Samakal:
2025-11-03@17:27:15 GMT

লোকজ সাংস্কৃতিক পিঠা উৎসব

Published: 16th, January 2025 GMT

লোকজ সাংস্কৃতিক পিঠা উৎসব

টাঙ্গাইলে লোকজ সাংস্কৃতিক পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার টাঙ্গাইল শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে এই পিঠা উৎসব উদ্বোধন করা হয়। পিঠা উৎসবের পাশাপাশি দিনব্যাপী লাঠি খেলা, হাডুডু, পুঁথিপাঠ, বায়োস্কোপ দেখাসহ নানা লোকজ উৎসবের আয়োজন করা হয়। তিন দিনব্যাপী এই উৎসবের আয়োজন করে টাঙ্গাইল কালচারাল রিফরমেশন ফোরাম।

উৎসব কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্তি পুলিশ সুপার সোহেল রানা। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন টাঙ্গাইল কালচারাল রিফরমেশন ফোরামের উপদেষ্টা হামিদুল হক ওরফে মোহন ও গোলাম আম্বিয়া নূরী, উৎসব কমিটির সদস্য সচিব অনিক রহমান ওরফে বুলবুল প্রমুখ।

উদ্বোধনের দিন লাঠি খেলা ও হাডুডু খেলা হয়। এ খেলা দেখতে আসে নানা বয়সী মানুষ। উৎসবে ৪২টি স্টলে ভাপা পিঠা, দুধের পিঠা, নকশি, চিতই, পাঠিসাপটা, জামাই বরণ পিঠা, ডাল ও তালের পিঠা স্থান পেয়েছে। মেলা প্রাঙ্গণে ঢেঁকিতে চাল ছাঁটা, মুড়ি ভাজা, পুঁথিপাঠসহ গ্রামীণ বিভিন্ন ঐতিহ্য তুলে ধরা হয়। বিকেলে উৎসব মঞ্চে জারিগান ও লালন সংগীতের আয়োজন করা হয়। উৎসব কমিটির সদস্য সচিব অনিক রহমান বুলবুল জানান, শুক্রবার পর্যন্ত এই উৎসব চলবে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘নয়া মানুষ’
  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব