একদিকে স্বামীর সংসারের অভাব-অনটন অন্যদিকে নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করে সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেছেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার কুতুবপুর ইউনিয়নের দেলপাড়ার ক্যানেলস্থ এলাকার এক নারী উদ্যোক্তা মোছাঃ ফরিদা। 

স্বামী-সংসারের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে নিজ পায়ে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে মাত্র ২টি ষাঁড় গরু দিয়ে শুরু করে আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠেছেন তিনি। তার এই প্রচেষ্টা দেখে বাড়তি আয়ের আশায় এলাকার অনেকেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন খামারী হতে।

ফরিদা একজন ভূমিহীন নারী খামারি। যিনি ২০১৪ সালে আর্থিক লোন নিয়ে  দুটি ষাড় দিয়ে   ভাড়াকৃত জায়গায় ছোট পরিসরে খামার শুরু করেন । পরবর্তীতে উনি ষাঁড়গুলো বিক্রি করে  একটি গাভী এবং একটি বাছুর কেনেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল নারায়ণগঞ্জ সদর, নারায়ণগঞ্জ থেকে গবাদি পশু লালন পালন বিষয়ের উপর বিভিন্ন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।

এছাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সুপারিশে তিনি আর্থিক লোন পান। প্রাণিসম্পদ দপ্তর হতে চিকিৎসা, মেডিসিন, ভ্যাকসিন সহায়তা পান। পরবর্তীতে প্রাণিসম্পদ ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি)এর আওতায় পিজি সদস্য হিসেবে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ, প্রণোদনা,ভ্যাকসিন, মেডিসিন, ছাগলের জন্য পরিবেশ বান্ধব ঘর পান। 

ধীরে ধীরে উনি আরো কিছু গাভী, ২ টি ছাগল, ১৪ টি ভেড়া, ২টি হাঁস,  ২ টি মুরগি কেনেন। বর্তমানে তার খামারে গরু- ১৪টি, ছাগল -১৬টি, ভেড়া -৭২টি,কবুতর -১০টি, দেশি মুরগি -৬০টি, হাঁস -৫১টি। ফরিদা ইয়াসমিন বর্তমানে একজন সফল নারী খামারী। 

তার  বাৎসরিক আয় প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা। প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে  উনি অসামান্য অবদান রাখছেন, সমাজে নিরাপদ প্রাণিজ আমিষ সরবরাহ করছেন। উনি সরকারের কাছে একটি জমি লিজ চান যাতে উনার খামারটি আরো বিস্তৃত পরিসরে করতে পারেন এবং আরো অনেকের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারেন।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

শিক্ষার্থী জুবায়েদ হত্যা, সোনারগাঁও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ

রাজধানীর আরমানিটোলার পানির পাম্প গলিতে দুর্বৃত্তদের হাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ১৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্য মোঃ জুবায়েদ হোসেন হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে সোনারগাঁও সরকারি কলেজ ছাত্রদল।

সোমবার (২০ জুলাই ২০২৫) দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে নেতৃত্ব দেন কলেজ ছাত্রদলের সভাপতি আমিনুল ইসলাম। এ সময় ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমান হাবিব, ভূবণ আহমেদ, মোতালিব, সুমনসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা বলেন, “জুবায়েদ হত্যাকাণ্ড কোনো সাধারণ ঘটনা নয়। এটি পরিকল্পিত সন্ত্রাসী হামলা। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”

আমিনুল ইসলাম বলেন, “জুবায়েদ ছিল আমাদের মতোই একজন ছাত্র একজন স্বপ্নবান তরুণ। তাকে যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে, তারা কেবল একজন ছাত্র নয়, গোটা ছাত্র সমাজের ওপর আঘাত হেনেছে। আমরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই এই হত্যার বিচার না হলে দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”

তিনি আরও বলেন, “ছাত্রদলের একজন কর্মীকে নৃশংসভাবে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা প্রমাণ করেছে তারা মানুষের জান-মালের কোনো মূল্য দেয় না। এ ধরনের জঘন্য ঘটনার বিচার না হলে সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে।” বিক্ষোভ শেষে হত্যাকাণ্ডের বিচার দাবিতে একটি স্মারকলিপি ও প্রদান করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হামিদুল হক মোহন আর নেই
  • শিক্ষার্থী জুবায়েদ হত্যা, সোনারগাঁও সরকারি কলেজ ছাত্রদলের বিক্ষোভ
  • চাকসুর নির্বাচিতদের গ্যাজেট প্রকাশ মঙ্গলবার, শপথ বৃহস্পতিবার 
  • খুলনা কারাগারে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ বন্দীকে কাশিমপুরে প্রেরণ
  • সাভারে বিউপি শিক্ষার্থী ধর্ষণের প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ
  • শিক্ষকদের ওপর হামলা হলে দায় সরকারের: আজিজী
  • ভোটের মাঠে অভিনেতা তারিক স্বপন
  • ইলিশ মজুতের উদ্দেশ্যে আনা এক ট্রাক বরফ জব্দ
  • কেঁচোর জাদুতে বদলে গেলো কামরুজ্জামানের ভাগ্য