কেন পাকিস্তানের বিপক্ষে বুমরাকে বিশ্রামে রাখার পক্ষে গাভাস্কার
Published: 19th, September 2025 GMT
এশিয়া কাপে সুপার ফোরের সমীকরণ মিলে গেছে গতকালই। ‘এ’ গ্রুপ থেকে ভারত ও পাকিস্তান, ‘বি’ গ্রুপ থেকে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ জায়গা করে নিয়েছে সুপার ফোরে।
বাকি তিন দলের গ্রুপ পর্ব শেষ হয়ে গেলেও ভারত খেলছে আজ নিজেদের শেষ ম্যাচ। আবুধাবিতে প্রতিপক্ষ ওমান। ম্যাচটা আসলে ‘ডেড রাবার’। আর এই ডেড রাবারেই যশপ্রীত বুমরাকে বিশ্রামে দেখতে চান সুনীল গাভাস্কার। শুধু তাই নয়, তিনি চান না সুপার ফোরে পাকিস্তানের বিপক্ষেও বুমরা খেলুক!
ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট এমনিতেই বেছে বেছে খেলায় বুমরাকে। এশিয়া কাপের প্রথম দুই ম্যাচে খেলেছেন। আজকের ম্যাচে বিশ্রাম নেওয়া প্রায় নিশ্চিত। কিন্তু পাকিস্তান ম্যাচেও তাঁকে বাইরে রাখবে ভারত? আসলে গাভাস্কার চাইছেন বুমরাকে ফাইনালের জন্য সামলে রাখতে। মানে, ভারত ফাইনালে উঠবে, এ বিশ্বাস এতটাই শক্ত তাঁর!
এশিয়া কাপে এখন পর্যন্ত তিন উইকেট নিয়েছেন বুমরা।.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’