আফগানিস্তানের দল ঘোষণা, ফিরলেন ইব্রাহিম
Published: 13th, January 2025 GMT
ভারতে অনুষ্ঠিত ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে প্রথমবার আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা করে নেয় আফগানিস্তান। প্রথমবার এই টুর্নামেন্টে নিজেদের প্রমাণ করতে রোববার ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে তারা। যথারীতি হাশমতউল্লাহ শাহিদি আছেন আফগানদের নেতৃত্বে। তবে ইব্রাহিম জাদরানকে নিয়ে কিছুটা শঙ্কা থাকলেও তিনি আছেন দলে। সঙ্গে রাখা হয়েছে একাধিক ট্রাভেল রিজার্ভও।
ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফিরেছেন ইব্রাহিম। তিনি যথারীতি রহমানুল্লাহ গুরবাজের সঙ্গে ইনিংসের গোড়াপত্তন করবেন। এরপর রহমত শাহ ও শাহিদি মাঠে নামবেন।
যথারীতি তাদের বোলিং ইউনিটে আছেন রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী, আল্লহ মোহাম্মদ গজনফার ও ফজল হক ফারুকিরা। তবে নেই মুজিব-উর-রহমান। যিনি ২০২৩ বিশ্বকাপে আফগানিস্তান দলে দারুণ অবদান রেখেছিলেন।
আরো পড়ুন:
কর্নওয়াল-টপলিকে ছাড়া চিটাগংয়ের বিপক্ষে বোলিংয়ে সিলেট
‘টাইগার যখন ঘুরে তাকায়, সব বরবাদ হয়ে যায়’
তার বিষয়ে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) প্রধান নির্বাচক আহমদ সুলিমান খিল বলেছেন, ‘‘আসলে মুজিব-উর-রহমান নির্বাচনের জন্য উন্মুক্ত ছিল না। কারণ, ডাক্তাররা তাকে কেবল টি-টোয়েন্টিতে ফোকাস করতে বলেছেন। যাতে পুরোপুরিভাবে সেরে উঠে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলতে পারে। সে কারণে তাকে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষের সবশেষ ওয়ানডে সিরিজেও খেলানো হয়নি।’’
আফগানিস্তান তাদের দলে তিনজন খেলোয়াড়কে ট্রাভেল রিজার্ভ হিসেবেও রেখেছে। তারা হলেন- দারবিশ রসুলি, নাঙ্গিয়াল খরোটি ও বিলাল সামি।
২১ ফেব্রুয়ারি করাচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষের ম্যাচ নিয়ে আফগানিস্তানের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির মিশন শুরু হবে। ২৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে তারা দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। আর ২৮ ফেব্রুয়ারি এই ভেন্যুতে তারা লড়বে শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ১৫ সদস্যের আফগানিস্তান দল:
হাশমতউল্লাহ শাহিদি (অধিনায়ক), ইব্রাহিম জাদরান, রহমানুল্লাহ গুরবাজ, সেদিকুল্লাহ অটল, রহমত শাহ, ইকরাম আলীখিল, গুলবাদিন নায়েব, আজমাতুল্লাহ ওমরজাই, মোহাম্মদ নবী, রশিদ খান, আল্লাহ মোহাম্মদ গজানফার, নূর আহমেদ, ফজলহক ফারুকী, ফরিদ মালিক ও জায়েদ মালিক।
ট্রাভেল রিজার্ভ:
দারবিশ রসুলি, নাঙ্গিয়াল খরোটি ও বিলাল সামি।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের জবি শাখার ৩৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রদল ও অন্যান্য সক্রিয় সংগঠনের কর্মীদের হত্যাচেষ্টা ও নির্যাতনের অভিযোগে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ৩৫ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামিদের সবাই জবি শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী বলে জানা গেছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন জবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য মো. আজিজুল হাকিম। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রাতে তিনি গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে, জবি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আকরাম হোসেন জুলকারনাইন (২৬)।
আরো পড়ুন:
গোবিপ্রবিতে ছাত্রলীগ নেতার সনদ তুলতে ছাত্রদল নেতার সহায়তা, অতঃপর…
জাবিতে জুলাই হামলায় জড়িত ২৬৮ শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে শাস্তি
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, শাহরুক আলম শোভন (২৮), জাহিদুল ইসলাম হাসান (২৫), মাকসুদুল হাসান আরাফাত (২৫), অভি ইসলাম (৩০), কামরুল ইসলাম (৩০ ও ৩১), অতনু গুন্ডা (৩০), তৌফিক এলাহী (৩০), মো. রিজভি খান (২৯), ফরহাদ মোল্লা (২৯), রায়হান (৩০), আল সাদিক হৃদয় (৩০), ইমরুল নিয়াজ (৩০), মো. সম্রাট হোসেন (২৯), সামিউল তাহসান শিশির (৩০), মির মুকিত (২৫), অপূর্ব লাবিব (২৪), মারুফ (২৮), মাহিনুর রহমান বিজয় (২৭), সাজবুল ইসলাম (২৭), অর্জুন বিশ্বাস (২৪), রবিউল ইসলাম (২৭), মিলন মাহফুজ (২৮), মেহেদী হাসান শাওন (৩০), আবু সুফিয়ান (২৭), সাইফ (২৭), সজল (২৯), রিফাত সাঈদ (২৭), অভিজিৎ বিশ্বাস (২৭), আব্দুল কাদের (২৭), রাজা হাওলাদার (১২), মাহবুব নয়ন (৩০), শরিফুল ইসলাম তানভির (২৯), আসাদুজ্জামান আসাদসহ (২৯) অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, অভিযুক্তরা বিভিন্ন গ্যাংয়ের নেতৃত্ব দিতেন। এর মধ্যে ‘উৎপাত ১২’ নামের গ্যাংয়ের নেতৃত্বে ছিলেন প্রধান আসামি আকরাম হোসেন জুলকারনাইন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সাজিদ ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে স্থাপিত একটি ‘টর্চার সেল’-এ ছাত্রদল ও অন্যান্য সংগঠনের ছাত্রদের ধরে এনে টর্চার, ছিনতাই ও হত্যাচেষ্টা করা হতো।
২০২৩ সালের ২৯ আগস্ট প্রধান আসামি আকরাম হোসেন জুলকারনাইন বাদী আজিজুল হাকিমকে রড, লাঠি, হকিস্টিক ও চাপাতি দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করে গুরুতর জখম করেন বলেও মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে, আসামি আকরামকে ক্যাম্পাস থেকে আটক করিয়ে থানা নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে তার বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে বিভাগের গেটে তালা দেন। পরে বিভাগের ১০০ জনের মধ্যে ৫১ জন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর গণস্বাক্ষর সম্বলিত মুচলেকার মাধ্যমে তাকে কোতোয়ালি থানা থেকে মুক্ত করা হয়। তবে এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে থমথমে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
ডিএমপির কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার ফজলুল হক বলেন, “আকরাম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় থাকলেও ছাত্রলীগের কোনো পদে তার সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।”
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, “২০২৩ সালের ছাত্রদলের উপর হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা/লিমন/মেহেদী