পারমাণু কর্মসূচি ঘিরে ইরানের ওপর আরোপ করা আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা স্থায়ীভাবে তুলে নেওয়া সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিতে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

এর ফলে ইরানের ওপর অর্থনৈতিক চাপ আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তেহরান বলছে, এ সিদ্ধান্ত ‘রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট’।

নিরাপত্তা পরিষদের শুক্রবারের বৈঠকে এ সংক্রান্ত ভোটাভুটি হয়। প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান হওয়ার কারণে ইরানের ওপর বিদ্যমান নিষেধাজ্ঞা আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহাল থাকবে।

স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে প্রস্তাবের পক্ষে চারটি দেশ ভোট দিয়েছে। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে নয়টি দেশ। বাকি দুটি দেশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।

ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করার পক্ষে ভোট দিয়েছে রাশিয়া, চীন, পাকিস্তান ও আলজেরিয়া।

আর ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে না নেওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সিয়েরা লিওন, স্লোভেনিয়া, ডেনমার্ক, গ্রিস, পানামা ও সোমালিয়া। এ তথ্য ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ইরনার।

ইরনা আরও জানায়, গায়ানা ও দক্ষিণ কোরিয়া ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিল।

ভোটাভুটির পর জাতিসংঘে ইরানের স্থায়ী প্রতিনিধি আমীর সাঈদ ইরাভানি বলেন, নিরাপত্তা পরিষদে আজকের এ সিদ্ধান্ত তাড়াহুড়া করে নেওয়া হয়েছে। এটা অপ্রয়োজনীয় ও অবৈধ।

আরও পড়ুনতেল বিক্রি বন্ধে ইরানের ওপর আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ইরানের এ রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা করছে ইউরোপের প্রভাবশালী তিন দেশ। এ উদ্যোগ শুধু ভিত্তিহীনই নয়, বরং এটা আন্তর্জাতিক আইন ও নিরাপত্তা পরিষদের বিশ্বাসযোগ্যতার ওপর সরাসরি আঘাত।

আরও পড়ুনইরানের অভিযোগ, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে বেপরোয়া কৌশল নিয়েছে জার্মানি–ফ্রান্স–যুক্তরাজ্য০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫আরও পড়ুনইরানের পরমাণু কর্মসূচি কি ভাঙনের দ্বারপ্রান্তে০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স প ট ম বর প রস ত ব য ক তর

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিস্তিনি বন্দীকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস, ইসরায়েলে সেনাবাহিনীর সাবেক প্রসিকিউটর গ্রেপ্তার

ইসরায়েলি পুলিশ দেশটির সেনাবাহিনীর সাবেক একজন প্রসিকিউটরকে গ্রেপ্তার করেছে। একজন ফিলিস্তিনি বন্দীর ওপর ইসরায়েলি সেনাদের নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মেজর জেনারেল পদমর্যাদার ওই সাবেক প্রসিকিউটরের নাম ইয়াফাত তোমের-ইয়েরুশালমি। গতকাল সোমবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী।

জানা যায়, অনলাইনে ওই ভিডিওটি ফাঁস হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছিল। তখন তিনি তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর নিখোঁজ ছিলেন।

ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, সৈন্যরা এক বন্দীকে আলাদা স্থানে নিয়ে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের সঙ্গে একটি কুকুর রয়েছে। তাঁরা দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণের সরঞ্জাম ব্যবহার করে নিজেদের কার্যকলাপ এমনভাবে আড়াল করে রেখেছেন, যাতে কেউ দেখতে না পারে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভিডিও ফাঁসের ঘটনাকে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে ‘জনসংযোগের ওপর সবচেয়ে তীব্র আক্রমণ’ বলে মন্তব্য করেছেন।

আরও পড়ুনফিলিস্তিনি বন্দীর ওপর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস ঘিরে ইসরায়েলের শীর্ষ আইনি কর্মকর্তার পদত্যাগ০১ নভেম্বর ২০২৫

অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা থেকে আল-জাজিরার নউর ওদেহ বলেন, ওই নারী প্রসিকিউটরের আটকের ঘটনা ইসরায়েলে ‘রাজনৈতিক ও আইনি ঝড়’ তৈরি করেছে। তবে আটক হওয়া ব্যক্তির ওপর বাড়তি মনোযোগ মূল ঘটনা থেকে নজর সরিয়ে দিচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের কারাগারগুলোয় অন্তত ৭৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন‘স্বপ্ন ছিল বুকে জড়িয়ে ধরার, এখন আশা দাফনটা যদি অন্তত করতে পারি’২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ