ওমানের মাত্র ৪ উইকেটই ফেলতে পেরেছে ভারত
Published: 19th, September 2025 GMT
এক দল সবার আগে সুপার ফোরে উঠেছে, আরেক দল অনেক আগেই সুপার ফোরের লড়াই থেকে ছিটকে পড়েছে। গতকাল আবুধাবিতে ওমানের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচটা নিছক নিয়ম রক্ষার হলেও ভারতের জন্য মাইলফলকের। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় দল হিসেবে নিজেদের ২৫০তম ম্যাচ খেলতে নেমেছিল ভারত। মাইলফলকের ম্যাচটি তাদের জন্য এশিয়া কাপের সুপার ফোরের আগে ব্যাটিং–বোলিং অনুশীলনেরও ছিল।
তা ব্যাটিং অনুশীলনটা ভারতের ভালোই হয়েছে। কিন্তু বোলিং অনুশীলন? আবুধাবিতে লম্বা বাউন্ডারির জায়েদ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের ব্যবহৃত পিচে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৮৮ রান করেছে ভারত। কিন্তু বল হাতে ওমানকে অলআউট করতে পারেননি ভারতের বোলাররা। ভারতের কাছে ২১ রানে হারা দলটি ২০ ওভারে ৪ উইকেটে তুলেছে ১৬৭ রান।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’