Samakal:
2025-06-16@10:39:26 GMT

জমির দাম বাড়ায় রেজিস্ট্রি বন্ধ

Published: 15th, January 2025 GMT

জমির দাম বাড়ায় রেজিস্ট্রি বন্ধ

নাটোরের লালপুরে মৌজার দাম বেড়ে যাওয়ায় জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ রয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন জমি বেচাকেনায় ইচ্ছুক সাধারণ মানুষ। এদিকে ৪৪ দিন ধরে সার্ভার জটিলতায় নামজারি, কর আদায়সহ বন্ধ রয়েছে ভূমিসংক্রান্ত বহুবিধ কাজ। এতে কমেছে সরকারের রাজস্ব আয়। 

ভুক্তভোগী নাজমুল হক জানান, তিনি আগের দামে জমি কিনেছেন। নতুন দাম নির্ধারণ করায় তাঁর রেজিস্ট্রি খরচ অনেক বেড়ে যাবে। এ কারণে জমি কিনেও রেজিস্ট্রি করতে পারছেন না। 

সৈয়দ আলী জানান, অসুস্থতার কারণে জমি বিক্রি করতে হচ্ছে। খাজনা ও জমি রেজিস্ট্রি বন্ধ থাকায় ক্রেতার কাছ থেকে টাকা নিতে পারছেন না। এ অবস্থা কতদিন চলবে কে জানে? 

ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, জমি কেনাবেচার ক্ষেত্রে নিবন্ধনের স্ট্যাম্প দেড় শতাংশ, নিবন্ধন মাশুল ১ শতাংশ, স্থানীয় সরকার কর ৩ শতাংশ ও এলাকাভেদে ১ থেকে ৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) দিতে হয়। আবার কোনো প্রতিষ্ঠানের জমি-ফ্ল্যাট কেনাবেচা হলে যোগ হয় আরও ৪ শতাংশ উৎসে কর। মধুবাড়ি মৌজার এক শতক জমির সরকার নির্ধারিত বাজার দাম আগে ছিল ৩৪ হাজার ৭১৫ টাকা। নতুন করে দাম নির্ধারণ হয়েছে ৬ লাখ ৩০ টাকা; যা আগের বাজার দামের প্রায় ১৯ গুণ বেশি। গত ১ জানুয়ারি থেকে মধুবাড়ি মৌজাসহ আরও ৭টি মৌজায় নতুন বাজার দাম কার্যকর হয়েছে। 

সূত্র আরও জানায়, বর্তমানে মৌজাদর অনুযায়ী জমি কেনাবেচা বা নিবন্ধন করা হয়। চাইলেই কেউ কম বা বেশি দাম দেখিয়ে জমি কেনাবেচা করতে পারবেন না। মৌজাদর নির্ধারণের কাজটি হয় ‘সর্বনিম্ন বাজারমূল্য বিধিমালা’ অনুযায়ী। এর জন্য একটি কমিটি করা হয়। কমিটির মাধ্যমে দুই বছর পরপর বাজারদর হালনাগাদ করা হয়। পরে দাম চূড়ান্তভাবে নির্ধারণ করেন ভূমি নিবন্ধন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক। 

উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মো.

নাঈম উদ্দিন বলেন, ২০১০ সালের ভূমি বাজারদর বিধিমালা অনুযায়ী, দুই বছর পর পর জমির দাম নির্ধারণ করা হয়। এ দুই বছরের গড় দাম হিসাবে নতুন দাম নির্ধারণ হয়েছে। বিধিমালার বাইরে কিছু করার নিয়ম নেই। ক্রেতাকে নতুন দাম অনুযায়ী ফি দিতে হবে।

জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে জমি রেজিস্ট্রেশন হয় না বললেই চলে। সার্ভার জটিলতায় নামজারি, রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। এর সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছে জমির দাম নির্ধারণ। কেউ আবেদন করলে পুনর্বিবেচনা করা যায়। তিনি আরও বলেন, দলিল রেজিস্ট্রি কমলে রাজস্ব তো কমবেই।’

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময়কে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

চট্টগ্রামে বিস্ফোরক মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এসএম আলাউদ্দিন এর আদালত এ আদেশ দেন।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মফিজ উদ্দিন বলেন, কারাবন্দি চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক আইনের একটি মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।

২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের জেরে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। প্রতিটি মামলায় চিন্ময়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে নগরের কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করেন। এর জেরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেয় বিএনপি। ওই মামলায় চিন্ময়কে গত ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম পুলিশর কাছে স্থানান্তর করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ