ভারতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে প্রথমবার আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা করে নেয় আফগানিস্তান। প্রথমবার এই টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রমাণ করতে রোববার ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে তারা। যথারীতি হাশমতউল্লাহ শাহিদি আছেন আফগানদের নেতৃত্বে। তবে ইব্রাহিম জাদরানকে নিয়ে কিছুটা শঙ্কা থাকলেও তিনি আছেন দলে। সঙ্গে রাখা হয়েছে একাধিক ট্রাভেল রিজার্ভও।

ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেছেন ইব্রাহিম। তিনি যথারীতি রহমানুল্লাহ গুরবাজের সঙ্গে ইনিংসের গোড়াপত্তন করবেন। এরপর রহমত শাহ ও শাহিদি মাঠে নামবেন।

যথারীতি তাদের বোলিং ইউনিটে আছেন রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী, আল্লহ মোহাম্মদ গজনফার ও ফজল হক ফারুকিরা। তবে নেই মুজিব-উর-রহমান। যিনি ২০২৩ বিশ্বকাপে আফগানিস্তান দলে দারুণ অবদান রেখেছিলেন।

আরো পড়ুন:

কর্নওয়াল-টপলিকে ছাড়া চিটাগংয়ের বিপক্ষে বোলিংয়ে সিলেট

‘টাইগার যখন ঘুরে তাকায়, সব বরবাদ হয়ে যায়’

তার বিষয়ে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) প্রধান নির্বাচক আহমদ সুলিমান খিল বলেছেন, ‘‘আসলে মুজিব-উর-রহমান নির্বাচনের জন্য উন্মুক্ত ছিল না। কারণ, ডাক্তাররা তাকে কেবল টি-টোয়েন্টিতে ফোকাস করতে বলেছেন। যাতে পুরোপুরিভাবে সেরে উঠে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে পারে। সে কারণে তাকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষের সবশেষ ওয়ানডে সিরিজেও খেলানো হয়নি।’’

আফগানিস্তান তাদের দলে তিনজন খেলোয়াড়কে ট্রাভেল রিজার্ভ হিসেবেও রেখেছে। তারা হলেন- দারবিশ রসুলি, নাঙ্গিয়াল খরোটি ও বিলাল সামি।

২১ ফেব্রুয়ারি করাচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষের ম্যাচ নিয়ে আফগানিস্তানের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মিশন শুরু হবে। ২৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তারা দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আর ২৮ ফেব্রুয়ারি এই ভেন্যুতে তারা লড়বে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ১৫ সদস্যের আফগানিস্তান দল:
হাশমতউল্লাহ শাহিদি (অধিনায়ক), ইব্রাহিম জাদরান, রহমানুল্লাহ গুরবাজ, সেদিকুল্লাহ অটল, রহমত শাহ, ইকরাম আলীখিল, গুলবাদিন নায়েব, আজমাতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, আল্লাহ মোহাম্মদ গজানফার, নূর আহমেদ, ফজলহক ফারুকী, ফরিদ মালিক ও জায়েদ মালিক।

ট্রাভেল রিজার্ভ:
দারবিশ রসুলি, নাঙ্গিয়াল খরোটি ও বিলাল সামি।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

চার দেশের পাঁচ লাখ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করার নির্দেশ

সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আমলে ‘প্যারোল’ কর্মসূচিতে থাকা পাঁচ লাখেরও বেশি অভিবাসীর বৈধতা বাতিল করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলা থেকে আসা ৫ লাখ ৩০ হাজার অভিবাসীকে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়ে দিয়েছে যে, তাদের বৈধ অভিবাসন মর্যাদা বাতিল করা হয়েছে। তাদের অবিলম্বে স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করতে হবে।

এই অভিবাসীরা বাইডেন প্রশাসনের শুরু করা বিতর্কিত ‌‘মানবিক প্যারোল’ কর্মসূচিতে তালিকাভুক্ত ছিলেন, যার আওতায় তাদের দুই বছরের জন্য কাজের অনুমতি এবং নির্বাসন থেকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছিল।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের সহকারী সচিব ট্রিসিয়া ম্যাকলাফলিন বলেন, ‘বাইডেন প্রশাসন আমেরিকান জনগণকে মিথ্যা বলেছে। তারা কিউবা, হাইতি, নিকারাগুয়া ও ভেনেজুয়েলা থেকে প্রায় অর্ধ-মিলিয়নের বেশি (যথাযথভাবে যাচাই না করা) বিদেশিকে এবং তাদের পরিবারকে এই ধ্বংসাত্মক প্যারোল কর্মসূচির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকতে দিয়েছে। তাদের আমেরিকান চাকরির জন্য প্রতিযোগিতার সুযোগ দিয়েছে, যার ফলে আমেরিকান শ্রমজীবীদের ক্ষতি হয়েছে। এমনকি প্রতারণার প্রমাণ পাওয়া সত্ত্বেও এই কর্মসূচি এগিয়ে নিতে সিভিল সার্ভেন্টদের বাধ্য করা হয়েছে। পরে আবার কংগ্রেসের রিপাবলিকানদের ওপর দোষ চাপানো হয়েছে এই বিশৃঙ্খলা ও অপরাধের জন্য।’

ম্যাকলাফলিন আরও বলেন, “সিএইচএনভি প্যারোল কর্মসূচি এবং যারা এটিকে অপব্যবহার করেছে তাদের প্যারোল বাতিল করা যুক্তিবাদী নীতিতে, জননিরাপত্তায় এবং ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে ফিরে যাওয়ার একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।”

২০২২ সালের অক্টোবর মাসে বাইডেন প্রশাসন এই প্যারোল কর্মসূচি শুরু করে, যার আওতায় প্রতি মাসে লাতিন আমেরিকার চারটি দেশ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। প্রথমে ভেনেজুয়েলানদের দিয়ে শুরু হলেও ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে কিউবা, হাইতি ও নিকারাগুয়ার নাগরিকদেরও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

মূলত সীমান্তে বেড়ে যাওয়া অবৈধ অনুপ্রবেশ কমাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হলেও কর্মসূচিটি ব্যাপক জালিয়াতির কারণে সমালোচিত হয়। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনায় দেখা যায়, বহু প্যারোল আবেদনে একই ঠিকানা, ভুয়া সোশ্যাল সিকিউরিটি নম্বর ও ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন সার্ভিস জানায়, মাত্র ১০০টি ঠিকানার বিপরীতে ১৯,০০০ হাজারেরও বেশি আবেদন জমা পড়ে। অনেক আবেদন একই আইপি ঠিকানা থেকে পাঠানো হয়েছে। ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে বাইডেন প্রশাসন কর্মসূচিতে থাকা অভিবাসীদের অস্থায়ী বৈধতা নবায়নের সুযোগ বন্ধ করে দেয়।

ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম দিনেই কর্মসূচি পুরোপুরি বাতিল করেন এবং নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ বন্ধ করে দেন। গত মাসে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত বহাল রাখে।

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ তাদের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অভিবাসীদের ‘সিবিপি হোম মোবাইল অ্যাপ’ এর মাধ্যমে স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করার আহ্বান জানায়। তারা জানায়, এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে অভিবাসীদের দেশে ফেরার জন্য ভ্রমণ সহায়তা ও ১,০০০ ডলারের বোনাস দেওয়া হবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অন্য বছরের চেয়ে এই জুনে ডেঙ্গু বেশি
  • প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়ে কতো টাকা পেলো দ. আফ্রিকা?
  • প্রবাসীর ভবন উদ্ধোধন করতে এলেন সৌদি নাগরিক
  • প্রথমবার বিগ ব্যাশে বাবর আজম
  • চার দেশের পাঁচ লাখ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার নির্দেশ
  • চার দেশের পাঁচ লাখ অভিবাসীকে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করার নির্দেশ
  • বৃষ্টিতে ঝরে পড়ে আল্লাহর নিয়ামত
  • ইরান ২০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো পরমাণু কর্মকাণ্ডে বৈশ্বিক বাধ্যবাধকতা মানছে না: আইএইএ
  • সিনেমায় ফারিণ-সাবিলার শুভ সূচনা 
  • সিনেমায় ফারিণ-সাবিলার দারুণ সূচনা