ডেসটিনির এমডিসহ ১৯ জনের আরেক মামলার রায় আজ
Published: 15th, January 2025 GMT
ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের গাছ বিক্রির টাকা আত্মসাতের মামলায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে আজ রায় ঘোষণার দিন ধার্য রয়েছে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালত এ রায় ঘোষণা করবেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন এ তথ্য জানান।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর দুদক ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ২৮ নভেম্বর ধার্য করেন। তবে রায় প্রস্তুত না হওয়ায় তা পিছিয়ে ১৫ জানুয়ারি রাখা হয়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.
আসামিদের মধ্যে কারাগারে আছেন- ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল আমীন, ফারহা দিবা ও মোহাম্মদ হোসেন। জামিনে আছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) হারুনুর রশিদ। ১৫ আসামি পলাতক রয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) রাজধানীর কলাবাগান থানায় ২০১২ সালের ৩১ জুলাই মামলা দুটি করে। ২০১৪ সালের ৪ মে একটি মামলায় ১৯ জনের এবং অপর মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
২০২২ সালের ১২ মে গ্রাহকদের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ এবং বেআইনিভাবে অর্থ পাচারের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনকে ১২ বছরের কারাদণ্ড হয়। এছাড়া সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) হারুন অর রশীদসহ ৪৫ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
এদিকে আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের শীর্ষ কর্মকর্তারা গাছ বিক্রির নামে ২ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। এর মধ্যে ঋণপত্র (এলসি) হিসাবে ৫৬ কোটি ১৯ লাখ ১৯ হাজার ৪০ টাকা এবং সরাসরি পাচার করেছে আরো ২ লাখ ৬ হাজার মার্কিন ডলার।
ঢাকা/মামুন/ইমন
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ঘুরে দাঁড়াবে, আশা ড. হাশেমের
বয়স্ক নাগরিকদের সেবাদানকারী ‘প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান’ (বাইগাম) নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত। চিকিৎসক-কর্মকর্তাদের বেতন না হওয়া, পরিচালনার স্তরে স্তরে দুর্নীতিসহ নানা কারণে প্রতিষ্ঠানটি অনেকটা অকার্যকর হয়ে পড়ছে। অনেক সেবার ব্যবস্থাও নেই হাসপাতালটিতে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে চারদিকে। পরিবর্তিত এ পরিস্থিতিতে বাইগামের কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন আগামীকাল। নির্বাচনে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিবিরোধী সম্মিলিত ঐক্য পরিষদ থেকে মহাসচিব পদে লড়ছেন ড. মু. আবুল হাশেম। সমকালকে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানের নামে বরাদ্দ জমি রেজিস্ট্রিকরণ, চিকিৎসক ও শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীর প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া বেতন চালুর জন্য সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং সমাজসেবা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সংস্থা থেকে অনুদান সংগ্রহের কাজগুলো জোর গতিতে করা হবে। এ ছাড়া আগারগাঁওয়ের হাসপাতালটিকে ধাপে ধাপে পূর্ণাঙ্গ জেরিয়াটিক স্পেশালাইজড হাসপাতাল করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
ড. হাশেম দুই যুগের বেশি সময় ধরে প্রবীণদের নিয়ে কাজ করছেন। ১৯৬০ সালে স্বাস্থ্যসেবার মাধ্যমে যাত্রা করা প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের দিকে নজর রেখে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত থাকতে চান। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের ৫০ শয্যার প্রবীণ হিতৈষী হাসপাতালটিতে অস্ত্রোপচার ও নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র চালুর উদ্যোগও নিতে চান ড. হাশেম। তাঁর প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন সাবেক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ শামসুল হক।