বাদ পড়েই লিটনের সেঞ্চুরি, শতক তানজিদের, বিপিএলের রেকর্ড রান
Published: 12th, January 2025 GMT
সাদা বলের ক্রিকেটে টানা ব্যর্থতার মধ্যে ছিলেন লিটন দাস। ভারতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের পর ওয়ানডে ফরম্যাটে ফিফটি পাননি তিনি। সর্বশেষ দুই টি-২০ সিরিজেও হাসেনি তার ব্যাট। যে কারণে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায় ছিলেন ডানহাতি টপ অর্ডার ব্যাটার লিটন।
বিপিএল ছিল তার দলে ফেরার একমাত্র খোলা পথ। সেখানেও ঢাকা ক্যাপিটালসের প্রথম পাঁচ ম্যাচে রান পাননি লিটন। ঢাকা পর্বের এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন লিটন। রোববার ঘোষিত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল থেকে তাই বাদ দেওয়া হয়েছে তাকে।
দল চূড়ান্ত হওয়ার পরই যেন রানে ফিরেছেন ডানহাতি ব্যাটার লিটন দাস। সিলেট পর্বে দলের ষষ্ঠ ম্যাচে রানে ফিরেছিলেন তিনি। সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে তার দল খেলেন ৪৩ বলে ৭৩ রানের ইনিংস। ১০টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা মারেন তিনি।
রোববার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার পর আরও চড়াও লিটনের ব্যাট। তিনি দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করেছেন। ৪৩ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত খেলেন ৫৫ বলে ১২৫ রানের ইনিংস। তার ব্যাট থেকে ১০টি চার ও নয়টি ছক্কার ইনিংস আসে।
তার সঙ্গে সেঞ্চুরি করেন ওপেনার তানজিদ তামিমও। বাঁ-হাতি এই ওপেনার খেলেন ৬৪ বলে ১০৮ রানের ইনিংস। বিপিএলে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি ইনিংসটি তিনি ছয়টি চারের সঙ্গে আটটি ছক্কা সাজান। তাদের জুটি থেকে আসে ২৪১ রান। বিপিএলে যা সর্বোচ্চ জুটির রেকর্ড। তারা ভেঙেছেন ২০১৭ সালে রংপুরের হয়ে ঢাকার বিপক্ষে ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম ও ক্রিস গেইলের ২০১ রানের জুটি।
ঢাকা নির্ধারিত ২০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রান করেছে। বিপিএলে যা এক ইনিংসে সর্বোচ্চ রান। এর আগে ২০১৯ ও ২০২৪ সালে চট্টগ্রামে চট্টগ্রামের বিপক্ষে যথাক্রমে রংপুর ও কুমিল্লা করেছিল ওই রান।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ শুরু হচ্ছে শনিবার মধ্যরাতে
তিন মাস দুই দিন পর কাপ্তাই হ্রদে শুরু হচ্ছে মৎস্য আহরণ। শনিবার (২ আগস্ট) মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরতে পারবেন জেলেরা।
কাপ্তাই হ্রদে পর্যাপ্ত পানি থাকায় কয়েক বছরের মধ্যে এবার নির্দিষ্ট সময়ে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছে জেলা প্রশাসন। অন্যান্য বছর ২-৩ দফা সময় বাড়িয়ে প্রায় চার মাস পর মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হতো। কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের বংশবৃদ্ধি, প্রজনন এবং অবমুক্ত করা মাছের বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছর তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা দেয় জেলা প্রশাসন।
এদিকে, মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পর শুধু জেলে পাড়া নয়, কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে জেলার সবচেয়ে বড় মৎস্য অবতরণকেন্দ্র বিএফডিসি ঘাট। মাছ পরিবহন ও সংরক্ষণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে ড্রাম, বরফ ভাঙার মেশিন। দীর্ঘ ৯২ দিনের কর্মহীন জীবনের অবসান ঘটাতে প্রহর গুনছেন জেলেরা। ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি)।
বিএফডিসি সূত্র বলছে, কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন, অবমুক্ত করা পোনা মাছের সুষ্ঠু বৃদ্ধির জন্য ১ মে থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ রাখা হয়। এ সময়ে হ্রদে প্রায় ৬০ মেট্রিক টন কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়। কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করেন প্রায় ২৬ হাজার জেলে।
রাঙামাটির শহরের পুরান পাড়া জেলা পল্লীর বাসিন্দা নেপাল দাশ জানিয়েছেন, মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞাকালে যে সরকারি সহায়তা পাওয়া যায়, তাতে পরিবার নিয়ে চলা কঠিন। দীর্ঘ তিন মাস পর মাছ ধরতে নামতে পারব, এতে খুশি আমরা।
নতুন পাড়ার জেলে অমর কান্তি দাশ বলেছেন, হ্রদে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাছগুলো বড় হওয়ার সুযোগ পাবে। তবে, পানিতে ঢেউ থাকায় শুরুতে বেশি মাছ পাওয়া যাবে না। পানি কিছু কমে আসলে ও স্থির হলে ভালো মাছ পাব, আশা করি। হ্রদে নামার জন্য যা যা প্রস্তুতি, সবকিছু শেষ করেছি। জাল ও নৌকা মেরামত করা হয়েছে। এখন শুধু লেকে নামার অপেক্ষা।
রাঙামাটি মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি উদয়ন বড়ুয়া বলেছেন, এবার নিষেধাজ্ঞার শুরু থেকে পর্যাপ্ত বৃষ্টির ফলে কাপ্তাই হ্রদে যথেষ্ট পানি থাকায় মাছ প্রথম থেকেই প্রজনন এবং বড় হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। আশা করছি, এবার পর্যাপ্ত মাছ পাওয়া যাবে। ব্যবসায়ীরা সব প্রস্ততি নিয়েছেন। রবিবার সকাল থেকে বিএফডিসি ঘাটে মাছ আসবে।
বিএফডিসির রাঙামাটি অঞ্চলের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মো. ফয়েজ আল করিম বলেছেন, নিষেধাজ্ঞাকালীন আমাদের উপকেন্দ্রগুলোর যেসব অবকাঠামো সংস্কারের প্রয়োজন ছিল, সেসব আমরা শেষ করেছি। অন্যান্য যেসব প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন, সেসবও শেষ হয়েছে। আশা করছি, গত বছরের মতো এবছরও ভালো মাছ পাওয়া যাবে।
ঢাকা/শংকর/রফিক