আমি যেন দেখে যেতে পারি
ফারুক মাহমুদ
ক্ষমতার পাশে থাকে অধিকাংশ মানুষের স্বভাবের গতি
কে কাকে ডিঙিয়ে যাবে। যোগ্যত্যা দক্ষতা নয়, দাপটের আঁচে
পুড়িয়ে উড়িয়ে দেবে বিনীত অর্জনগুলো। বেড়ে যাবে ক্ষতি
গানের বাগানপথে। তাতে কিছু এসে যায়! কে মরে কে বাঁচে
ও-সব তো লেখা হয় কাগজের উল্টোপিঠে– ধুলোপড়া ভাঁজে
চালাকি তাদের খেলা। ছলনার শতপ্রস্ত ঠোঁটে ঠোঁটে হাসে
ক্ষীণ কণ্ঠে বলে যায়– ‘সততার কোন নিষ্ঠা লাগে কোন কাজে!’
শিকড় ছড়িয়ে থাকে কাঁটার বিকট দৃশ্যে,
সুবিধার পাশে
যখন প্রস্থানে যাব, একবার, আমি যেন দেখে যেতে পারি
সকল দুয়ার খোলা, ঘরে ঘরে শুভচিন্তা হয়ে আছে দ্বারী
প্রিয় রং
দ্বিত্ব শুভ্রা
তরুণ স্পার্টান মেঘের ভিড় আকাশে, বাহনে ইন্দ্র।
ধনু ছুটে এলো এ বাড়ির ছাদে
তুমি উঠে গেলে, খোলা চুল–
প্রজাপতি বৃষ্টি ছুঁয়ে গেল খুব, তুমি ভিজছো
আরও ভিজবে।
ওই শরীরে এখনও অন্য পুরুষের গন্ধ
টের পাই!
অতিথি
এমরান কবির
এখনও তুচ্ছ পাখি! এতকাল পর!
পালক নিভিয়ে গেলে
কোন ফুল প্রস্ফুটিত হবে! সে তো ছিল
বাহিরে বাহিরে পাখি ভেতরে ভেতরে ফুল
পাপড়ি-ডানায় ভাসে, ঠোঁটে ঠোঁটে ফোটে তার
নদী-রেণু-কূল
কেন তবে এইসব বিধ্বংসী বৈঠক!
ক্ষুধা? নাকি শখ? বুঝি না এসব
তাই
নীরব কালিতে লিখি সূর্যোদয়ের সবক
তুমি ঠিক ঘুরে ফিরে পাখির ভেতরে ডাকো
ফুলের প্রতীক্ষা গান
ঘড়িগুলো ফুটপাতে ফেলে আকাশ দু’হাতে নিয়ে
আমি
পালকে পালকে করি তীরবিদ্ধ তীরের সন্ধান
তাতে লেগে থাকে রক্ত, প্রাণ তো আর নাই
পাখির উড়ন্ত রোদে এভাবেই হয়ে যায়
শীতাগত ছিনতাই
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
হাইতিতে গ্যাং হামলায় ৫০ জনের বেশি নিহত
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশ হাইতিতে গত সপ্তাহে একাধিক গ্যাং হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতীয় মানবাধিকার প্রতিরক্ষা নেটওয়ার্কের (আরএনডিডিএইচ) তথ্যানুসারে, সংকটে জর্জরিত দেশটিতে সর্বশেষ ভয়াবহ গণহত্যার ঘটনা এটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্যারন’স।
গতকাল সোমবার এএফপিকে পাঠানো এক প্রতিবেদনে আরএনডিডিএইচ জানায়, গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের উত্তর এলাকায় এই হামলাগুলো ঘটে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘২০২৫ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিহত হওয়া বহু মানুষের লাশ এখনও পাওয়া যায়নি। লাশগুলো এখনও ঝোপের মধ্যে পড়ে আছে এবং কুকুর লাশগুলো খেয়ে ফেলেছে।’
পশ্চিম গোলার্ধের সবচেয়ে দরিদ্র দেশ হাইতি। দেশটির একটি অংশ ও রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের বেশিরভাগ এলাকা সশস্ত্র গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণে থাকায় সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
২০২৪ সালের শুরুর দিকে গ্যাংগুলোর একটি জোট লাগাতার হামলা শুরু করলে পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। যার ফলে প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরি পদত্যাগ করেন এবং প্রেসিডেন্টের অন্তর্বর্তীকালীন পরিষদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন।
হাইতির পুলিশকে সমর্থন করার জন্য কেনিয়ার নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনী মোতায়েন করার পরও সহিংসতা দমন করা সম্ভব হয়নি।
আরএনডিডিএইচ জানিয়েছে, ভিভ আনসানম গ্যাং জোট, যারা ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে ক্যাবারেট শহরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তারা গত সপ্তাহে নিকটবর্তী ল্যাবোডেরি শহরে বেসামরিক জনগণের বিরুদ্ধে অত্যন্ত নিষ্ঠুর গণহত্যা চালিয়েছে। শহরটি রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্স থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত।
সংস্থাটি আরো জানায়, ‘তারা ৫০ জনেরও বেশি মানুষকে হত্যা করেছে এবং বেশ কয়েকটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।’
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ‘বেঁচে থাকা কয়েকজন পার্শ্ববর্তী এলাকায় পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। অন্যান্যরা আক্রমণকারীদের হাত থেকে বাঁচতে নৌকায় করে সমুদ্রে পালিয়ে যায়।’
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গত মাসে সতর্ক করে বলেছেন, হাইতিতে ‘রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব ভেঙে পড়ছে।’
তিনি নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করে বলেন, হাইতির রাজধানীর বাইরেও সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানকার ৯০ শতাংশ অঞ্চলের ওপর গ্যাংগুলোর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।
রবিবার, তিনি ক্যাবারে কমিউনে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন এবং দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় ‘সরবরাহ, কর্মী ও তহবিল দিয়ে বহুজাতিক নিরাপত্তা সহায়তা মিশনকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথমার্ধে হাইতিতে কমপক্ষে ৩ হাজার ১৪১ জন নিহত হয়েছে।
ঢাকা/ফিরোজ