ঢাবিতে সংবাদ মাধ্যমে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের স্মৃতি প্রদর্শনী
Published: 16th, January 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দুই দিনব্যাপী ‘সংবাদ মাধ্যমের পাতায় পাতায় জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ শীর্ষক তথ্যচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মাঠে বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরাম ও সেন্টার ফর বেঙ্গল স্টাডিজের উদ্যোগে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১২টায় এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ঢাবি প্রক্টর ড.
সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রদর্শনীতে জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে পত্রিকাগুলো যে ভূমিকা রেখেছে, মূলত সেটাই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রদর্শনীতে গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিভিন্ন পত্রিকার ফ্রন্ট পেজ, ছবি ইত্যাদির কাটিং এতে প্রদর্শিত হয়েছে। ঢাকাসহ প্রতিটি জেলায় সংগঠিত জুলাই বিপ্লবের স্থিরচিত্রও স্থান পেয়েছে প্রদর্শনীতে।
প্রদর্শনীতে প্রথম আলো, মানবজমিন, নিউ নেশন, যুগান্তর, সংগ্রাম, নয়া দিগন্ত, ইত্তেফাক, সমকাল, ইনকিলাব, ডেইলি স্টারসহ একাধিক মুলধারার সংবাদপত্রে প্রকাশিত জুলাই বিপ্লবের সময়ের উল্লেখযোগ্য সব খবর স্থান পেয়েছে।
বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের প্রচার সম্পাদক ও প্রদর্শনীর আহ্বায়ক আবিদ হাসান রাফি বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সংবাদ মাধ্যমগুলোর গুরুত্ব নিয়ে পাবলিক পরিসরে আলাপ হচ্ছে না। যখন ইন্টারনেট শাটডাউন ছিল, তখন পত্রিকা থেকেই আমরা আন্দোলনের সার্বিক বিষয়ে জানতে পারতাম। পত্রিকাগুলো এ গণঅভ্যুত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। পত্রিকাগুলোর এ অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যই মূলত আমাদের এ আয়োজন।”
বাংলাদেশ তরুণ কলাম লেখক ফোরামের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ইমরান উদ্দীন বলেন, “জুলাই আন্দোলনে ৩৬ জুলাই পর্যন্ত পত্রিকায় প্রকাশিত আন্দোলনের স্মৃতিগুলো আমরা প্রদর্শনের চেষ্টা করেছি। জুলাই অভ্যুত্থানের দুঃসহ দিনগুলোকে মনে মনে জাগিয়ে তোলার মাধ্যমে জুলাই অভ্যুত্থানকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্দেশ্যেই মূলত আমাদের এ আয়োজন। বেশ কয়েকজন আমাদের এগুলো প্রদর্শনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।“
উদ্বোধনের পর প্রক্টর ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, “অনেকে অভ্যুত্থান বলে, আমি বলি বিপ্লব। এখানে শুধু ক্ষমতা নয়, একটা ধারারও পরিবর্তন হয়েছে। এটাকে আমি নতুন বাংলার রেনেসা বলি। আমাদের প্রজন্ম এটার সঙ্গে যত খাপ খাওয়াতে পারবে, ততই বিপ্লব সুসংহত হবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের প্রজন্ম ও তরুণ প্রজন্মের মাঝে একটা গ্যাপ আছে। আমরা তরুণদের ভাবনাকে বুঝতে পারছি না। এ ধরনের আয়োজন যত বেশি হবে, তত আমাদের জন্য তরুণদের বোঝা সহজ হবে। আর এ আয়োজন ডকুমেন্টশনের কাজ করে থাকে এবং একটা ইতিহাসকে বাঁচিয়ে রাখে। এ ধরনের আয়োজন ব্যতীত বিপ্লব বেহাত হয়ে যাবে।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি থাকতে হবে: নাহিদ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, “জুলাই সনদ হতে হবে, জুলাই সনদের ভিত্তিতেই নির্বাচন হবে। জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি থাকতে হবে। নির্বাচিত যে সরকার আসুক এই সদন বাস্তবায়নে বাধ্যবাধকতা থাকবে।”
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় গাজীপুরের রাজবাড়ি সড়কে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, “৫ আগস্টের মধ্যে জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র হতেই হবে। এর বিকল্প আমরা দেখতে চাই না। সরকার সনদের খসড়া প্রকাশ করেছে। জুলাই সনদ শুধু সংস্কার হলে হবে না, এটি কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, সে বিষয়ে ঐক্যমত হতে হবে।”
আরো পড়ুন:
ভাসানীরা না থাকলে শেখ মুজিব কখনো তৈরি হতেন না: নাহিদ
গণঅভ্যুত্থান না হলে নির্বাচনের স্বপ্নই দেখতে পারতেন না: নাহিদ
তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি, ৫ আগস্টের আগেই অন্তবর্তীকালীন সরকার এবং সব রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ ও জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করতে পারবেন। আমরা সবাই মিলে আকাঙ্ক্ষিত গণঅভ্যুত্থানের একবছর উদযাপন করতে পারব।”
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, কেন্দ্রীয় সংগঠক আব্দুল্লাহ আল মুহিম, মো. মহসিন উদ্দিন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গাজীপুরের সাবেক আহ্বায়ক নাবিল আল ওয়ালিদ।
এনসিপির পথসভাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার সকাল থেকে গাজীপুরের বিভিন্ন মোড়ে ও সমাবেশস্থলে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাতে সন্দেহভাজনদের তল্লাশি করা হয়। রাজবাড়ীর সড়কে বন্ধ থাকে সব ধরনের যান চলাচল।
এর আগে, এনপিপির কেন্দ্রীয় নেতরা টাঙ্গাইলের পথসভা শেষে গাজীপুরে কালিয়াকৈরে উপজেলা হয়ে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা যান। সেখানে বিকেলে পথসভা শেষে গাজীপুর শহরের রাজবাড়িতে আসেন তারা।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ