বার্সার ট্রফি ক্যাবিনেটে যেভাবে ১০০
Published: 13th, January 2025 GMT
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ১০০ ট্রফির মাইলফলক স্পর্শ করেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। এরপর গত দুই বছরে আরও সমৃদ্ধ হয়েছে দলটির ট্রফি ক্যাবিনেট।
তবে কাছাকাছি গিয়েও ১০০ ট্রফি জয়ের অপেক্ষা যেন শেষ হচ্ছিল না রিয়াল মাদ্রিদের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার। অবশেষে সেই অপেক্ষা ফুরোল তাদের। রিয়ালকে হারিয়েই এবার ১০০ ট্রফির মাইলফলক স্পর্শ করেছে কাতালান ক্লাবটি।
গতকাল রাতের আগপর্যন্ত আঞ্চলিক ট্রফি বাদ দিয়ে বার্সার ট্রফির সংখ্যা ছিল ৯৯। স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে রিয়ালকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে নিজেদের শততম ট্রফিটি জিতে নিল কাতালান ক্লাবটি।
বার্সেলোনার ১০০ ট্রফিক্লাব হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরুর ১২৫ বছর পর এসে কাঙ্ক্ষিত এই তিন অঙ্কের দেখা পেল ইউরোপের অন্যতম সেরা এই ফুটবল পরাশক্তি। এই ট্রফি দিয়ে মাইলফলক স্পর্শ করার পাশাপাশি শিরোপা–খরাও ঘোচাল বার্সা। আগের মৌসুমটা খালি হাতেই কেটেছিল তাদের। সর্বশেষ ২০২৩ সালের মে মাসে লা লিগা জিতেছিল বার্সা।
আরও পড়ুনএল ক্লাসিকোতে রিয়ালের ঘুমপাড়ানি ফুটবল ও ফ্লিকের আরেকটি মাস্টারক্লাস ৬ ঘণ্টা আগেজেদ্দার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সুপার কাপের শিরোপার সংখ্যায়ও রিয়ালের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াল বার্সা। এখন পর্যন্ত প্রতিযোগিতার সর্বোচ্চ ১৪ শিরোপা জিতেছে তারা।
গত রাতের ফাইনালে জিতলে বার্সাকে ছুঁয়ে ফেলত রিয়াল। কিন্তু রিয়ালকে সেই লক্ষ্য পূরণ করতে দিল না হান্সি ফ্লিকের দল। শিরোপা পুনরুদ্ধার করে পার্থক্যটা আরেকটু বাড়িয়ে নিল তারা।
বার্সেলোনার ক্যাবিনেটে এভাবেই ট্রফিগুলো সাজিয়ে রাখা হয়েছে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’