“আপনাদের ভালোবাসায়, আপনাদের দোয়ায়, আল্লাহ তালার ইচ্ছায় এই দেশ পরিচালনার দায়িত্ব যদি আমাদের হাতে আসে, তাহলে আমরা দেশের মালিক নয়, কসম খেয়ে বলছি আমরা দেশের সেবক হবো” বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে পথসভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “লড়াই এখনও শেষ হয়নি। সুষ্ঠু একটা নির্বাচন আদায় করার জন্য অনেক লড়াই এখনও আমাদের সামনে রয়ে গেছে। কালো টাকা আর পেশিশক্তি যেন আমার বুকের অধিকার কেড়ে নিতে না পারে। এখন থেকে হক মজবুত করতে হবে। বলে দিতে হবে আমরা মানুষ। আমরা সাধারণ কোনো প্রাণি নিই যে, তোমাদের টাকার কাছে বিক্রি হবো। আমরা আর কালো টাকার মালিকদের বরদাস্ত করব না।”
তিনি আরো বলেন, “আজকে এই দিকে ফুস করে, কালকে ওইদিকে মাথা তুলে। ইতিপূর্বে যতগুলো ষড়যন্ত্র হয়েছে ছাত্র-জনতা আল্লাহর রহমত নিয়ে সবগুলো ব্যর্থ করে দিয়েছে। শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পালিয়ে গিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। এই জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামীর সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দিবে।”
অনুষ্ঠানে জামায়াতের কেন্দ্রীয় সূরা সদস্য অধ্যাপক মতিয়ার রহমান, জেলা জামায়াতের আমীর আলী আজম, ঝিনাইদহ সদর থানা আমির ড.
ঢাকা/সোহাগ/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
তদবিরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছি, ষড়যন্ত্রকারীরা আমার পেছনে লেগেছে: তথ্য উপদেষ্টা
তদবিরের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় একটি মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
নিজের বিরুদ্ধে ওঠা তদবির ও লবিংয়ের অভিযোগ নিয়ে সোমবার (২৮ জুলাই) রাত ৩টার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, “আজকাল অনেকের লেজ কাটা যাচ্ছে বলে, আমার বিরুদ্ধে লেগেছেন।”
তথ্য উপদেষ্টা দাবি করেন, তিনি রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে কোনো আপস করেননি এবং প্রস্তাব পেয়ে স্পষ্টভাবে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন।
আরো পড়ুন:
গোপালগঞ্জে সামরিক অভিযানের ভিডিওটি ভুয়া: বাংলা ফ্যাক্ট
ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ঢাবি অধ্যাপক
তিনি লেখেন, “তদবিরের কথা উঠলো যখন, একটা ঘটনা বলি। আমাদের এক বন্ধু একজন ব্যক্তিকে আমার ভাইয়ার সাথে দেখা করায়। বিটিভির একটা টেন্ডারের কাজ করে দিলে তারা পার্সেন্টেজ দিবে এবং জুলাই নিয়ে কয়েকটা দেশে প্রোগ্রামের জন্য হেল্প করবে। আমি জানার পর এটা নিষেধ করে দেই। সদুদ্দেশ্যে হলেও রাষ্ট্রের আমানতের খেয়ানত করা যাবে না। পরবর্তীতে সে টেন্ডারের কাজ ও স্থগিত হয়।”
“সে ব্যক্তি কনভার্সেশন রেকর্ড করে একজন সাংবাদিককে পাঠায়। সে সাংবাদিক যোগাযোগ করলে আমি বলে দিই, ভাই আমরা একাজ করতে দেইনি। আর, ওই লোক ফাঁসানোর উদ্দেশ্যেই জুলাইয়ের প্রোগ্রামের কথা বলে একাজ করেছে। উনি আমার কথা বিশ্বাস করে আর রেকর্ডটি পাবলিক করেননি। ”
তিনি বলেন, “আজকাল অনেকের লেজকাটা যাচ্ছে বলে, আমার বিরুদ্ধে লেগেছেন। বিভিন্ন দলের কয়েকজন মহারথী এতে জড়িত। সব ষড়যন্ত্রই প্রকাশ পাবে।” প্রথমে নতুন দলের কয়েকজন মহারথী জড়িত লিখলেও কিছুক্ষণ পর তা পরিবর্তন করে বিভিন্ন দলের লেখেন।
তিনি আরো লেখেন, “পুনশ্চঃ আমার নিকৃষ্ট শত্রুরাও গত ১২ মাসে আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ করলেও দুর্নীতি বা আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগ করেনি। বিভিন্ন দলের মহারথীদের অনেক অসুবিধা হচ্ছে তাতে। রাষ্ট্রের দায়িত্ব পবিত্র আমানত। হাজারকোটি টাকার চাইতেও ইজ্জত ও রাষ্ট্রের আমানত আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।”
সংশোধনের বিষয়ে তিনি লেখেন, “বিঃদ্রঃ কয়েকটা বাক্য নিয়ে অযথাই জলঘোলা হচ্ছে, তাই এডিট করে দিলাম। জুলাই কতিপয় লোকের কাছে পলিটিকাল মবিলিটির ল্যডার।একটা না কয়েকটা দলের মহারথীরাই আমার/আমাদের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। কিন্তু, সবার এখন গুজববাজ আর সুবিধাবাদী বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকা দরকার।”
ঢাকা/ইভা