বন্দরে যুবদল নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের, ক্ষোভ
Published: 13th, January 2025 GMT
বন্দরে ২৬ নং ওয়ার্ড যুবদলের সাবেক সভাপতি সফর আলীকে চাঁদাবাজী ও হত্যা মামলার আসামি করায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
সাবেক যুবদল নেতা সফর আলী দীর্ঘদিন স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সক্রিয় থাকার কারনে আওয়ামীলীগ শাসন আমলে শেষ দিকে আওয়ামীলীগের দোসর ও কিছু সুবিধাবাদীদের রোষানলে পরে তার বিরুদ্ধে বন্দর থানায় একটি চাঁদাবাজি ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় অপর একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
বন্দর থানা ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলাগুলো মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে অভিলম্বে এ মামলা থেকে তাকে অব্যহতি দেওয়ার আহবান জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করর্পোরেশন ২৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
ঘটনার বিবরণের প্রকাশ, ২০২৪ সালের গত ১লা নভেম্বর বেলা ১২টায় বন্দর থানার ১নং ঢাকেরশ্বরী ক্রাউন সিমেন্ট সংলগ্ন শীতলক্ষ্যা নদী তেলের ঘাট সংলগ্ন পাকা রাস্তার উপর ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ঘটনায় শুল্ক আদায় ও লেবার হ্যান্ডলিং পরিচালনাকারী রাকিব হোসেন বাদী হয়ে গত শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) চাঁদাবাজ সফর আলী, জনি, আরমান, তুষার, হৃদয় ও রাকিবসহ আরো ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- ৮(১২)২৪। এ ছাড়াও সিদ্ধিরগঞ্জে একটি হত্যা মামলায় তাকে ১৮৪ নং আসামী করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করর্পোরেশনের ২৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক যুবদল সভাপতি সফর আলী ২০০০ইং সাল থেকে বিএনপির রাজনিতী করে আসছে। তিনি তৎসময়ে ২৬ নং ওয়ার্ডের যুবদলের সভাপতি জাসাস এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে।
এ ব্যাপারে যুবদল নেতা গনমাধ্যমকে জানান, আমি পদ পদবির জন্য কখনো রাজনিতী করি নাই। বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়াউর রহমানের আর্দশ বুকে ধারন করে আমি বিএনপি করি। আওয়ামীলীগ দুশাসন আমলে আমি মামলা খেয়েছি তার পরও বিএনপি ছাড়ি নাই।আমি বিএনপিত আছি বিএনপিতেই থাকব। মামলার বাদী আমাকে চিনেনা তার পরও আমি এ মামলার আসামী।
এ বিষয়ে মামলা বাদী রাকিব হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উৎস: Narayanganj Times
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।