মরক্কোতে নৌকা ডুবে ৪৪ পাকিস্তানির মৃত্যু
Published: 16th, January 2025 GMT
মরক্কোর কাছে ৮৬ জন যাত্রী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে। নিহতদের মধ্যে ৪৪ জন পাকিস্তানি রয়েছে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।
অভিবাসী অধিকার সংস্থা ওয়াকিং বর্ডার্স জানিয়েছে, ২ জানুয়ারি মৌরিতানিয়া নৌকাটি ছেড়ে এসেছিল। এতে ৬৬ পাকিস্তানিসহ ৮৬ জন অভিবাসী ছিলেন। পশ্চিম আফ্রিকা থেকে স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে যাওয়ার সময় নৌকাটি ডুবে যায়। বুধবার আরেকটি নৌকা থেকে ৩৬ জনকে উদ্ধার করেছে মরক্কো কর্তৃপক্ষ।
ওয়াকিং বর্ডার্সের প্রধান নির্বাহী হেলেনা ম্যালেনো এক্স-এ বলেছেন, ডুবে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৪ জন পাকিস্তানের বাসিন্দা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি বলেছেন, “তারা ১৩ দিন ধরে ক্রসিংয়ে যন্ত্রণার মধ্যে কাটিয়েছে, কিন্তু কেউ তাদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেনি।”
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, “পাকিস্তানিসহ বেশ কয়েকজন বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি দাখলার কাছে একটি শিবিরে আটকা আছেন। রাবাতে আমাদের দূতাবাস স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছে। এছাড়া, পাকিস্তানি নাগরিকদের সুবিধার্থে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য দূতাবাসের একটি দল দাখলায় পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।