উত্তর কোরিয়ার দুই সেনাকে আটকের দাবি ইউক্রেনের, করা হবে জিজ্ঞাসাবাদ
Published: 12th, January 2025 GMT
রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে যুদ্ধরত উত্তর কোরিয়ার দুই সেনাকে আটকের দাবি করেছে ইউক্রেন। আটক সেনাদের রাজধানী কিয়েভে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তদন্তকারীরা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলে জানিয়েছে দেশটি।
এ বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, এই দুই যুদ্ধবন্দী ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ গোয়েন্দা সংস্থা সিকিউরিটি সার্ভিস অব ইউক্রেনের (এসবিইউ) সঙ্গে ‘যোগাযোগ’ করেছিল।
গতকাল শনিবার এক্স পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, রুশ বাহিনীগুলো এবং অন্যান্য উত্তর কোরিয়ার সামরিক কর্মকর্তারা সাধারণত চলমান যুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার জড়িত থাকার প্রমাণ মুছে ফেলতে তাদের আহত সৈনিকদেরও মৃত্যুদণ্ড দিয়ে থাকে।
এসবিইউর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আটক হওয়া উত্তর কোরিয়ার এক সেনার কাছ থেকে কোনো নথিপত্র পাওয়া যায়নি। অন্যজনের কাছে রাশিয়ার সামরিক পরিচয়পত্র ছিল। মঙ্গোলিয়ার সঙ্গে রুশ সীমান্তঘেঁষা তুভা অঞ্চলের একজনের নামে সেটা করা হয়েছিল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দুই বন্দীর কেউই ইউক্রেনীয়, ইংরেজি কিংবা রুশ ভাষায় কথা বলতে পারেন না। তাই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সময় লাগছে। এক্ষেত্রে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দারা দোভাষী দিয়ে সহায়তা করছে।
আরও পড়ুনকুরস্কে ৫ মাসে প্রায় ১৫ হাজার রুশ সেনা নিহত: জেলেনস্কি০৭ জানুয়ারি ২০২৫এসবিইউ বলছে, আটক হওয়া একজন সেনা দাবি করেছেন, তাঁকে ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে আনা হচ্ছে সেটা তিনি আগে জানতেন না। তাঁকে বলা হয়েছিল, প্রশিক্ষণের জন্য রাশিয়ায় নেওয়া হচ্ছে।
আটক দুজনকেই জেনেভা কনভেনশনের শর্ত মেনে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলেও নিশ্চিত করেছে এসবিইউ। তবে তাঁদের বিস্তারিত পরিচয় জানায়নি ইউক্রেন।
এবারই প্রথম ইউক্রেনের গোয়েন্দারা যুদ্ধরত উত্তর কোরীয় সেনাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ পেয়েছে। তবে এর আগেও কিয়েভের পক্ষ থেকে যুদ্ধে আহত উত্তর কোরিয়ার সেনাদের আটকের কথা বলা হয়েছিল। তবে তাঁরা গুরুতর আহত ছিলেন। আটকের পরপরই মারা যান।
আরও পড়ুনইউক্রেনের আরেকটি কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ শহর দখল রাশিয়ার০৬ জানুয়ারি ২০২৫ইউক্রেনের একজন জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা গত মাসে দাবি করেন, কুরস্ক অঞ্চলে রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধ করা প্রায় ২০০ উত্তর কোরিয়ার সেনা সম্মুখসমরে হয় নিহত, না হয় আহত হয়েছেন।
হোয়াইট হাউস ও পেন্টাগনের পক্ষ থেকে গত মাসে নিশ্চিত করা হয় যে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী মূলত পদাতিক অবস্থানে থেকে রাশিয়ার হয়ে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে সম্মুখ লড়াইয়ে অংশ নিচ্ছে।
আরও পড়ুনরাশিয়ার কুরস্কে নতুন করে হামলা শুরু করেছে ইউক্রেন০৫ জানুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সংগীতশিল্পী দীপ মারা গেছেন
রাস্টফ ব্যান্ডের ভোকাল আহরার মাসুদ মারা গেছেন। সেমাবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ভক্তদের কাছে দীপ নামে পরিচিত ছিলেন আহরার মাসুদ।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এ শিল্পীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি।
আরো পড়ুন:
৫০ শয্যার থানচি হাসপাতাল চলছে একজন চিকিৎসকে
সিজেএফবি পারফরম্যান্স অ্যাওয়ার্ড ঘোষণা
রাস্টফ ব্যান্ডের ফেসবুক পেজে দীপের মৃত্যুর খবর জানিয়ে লেখা হয়, “এমন এক বেদনাদায়ক মুহূর্তে সঠিক শব্দ খুঁজে পাওয়া বা কোনো শব্দ খুঁজে পাওয়া—প্রায় অসম্ভব। প্রিয় ভোকালিস্ট, বন্ধু ও সহযাত্রী আহারার ‘দীপ’ মাসুদের মৃত্যুসংবাদ আমাদের স্তম্ভিত করেছে। আমরা শোকে ভেঙে পড়েছি, এখনো অবিশ্বাসের ভেতর ডুবে আছি। গত রাতেই তিনি আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন।”
দীপের শূন্যতা ব্যাখ্যা করে লেখা হয়, “তার পরিবার, বন্ধু ও প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের অন্তরের সমবেদনা ও প্রার্থনা। আপনাদের মতো আমরাও এই অপূরণীয় ক্ষতি বোঝার চেষ্টা করছি, চেষ্টা করছি দীপের অসাধারণ প্রতিভাকে সম্মান জানাতে এবং তার চেয়েও বড় কথা—মানুষ হিসেবে তিনি আমাদের কাছে যে অমূল্য ছিলেন, তাকে স্মরণ করতে। এই কঠিন সময়ে সবার কাছে অনুরোধ, দয়া করে পরিবার ও কাছের মানুষদের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করুন এবং তার আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করুন। শান্তিতে ঘুমাও, দীপ। তোমার শূন্যতা চিরকাল বেদনাময় হয়ে থাকবে।”
তরুণদের কাছে জনপ্রিয় আরেকটি ব্যান্ড পাওয়ারসার্চও দীপের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, “স্মরণ করছি আহরার মাসুদ দীপকে। কিছুক্ষণ আগে আমরা হারিয়েছি আমাদের প্রিয় ভাই, ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং এক সত্যিকারের শিল্পীকে। এক্লিপস, কার্ল, ক্যালিপসো ও সবশেষ রাস্টফ ব্যান্ডের অবিস্মরণীয় কণ্ঠ আহরার মাসুদ দীপ আমাদের মাঝে আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।”
পাওয়ারসার্চ আরো লেখেন, “আহরার মাসুদ দীপ শুধু একজন ভোকালিস্টই ছিলেন না, তিনি ছিলেন শক্তি, সৃজনশীলতা আর আবেগের প্রতীক, যিনি তার চারপাশের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছেন; একই সাথে তার অত্যন্ত নমনীয় ব্যবহার, যা সবাইকে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীই করে ফেলত! শান্তিতে থাকো ভাই, তুমি সব সময় আমাদের গল্পের অংশ হয়ে থাকবে।”
ঢাকা/শান্ত