স্মার্টফোন শুধু গেম খেলা নয়, বরং সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশেও সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে। বিভাগীয় শহর খুলনায় এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজ বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে ‘ক্যাপচার দ্য ফিউচার- ২০২৫’ আয়োজন যেন সে কথাই বলছে।
শিশুকে আধুনিক ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফি শেখানোর সঙ্গে তাদের স্বপ্ন দেখা ও তা ক্যামেরায় ধারণ করার মাধ্যমে সৃজনশীলতা ও কল্পনার বিকাশ ঘটানো প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য।
দুই দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে আয়োজনের সূচনা হয়। সারাদেশ থেকে আসা শিশু প্রতিনিধিরা উইন্টার ক্যাম্পে ভিভো ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন ব্যবহার করে খুলনা ও বাগেরহাটের ঐতিহাসিক স্থাপত্যের ছবি ধারণ করে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে শিশুদের তোলা নির্বাচিত ছবির প্রদর্শনী হয়। একই সঙ্গে গত বছরের ছবির স্মৃতিপথ প্রদর্শিত হয়, যা উপস্থিত দর্শককে মুগ্ধ করে। প্রদর্শনীতে স্থান পায় ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব।
খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও তথ্যপ্রযুক্তি) সাদিয়া আফরিন বলেন, শিশুদের সৃজনশীলতা দেখে সত্যিই অভিভূত। প্রযুক্তিগত দক্ষতা শেখানোর মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করাই হবে আমাদের লক্ষ্য। উদ্যোক্তাদের এমন আয়োজন ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকুক– সেই প্রত্যাশা রাখছি।
ভিভো বাংলাদেশের কান্ট্রি ব্র্যান্ড ম্যানেজার তানজীব আহমেদ বলেন, ক্যাপচার দ্য ফিউচার প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য হলো শিশুর সৃজনশীলতাকে উদ্দীপিত করা এবং ছবি তোলার মাধ্যমে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও কল্পনার বিকাশ ঘটানো। প্রযুক্তি ব্র্যান্ড হিসেবে আমরা সব সময় অগ্রগতির চালিকাশক্তি হিসেবে সক্রিয় দায়িত্ব পালনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
প্রশিক্ষক তানভীর মুরাদ তপু (হেড অব ফটোগ্রাফি ডিপার্টমেন্ট, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট) বলেন, কর্মশালার মাধ্যমে প্রজন্মের ঐতিহ্যকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেওয়া যাবে। প্রযুক্তিগত উন্নতির মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম নিজেদের গল্প তুলে ধরতে পারবে। ভিভো বাংলাদেশ ও এসওএস চিলড্রেনস ভিলেজেস বাংলাদেশ যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশি শিশুদের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ নিশ্চিতে কাজ করার কথা জানিয়েছে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আইফোনের আদলে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনেও আসতে পারে ইমার্জেন্সি লাইভ ভিডিও–সুবিধা

স্মার্টফোন এখন শুধু যোগাযোগের মাধ্যম নয়, জরুরি মুহূর্তে নির্ভরযোগ্য সহায়ক সরঞ্জামও। দুর্ঘটনা বা বিপদের সময় ব্যবহারকারীরা ফোনের মাধ্যমে যেমন দ্রুত প্রিয়জনদের খবর দিতে পারেন, তেমনি সরাসরি জরুরি সেবায় যুক্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। এরই মধ্যে ‘ইমার্জেন্সি এসওএস লাইভ ভিডিও’–সুবিধা চালু করেছে অ্যাপল। গুগলও তাদের পিক্সেল ফোনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ির দুর্ঘটনা শনাক্তকরণ, সেফটি চেক ও সংকটকালীন সতর্ক বার্তা পাঠানোর মতো সুবিধা চালু করেছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হতে পারে আইফোনের মতোই জরুরি সেবায় লাইভ ভিডিও পাঠানোর সুবিধা।

গত বছর ইমার্জেন্সি এসওএস লাইভ ভিডিও–সুবিধা চালু করে অ্যাপল। এ সুবিধার মাধ্যমে জরুরি সেবাকর্মীরা প্রয়োজনে বিপদগ্রস্ত ব্যক্তির আইফোনের ক্যামেরা চালু করে ঘটনাস্থলের সরাসরি ভিডিও বা ছবি দেখতে পারেন। ব্যবহারকারীর পক্ষে এসব ভিডিও বা ছবি সংরক্ষণ করা সম্ভব না হলেও জরুরি সেবাকর্মীরা সংরক্ষণ করতে পারেন। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি জানিয়েছে, গুগল প্লে সার্ভিসের সর্বশেষ বেটা সংস্করণে সম্প্রতি বেশ কিছু নতুন কোড শনাক্ত করা হয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘শেয়ার লাইভ ভিডিও’ ও ‘ইমার্জেন্সি সার্ভিসেস উইল ইউজ ইয়োর ক্যামেরা টু ভিউ দিস ইমার্জেন্সি।’ এতে ধারণা করা হচ্ছে, অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরাও শিগগির জরুরি সেবার সঙ্গে সরাসরি লাইভ ভিডিও শেয়ার করার সুযোগ পাবেন।

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে জরুরি মুহূর্তে লাইভ ভিডিও–সুবিধা চালুর বিষয়ে এখনো গুগলের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। এই সুবিধা সব অ্যান্ড্রয়েড ফোনে চালু হবে, না শুধু গুগলের পিক্সেল ফোনে সীমাবদ্ধ থাকবে, সেটিও পরিষ্কার নয়।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে গুগলের পিক্সেল ফোনে সীমিত পর্যায়ে জরুরি ভিডিও ধারণের সুবিধা চালু রয়েছে। এই সুবিধায় সর্বোচ্চ ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ভিডিও ধারণ করার পর ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে ভিডিওর লিংক স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্ধারিত জরুরি নম্বরে পাঠানো যায়। তবে অ্যাপলের মতো সরাসরি জরুরি সেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা লাইভ ভিডিও স্ট্রিমিং করতে পারেন না।

সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আইফোনের আদলে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনেও আসতে পারে ইমার্জেন্সি লাইভ ভিডিও–সুবিধা