মরক্কোর কাছে ৮৬ জন যাত্রী বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে। নিহতদের মধ্যে ৪৪ জন পাকিস্তানি রয়েছে। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর এ তথ্য জানিয়েছে।

অভিবাসী অধিকার সংস্থা ওয়াকিং বর্ডার্স জানিয়েছে, ২ জানুয়ারি মৌরিতানিয়া নৌকাটি ছেড়ে এসেছিল। এতে ৬৬ পাকিস্তানিসহ ৮৬ জন অভিবাসী ছিলেন। পশ্চিম আফ্রিকা থেকে স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে যাওয়ার সময় নৌকাটি ডুবে যায়। বুধবার আরেকটি নৌকা থেকে ৩৬ জনকে উদ্ধার করেছে মরক্কো কর্তৃপক্ষ।

ওয়াকিং বর্ডার্সের প্রধান নির্বাহী হেলেনা ম্যালেনো এক্স-এ বলেছেন, ডুবে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৪৪ জন পাকিস্তানের বাসিন্দা বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি বলেছেন, “তারা ১৩ দিন ধরে ক্রসিংয়ে যন্ত্রণার মধ্যে কাটিয়েছে, কিন্তু কেউ তাদের উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেনি।”

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, “পাকিস্তানিসহ বেশ কয়েকজন বেঁচে যাওয়া ব্যক্তি দাখলার কাছে একটি শিবিরে আটকা আছেন। রাবাতে আমাদের দূতাবাস স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছে। এছাড়া, পাকিস্তানি নাগরিকদের সুবিধার্থে এবং প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য দূতাবাসের একটি দল দাখলায় পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০

বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।

যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ