শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত সবচেয়ে ভালো মানের ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কারসাজির মাধ্যমে দাম বাড়ানো বন্ধ কোম্পানি খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ। খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগের অন্তর্ভুক্তির বিপরীতে ডিএস-৩০ সূচক থেকে বাদ পড়েছে বহুজাতিক কোম্পানি হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, বেক্সিমকো লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক ও সামিট পাওয়ারের মতো কোম্পানি।

কয়েক বছর ধরে বাজারে বন্ধ কোম্পানি খান ব্রাদার্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজির ঘটনা ঘটছে। তাতে গত দুই বছরে কোম্পানিটির ১২ টাকার শেয়ারের দাম উঠেছে সর্বোচ্চ ২৩২ টাকা পর্যন্ত। গতকাল রোববারও এটির শেয়ারের দাম ১৬ টাকা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৭ টাকায়।

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পক্ষ থেকে অর্ধবার্ষিক পর্যালোচনার ভিত্তিতে সূচকটি সমন্বয় করতে গিয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। ডিএসই জানিয়েছে, সূচক সমন্বয়ের ফলে ভালো মৌলভিত্তির ৩০ কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক থেকে ৯টি কোম্পানি বাদ পড়েছে। তার বিপরীতে নতুন করে এ সূচকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ৯টি কোম্পানি।

কোম্পানিগুলোর বার্ষিক ও ত্রৈমাসিক কার্যক্রম পর্যালোচনার ভিত্তিতে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ও ডিএস-৩০ সূচক সমন্বয় করা হয়েছে।

নতুন করে ৯টি কোম্পানি এই সূচকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সেগুলো হলো ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, প্রাইম ব্যাংক, কোহিনূর কেমিক্যালস, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ, মবিল-যমুনা বাংলাদেশ, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স, পদ্মা অয়েল, আইডিএলসি ফাইন্যান্স ও বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্‌লস। আর ডিএস-৩০ সূচক থেকে বাদ পড়া কোম্পানিগুলো হলো হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, সিপার্ল বিচ রিসোর্ট, বেক্সিমকো লিমিটেড, প্যারামাউন্ট টেক্সটাইল, জেনেক্স ইনফোসিস, ইসলামী ব্যাংক, ওরিয়ন ফার্মা, লিনডে বাংলাদেশ ও সামিট পাওয়ার।

সূচক সমন্বয়ের সঙ্গে যুক্ত ডিএসইর সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ডিএসইর সূচক গণনা এবং সূচকে কোম্পানির অন্তর্ভুক্তি ও বাদ পড়ার বিষয়টি নির্ধারণ করা হয় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এসঅ্যান্ডপি ডাও জোনসের পদ্ধতি মেনে। ডিএস-৩০ সূচকে কোম্পানি অন্তর্ভুক্তির প্রাক্‌-যোগ্যতা হিসেবে এসঅ্যান্ডপি ডাও জোনসের পদ্ধতিতে বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানি বাজার মূলধন ৫০ কোটি টাকা হতে হবে। সেই সঙ্গে তিন মাসের দৈনিক গড় লেনদেন হতে হবে ৫০ লাখ টাকা। তবে এই সূচকে বিদ্যমান কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে অন্যান্য শর্তপূরণ সাপেক্ষে তিন মাসের দৈনিক গড় লেনদেন ৩০ লাখ টাকাকেও যোগ্যতার বিবেচনায় নেওয়া হয়। এই দুটি পদ্ধতির ভিত্তিতে খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগ ইন্ডাস্ট্রিজ ডিএস-৩০ সূচকে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। আর এই দৈনিক গড় লেনদেনের শর্ত পূরণ না করায় এই সূচক থেকে বেক্সিমকো, ইসলামী ব্যাংকসহ ৯টি কোম্পানি বাদ পড়েছে।

ডিএস-৩০ সূচকের পাশাপাশি ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্সেও বড় পরিবর্তন এসেছে। তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বার্ষিক লেনদেন পর্যালোচনার ভিত্তিতে এসঅ্যান্ডপি ডাও জোনসের পদ্ধতি মেনে ডিএসইএক্স সূচকে এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। তাতে ডিএসইএক্স সূচকে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ৮৭টি কোম্পানি। আর বাদ পড়েছে ১৪টি কোম্পানি। আগামী ১৯ জানুয়ারি থেকে ডিএসইএক্স ও ডিএস-৩০ সূচক গণনায় এই পরিবর্তন কার্যকর হবে।

ডিএসইএক্সে আবার বড় পরিবর্তন

বার্ষিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে এর আগে সর্বশেষ ডিএসইএক্স সূচকটি সমন্বয় করা হয় ২০২৪ সালের ২১ জানুয়ারি। ২০২৩ সালে কোম্পানিগুলোর লেনদেনের ভিত্তিতে ওই বছর সূচকটি সমন্বয় করা হয়েছিল। ২০২৩ সালজুড়ে শেয়ারবাজারের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দামের ওপর ফ্লোর প্রাইস বা সর্বনিম্ন মূল্যস্তর আরোপিত ছিল। ফলে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের স্বাভাবিক লেনদেন বন্ধ হয়ে যায়। তাতে সূচকটিতে বড় পরিবর্তন ঘটে। ডিএসইএক্স সূচক থেকে বাদ পড়ে যায় ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানিসহ মোট ৮৩টি কোম্পানি। ২০২৪ সালজুড়ে মাত্র ২৫০ কোম্পানি ডিএসইএক্স সূচক গণনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।

গত বছরের ২১ জানুয়ারি ডিএসইএক্স সূচক সমন্বয়ের দিন থেকে বেশির ভাগ কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেয় পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তাতে ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানিসহ বেশির ভাগ কোম্পানি স্বাভাবিক লেনদেনে ফিরে আসে। এর মধ্যে গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কিছুদিন শেয়ারবাজারে গতি সঞ্চার হয়। তাতে বেশ কিছুদিন ভালো কোম্পানির শেয়ার লেনদেন ও মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। সেই সুবাদে গত বছর শেষে আবারও ডিএসইএক্স সূচকে অন্তর্ভুক্তির জন্য বিবেচনায় চলে আসে বেশির ভাগ কোম্পানি।

ডিএসই বলছে, ২০২৪ সালের বার্ষিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে ৮৭টি কোম্পানিকে আবারও ডিএসইএক্সে অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে এসিআই, ব্যাংক এশিয়া, বিডি ল্যাম্পস, ক্রাউন সিমেন্ট, ঢাকা ব্যাংক, এনভয় টেক্সটাইলস, ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক, আরএকে সিরামিকস, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, আইডিএলসি ফাইন্যান্স, তিতাস গ্যাস, স্কয়ার টেক্সটাইলস, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, ইউনাইটেড পাওয়ারের মতো কোম্পানি। বিপরীতে এই সূচক থেকে বাদ পড়েছে ১৪ কোম্পানি। কোম্পানিগুলো হলো আরামিট সিমেন্ট, বিডি ওয়েল্ডিং, এফএএস ফাইন্যান্স, হা-ওয়েল টেক্সটাইলস, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, জুট স্পিনার্স, মার্কেন্টাইল ইনস্যুরেন্স, নর্দান জুট, নর্দান ইসলামী ইনস্যুরেন্স, রেনউইক যোগেশ্বর, রতনপুর স্টিল, সুহৃদ ইন্ডাস্ট্রিজ, স্ট্যার্ন্ডার্ড সিরামিক ও জিলবাংলা সুগার।

সব মিলিয়ে চলতি বছর ডিএসইএক্স সূচক গণনায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে ৩২৬টি কোম্পানি। গত কয়েক বছরের মধ্যে এত বেশিসংখ্যক কোম্পানি নিয়ে ডিএসইএক্স সূচক গণনা হবে। সর্বশেষ ২০২২ সালে ৩১৬টি কোম্পানি ডিএসইএক্স সূচক গণনায় অন্তর্ভুক্ত ছিল।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়ন, এসএমই কোম্পানি তালিকাভুক্তকরণ, বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি, নতুন আর্থিক পণ্য উদ্ভাবন এবং স্টার্টআপ ও ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পে অর্থায়ন বিষয়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) যৌথ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) গুলশানে ডিসিসিআই কার্যালয়ে ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদ এবং ডিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট তাসকিন আহমেদ ও পরিচালনা পর্ষদের উপস্থিতিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন:

বিআইএফএফএলের সঙ্গে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ঋণ চুক্তি

ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম চালু করবে গোল্ডেন হার্ভেস্ট

ডিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সভায় ডিসিসিআইর প্রেসিডেন্ট তাসকিন আহমেদ ডিএসই’র প্রতিনিধিবৃন্দকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ব্যবসায় লাভ ক্ষতি রয়েছে। যে সকল কোম্পানি পুঁজিবাজার থেকে মূলধন উত্তোলন করেছে তাদের সাথে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে হবে। আমাদের মতো দেশগুলোর অথবা আমাদের থেকে কিছুটা এগিয়ে থাকা দেশগুলোর সাথে তুলনা করে আগামীর কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে হবে। আমাদের মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন টু জিডিপি রেশিও এখনও ২০% নিচে। আমাদের মতো অর্থনীতির অনেক দেশে এটি ৪০ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশের অধিক। পুঁজিবাজারে এসএমই-এর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে।

তিনি আরো বলেন, পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধি করতে হবে। এজন্য কিছু দীর্ঘমেয়াদি ও স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। এর মধ্যে অন্যতম হলো দ্বৈত কর ব্যবস্থার প্রত্যাহার ও এর প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং পণ্যের বৈচিত্রকরণ করা। আমাদের দেশের অর্থনীতিতে এসএমই কোম্পানিগুলোর ব্যাপক অবদান রয়েছে। এসএমই কোম্পানিগুলোর ফাইন্যান্সের উপর বেশি করে গুরুত্ব দিতে হবে। বর্তমানে আরজেএসসি-তে দুই লাখের উপর কোম্পানি রয়েছে এর মধ্যে মাত্র ৩৬০টি কোম্পানি তালিকাভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও সরকারি কোম্পানি ও মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্তির উপর গুরুত্বারোপ করেন।

এসময় ডিএসইর চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের পুঁজিবাজার দেশের অর্থনীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে উন্নত হতে পারেনি। কিন্তু আশার বিষয় হলো এই সরকার প্রথমবারের মতো পুঁজিবাজারের প্রতি গভীরভাবে মনোযোগ দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামানকে এই বিষয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এই বাজেটে পুঁজিবাজারবান্ধব কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো- টার্নওভারের উপর এআইটি কমানো, মার্চেন্ট ব্যাংকের ট্যাক্স কমানো ও তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত কোম্পানির মধ্যে কর্পোরেট ট্যাক্স এর ব্যবধান বৃদ্ধি করা। বিএসইসি কিছু উদ্যোগ নিয়েছে সেগুলো হলো- সিসি একাউন্টের ইন্টারেস্ট বিষয়ে সমাধান ও বিও একাউন্টের নবায়ন ফি কমানো। বিএসইসি মার্কেটে শৃঙ্খলা আনার জন্য আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্রিয় হয়েছে। একটি দক্ষ, স্বচ্ছ এবং ন্যায় ভিওিক পুঁজিবাজারের বিকাশ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পূর্বশর্ত।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এখন একটি সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এবং ডিএসই পুঁজিবাজারের কেন্দ্রীয় শক্তি হিসেবে, এই উন্নয়নের রূপান্তরকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে। বিগত দিনে মার্কেটে রেগুলেটর অনেক সময় অযৌক্তিক হস্তক্ষেপ করেছে। এখন পুঁজিবাজারের প্রতি বিনিয়োগকারীদের প্রতি আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে। বিনিয়োগকারীগণ বাজারে ফিরে আসছে এবং প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীগন সক্রিয় হচ্ছে। বর্তমানে ইক্যুইটি মার্কেটের সাথে বন্ড মার্কেটেকে কিভাবে উন্নয়ন করা যায় এই বিষয়ে ডিসিসিআই-এর সহযোগিতা প্রয়োজন। ডিসিসিআই ক্যাপিটাল মার্কেটের একটি বড় স্টেকহোল্ডার।

তিনি বলেন, আইপিও প্রসেস এর ডিজিটালাইজেশন এর প্রক্রিয়া চলমান। এছাড়াও ভালো কোম্পানিগুলোকে দ্রুত বাজারে নিয়ে আসার জন্য গ্রিণ চ্যানেল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিএসইসি এই বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা করছে। ডিএসই ও ডিসিসিআই উভয় প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়িয়ে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং পুঁজিবাজারকে আরো শক্তিশালী ও টেকসই করার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে পুঁজিবাজারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম চলমান রাখতে পারে। এরই লক্ষ্যে স্বল্প সময়ের মধ্যে এসএমই উদ্যোক্তাদের এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্তির প্রসেস এবং অল্টারনেটিভ ট্রেডিং বোর্ড (এটিবি)’র সুবিধা ও তালিকাভুক্তির প্রসেস নিয়ে চেম্বার সদস্যদের সাথে পৃথক দুটি অনুষ্ঠানের আয়োজনের বিষয়ে একমত পোষণ করেন।

এছাড়াও আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য স্টক এক্সচেঞ্জ গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে ব্যাংকের সুদের হার বৃদ্ধির ফলে ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে এটি সহজ করা সম্ভব। এছাড়াও এসএমই একটি বিশাল খাত। বেসরকারি খাতের প্রায় ৭৫% এসএমই। তাদের এক্সপোজার আছে, সংযোগ আছে, উন্নয়নের জায়গা আছে। তাই সরকার এ ব্যাপারে তালিকাভুক্ত এবং অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর জন্য কী ব্যবস্থা নিতে পারে তা বিবেচনায় আনতে পারে। ২০০৯ সালে, একটি সমীক্ষায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল যে, সরকারের ৭.৫ মিলিয়ন ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প রয়েছে। আমরা মনে করি যে, এই অর্থনৈতিক ইউনিট থেকে অধিক পরিমানে বিনিয়োগের জন্য পুঁজিবাজারের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিসিসিআইর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট, রাজিব এইচ চৌধুরী, ভাই প্রেসিডেন্ট মো. সেলিম সোলাইমান, সেক্রেটারি জেনারেল (ভারপ্রাপ্ত) এ. কে. এম আসুদুজ্জামান পাটুয়ারি, ডিএসইর পরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ কামরুজ্জামান (অব.), সৈয়দ হাম্মাদুল করীম, মো. শাকিল রিজভী, প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আসাদুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

ঢাকা/এনটি/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পুঁজিবাজার উন্নয়নে ডিএসই ও ডিসিসিআইয়ের যৌথ সভা