চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার শামসুল ইসলাম চৌধুরী (৭৬) একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা। তিনি ২০২২ সালে বরুমচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ সকালে পশ্চিম বরুমচড়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে কাজ করছিলেন শামসুল ইসলাম। বেলা পৌনে একটার সময় আনোয়ারা থানা-পুলিশের একটি দল তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। ওই সময় পরিষদে ইউপি সদস্য ও স্থানীয় লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

চার বছর আগে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর বিকেলে উপজেলার কালাবিবি দিঘির মোড়ে বিএনপির মিছিলে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার হন শামসুল ইসলাম। গত ৭ অক্টোবর আনোয়ারা থানায় মামলাটি করেন তৌহিদ মিয়া (৩৪) নামের এক ব্যক্তি। মামলায় সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খানসহ ১১২ জনকে আসামি করা হয়।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

মনির হোসেন বলেন, ৭ অক্টোবরের একটি মামলার আসামি হিসেবে শামসুল ইসলাম চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ