ইন্টারনেট সংযোগদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন আইএসপিএবির আয়োজনে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন সেন্টারে বুধবার তৃতীয়বারের মতো শুরু হবে চট্টগ্রাম আইসিটি ফেয়ার ২০২৫। তিন দিন চলবে এই মেলা। উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী।

মেলার প্রথম দিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছাড়াও থাকবে সেমিনার ও আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় রোবটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতা। দ্বিতীয় দিন আন্তঃকলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতা, মোটিভেশনাল টক, নেটওয়ার্কিং প্রশিক্ষণ ও লাইভ কনসার্ট হবে। শুক্রবার সমাপনী দিনে স্কুল পর্যায়ের কুইজ প্রতিযোগিতা ও সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে মেলায়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে থাকবেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা.

শাহাদাত হোসেন।

প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে মেলা। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোট ৯৬টি স্টল থাকছে মেলায়। সোমবার দুপুরে নগরের আগ্রাবাদে একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এর পর আগ্রাবাদ থেকে গাড়িবহর সহকারে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে জিইসি মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি চট্টগ্রামের আহ্বায়ক ও আইসিটি মেলার সদস্য সচিব রাজিব শাহরিয়ার বলেন, ‘চট্টগ্রামের আইটি ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা প্রায় ২০০টির মতো কোম্পানির সেবা যারা গ্রহণ করেন, তাদের সঙ্গে সরাসরি একটি সম্পর্ক তৈরি করা আমাদের উদ্দেশ্য’।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন মেলা কমিটির আহ্বায়ক আনোয়ারুল আজিম। উপস্থিত ছিলেন ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ চট্টগ্রামের যুগ্ম আহ্বায়ক নিয়াজ মোর্শেদ, মিরাজুল ফয়েজ প্রমুখ।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের কেচ জেলার শেরবান্দি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অভিযান চলাকালে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে পাঁচজন সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। একই অভিযানে ‘ভারত-সমর্থিত’ পাঁচজন সন্ত্রাসীও নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। খবর সামা টিভির।

আইএসপিআর এক বিবৃতিতে জানায়, শেরবান্দি এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানা ধ্বংসে নিরাপত্তা বাহিনী অভিযান চালাচ্ছিল। এ সময় একটি ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে সেনাবাহিনীর গাড়ি আঘাতপ্রাপ্ত হয়, এতে পাঁচজন সেনা নিহত হন। 

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানকে সহজেই হারিয়ে ‘সুপার ফোরে’ এক পা ভারতের

ব্যাটিং ব্যর্থতায় পাকিস্তানের মামুলি সংগ্রহ

নিহত সেনারা হলেন- ক্যাপ্টেন ওয়াকার আহমদ (লোরালাই), নায়েক আসমাতুল্লাহ (ডেরা গাজী খান), ল্যান্স নায়েক জুনায়েদ আহমদ (সুক্কুর), ল্যান্স নায়েক খান মোহাম্মদ (মারদান) এবং সিপাহী মোহাম্মদ জাহুর (সোয়াবি)।

আইএসপিআর বলেছে, পাকিস্তানের সাহসী অফিসার ও সেনাদের ত্যাগ দেশ থেকে সন্ত্রাস নির্মূলের দৃঢ় সংকল্পকে আরও শক্তিশালী করে।

এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে সহিংসতা বাড়ছে। শুধু গত এক সপ্তাহেই খাইবার পাখতুনখোয়ার বিভিন্ন অভিযানে অন্তত ১৯ জন সেনা নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে খাইবার পাখতুনখোয়ার লালকিলা মাইদান এলাকায় ‘ভারত সমর্থিত সন্ত্রাসী’দের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সাতজন সেনা সদস্য নিহত হন।

পাকিস্তানি নিরাপত্তা বাহিনী জানিয়েছে, এসব অভিযানে তারা গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং অপারেশন চলমান থাকবে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • পাকিস্তানে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে ৫ সেনা নিহত