব দৃঢ়তার সঙ্গে দেব, পাশাপাশি পূর্ব সীমান্তকে আরও শক্তিশালী করতে বিনিয়োগ করব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ