সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার লক্ষ্যে পাঁচটি সেল গঠন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। এগুলো হলো শহীদ পরিবার ও আহত কল্যাণ সেল, দপ্তর সেল, প্রচার ও প্রকাশনা সেল, আইসিটি সেল এবং তথ্য ও জনসংযোগ সেল।

আজ রোববার রাতে পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এসব সেল গঠনের কথা জানান জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন। প্রতিটি সেলে একজন সেল সম্পাদক ও কয়েকজন করে সদস্য রয়েছেন।

শহীদ পরিবার ও আহত কল্যাণ সেলের সম্পাদক করা হয়েছে মাহমুদা আলমকে। এই সেলে সদস্য হিসেবে আছেন তামিম আহমেদ, শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, মো.

রাকিব হোসেন ও কাজী আশরাফুর রহমান।

দপ্তর সেলের সম্পাদক হয়েছেন মনিরা শারমিন। এই সেলে সদস্য হিসেবে আছেন হাসান আলী খান ও আবু সাঈদ।

মো. আরিফুর রহমানকে প্রচার ও প্রকাশনা সেলের সম্পাদক করা হয়েছে। এই সেলে সদস্য হিসেবে আছেন খান মুহাম্মদ মুরসালিন, মীর আরশাদুল হক ও আরেফিন মোহাম্মদ হিজবুল্লাহ।

আইসিটি সেলের সম্পাদক করা হয়েছে মো. ফরহাদ আলম ভূঁইয়াকে। এই সেলের সদস্য করা হয়েছে মো. আজহার উদ্দিন অনিক, সাবহানাজ রশীদ দিয়া, রাফিদ ভূঁইয়া ও তারিক আদনান মুনকে।

তথ্য ও জনসংযোগ সেলের সম্পাদক করা হয়েছে মামুনুর রশীদকে। এই সেলের সদস্য হিসেবে আছেন মশিউর রহমান ও তামিম আহমেদ।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

লামিনে ‘মেসি’ ইয়ামাল

১৭ বছর বয়সী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো: ১৯ ম্যাচ, ৫ গোল, ৪ গোলে সহায়তা।

১৭ বছর বয়সী লিওনেল মেসি: ৯ ম্যাচ, ১ গোল, গোলে সহায়তা নেই।

১৭ বছর বয়সী লামিনে ইয়ামাল: ১০০ ম্যাচ, ২২ গোল, ৩৩ গোলে সহায়তা।

মেসি–রোনালদোর সঙ্গে তুলনা নয়, লামিনে ইয়ামালের শুরুটা বোঝাতে এই পরিসংখ্যান হাজির করেছে টিএনটি স্পোর্টস। ধূমকেতুর মতো শুরু হলেও ধূমকেতুর মতোই মিলিয়ে যাওয়ার পাত্র তিনি নন।

বার্সেলোনার এস্তাদি অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে  গত রাতের ম্যাচটি স্মরণ করতে পারেন। ৬ গোলের থ্রিলার, যেখানে বার্সেলোনা–ইন্টার মিলান সেমিফাইনাল প্রথম লেগের ‘ক্লাসিক’ লড়াই ৩–৩ গোলে অমীমাংসীত। দুই দলের হয়েই ‘সুপার হিরো’ ছিলেন বেশ কজন। ইন্টারের যেমন ডেনজেল ডামফ্রিস ও মার্কাস থুরাম, বার্সার তেমনি রাফিনিয়া, ফেরান তোরেসরা। কিন্তু সবাইকে ছাপিয়ে ঠিকই রবির কিরণের মতো আলো দিয়েছেন এক কিশোর—লামিনে ইয়ামাল নাসরাউয়ি এবানা। সংক্ষেপে লামিনে ইয়ামাল।

আরও পড়ুন৬ গোলের থ্রিলারে বার্সেলোনা–ইন্টার সেয়ানে সেয়ানে টক্কর৮ ঘণ্টা আগে

২৪ মিনিটে ইয়ামালের করা গোলটির প্রসঙ্গে পরে আসা যাবে। যেভাবে খেলেছেন তাতে গোলটি না করলেও লোকে কাল রাতে তাঁর পারফরম্যান্স মনে রাখতেন। পরিসংখ্যান বলছে ১০২টি টাচ, একটি গোল, ২টি গোল হওয়ার মতো পাস, ৬টি শট (পোস্টে মেরেছেন দুবার) এবং ১০টির মধ্যে ৬টি সফল ড্রিবলিং।

কিন্তু পরিসংখ্যানে এ তথ্য নেই—মাঠে ডান প্রান্তকে ইয়ামাল ফাইনালে ওঠার হাইওয়ে বানিয়ে যতবার কাট–ইন করে ইন্টারের বক্সে ঢুকেছেন, সেটা আসলে ইতালিয়ান ক্লাবটির রক্ষণের জন্য দুঃস্বপ্নের। প্রতিবারই মৌমাছির মতো ছেঁকে ধরা হয়েছে ইয়ামালকে। কিন্তু আটকানো কি সম্ভব হয়েছে? রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওগুলো ভাসছে। সেসব আসলে ইয়ামালের পায়ের কারুকাজে ইন্টারের রক্ষণকে স্রেফ খোলামকুচির মতো উড়িয়ে দেওয়ার ভিডিও।

ইয়ামাল কত ভয়ংকর সেটা এই এক ছবিতেই পরিস্কার। সবাই ছেঁকে ধরেও তাঁকে আটকাতে পারেননি

সম্পর্কিত নিবন্ধ