যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ থেকে পদত্যাগ করেছেন বিশেষ কৌঁসুলি জ্যাক স্মিথ। দেশটির হবু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি মামলা লড়ছিলেন তিনি। চলতি মাসের শেষের দিকে ট্রাম্পের দায়িত্ব গ্রহণের আগেই বিচার বিভাগ ছাড়লেন স্মিথ।

আদালতে গতকাল শনিবার দাখিল করা একটি নথিতে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার জ্যাক স্মিথ বিচার বিভাগ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন।

আরও পড়ুনট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ের স্বীকৃতি দিল মার্কিন কংগ্রেস০৬ জানুয়ারি ২০২৫

বিবিসির মার্কিন অংশীদার সিবিএস নিউজ গত নভেম্বরে এক প্রতিবেদনে জানায়, নিজের কাজগুলো শেষ হওয়ার পর জ্যাক স্মিথ বিচার বিভাগ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন। ট্রাম্পের গোপন নথিসংক্রান্ত মামলায় স্মিথের করা তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ নিয়ে চলমান বিতর্কের মধ্যেই তাঁর পদ ছাড়ার কথা জানা গেল।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করা মার্কিন বিচার বিভাগের দুটি মামলার বিশেষ কৌঁসুলি হিসেবে ২০২২ সালে নিয়োগ পান জ্যাক স্মিথ। ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল ভবনে দাঙ্গায় উসকানি দেওয়া ও সরকারি গোপন নথি সরানোর অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ওই মামলা দুটি করা হয়েছিল।

দুটি মামলাতেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ আনা হয়েছিল। যদিও ট্রাম্প বরাবর অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন। দাবি করেছেন, মামলাগুলো রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।

আরও পড়ুনপর্ন তারকাকে ঘুষের মামলায় দণ্ড হিসেবে ‘শর্তহীন মুক্তি’ পেলেন ট্রাম্প১০ জানুয়ারি ২০২৫

গত বছর ট্রাম্প আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মামলা দুটির কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। কৌঁসুলিরা লিখিতভাবে জানান, বিচার বিভাগের নিয়মকানুনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলা চালানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নভেম্বরে সিবিএস নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্যাক স্মিথ পদত্যাগ করতে পারেন। ট্রাম্প বা তাঁর নতুন প্রশাসনের অ্যাটর্নি জেনারেল কর্তৃক বরখাস্ত হওয়ার আগেই পদত্যাগের সুযোগ পাবেন তিনি।

ট্রাম্প একসময় বলেছিলেন, হোয়াইট হাউসে বসার ‘দুই সেকেন্ডের মধ্যে’ জ্যাক স্মিথকে চাকরিচ্যুত করবেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ক্ষমতায় ফিরছেন ট্রাম্প। এর মধ্যেই পদত্যাগের কথা জানালেন স্মিথ।

আরও পড়ুনলেখিকা জেন ক্যারলকে যৌন নির্যাতনের মামলার আপিলে হারলেন ট্রাম্প৩১ ডিসেম্বর ২০২৪আরও পড়ুনযুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধের আইন স্থগিত রাখতে সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ ট্রাম্পের২৮ ডিসেম্বর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিস্তিনি বন্দীকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস, ইসরায়েলে সেনাবাহিনীর সাবেক প্রসিকিউটর গ্রেপ্তার

ইসরায়েলি পুলিশ দেশটির সেনাবাহিনীর সাবেক একজন প্রসিকিউটরকে গ্রেপ্তার করেছে। একজন ফিলিস্তিনি বন্দীর ওপর ইসরায়েলি সেনাদের নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মেজর জেনারেল পদমর্যাদার ওই সাবেক প্রসিকিউটরের নাম ইয়াফাত তোমের-ইয়েরুশালমি। গতকাল সোমবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী।

জানা যায়, অনলাইনে ওই ভিডিওটি ফাঁস হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছিল। তখন তিনি তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর নিখোঁজ ছিলেন।

ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, সৈন্যরা এক বন্দীকে আলাদা স্থানে নিয়ে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের সঙ্গে একটি কুকুর রয়েছে। তাঁরা দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণের সরঞ্জাম ব্যবহার করে নিজেদের কার্যকলাপ এমনভাবে আড়াল করে রেখেছেন, যাতে কেউ দেখতে না পারে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভিডিও ফাঁসের ঘটনাকে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে ‘জনসংযোগের ওপর সবচেয়ে তীব্র আক্রমণ’ বলে মন্তব্য করেছেন।

আরও পড়ুনফিলিস্তিনি বন্দীর ওপর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস ঘিরে ইসরায়েলের শীর্ষ আইনি কর্মকর্তার পদত্যাগ০১ নভেম্বর ২০২৫

অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা থেকে আল-জাজিরার নউর ওদেহ বলেন, ওই নারী প্রসিকিউটরের আটকের ঘটনা ইসরায়েলে ‘রাজনৈতিক ও আইনি ঝড়’ তৈরি করেছে। তবে আটক হওয়া ব্যক্তির ওপর বাড়তি মনোযোগ মূল ঘটনা থেকে নজর সরিয়ে দিচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের কারাগারগুলোয় অন্তত ৭৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন‘স্বপ্ন ছিল বুকে জড়িয়ে ধরার, এখন আশা দাফনটা যদি অন্তত করতে পারি’২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ