ব্রাজিলের তারকা নেইমার জানিয়েছেন, ২০২১ সালে লিওনেল মেসি যখন পিএসজিতে যোগ দেন তখন কিলিয়ান এমবাপ্পে তাকে কিছুটা হিংসা করতেন। অবশ্য সেটার কারণ ছিলেন নেইমার নিজে। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) এক পডকাস্টে তিনি এমনটাই বলেছেন সাবেক পিএসজি তারকা।

পডকাস্টে বিশ্বকাপ জয়ী রোমারিও ৩২ বছর বয়সী নেইমারকে জিজ্ঞাসা করেন এমবাপ্পে কি বিরক্তিকর? জবাবে নেইমার বলেন, ‘‘না, সে বিরক্তিকর নয়। তার জন্য আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক শুভকামনা। তার সঙ্গে আমার কিছুটা ঝামেলা ছিল। কিন্তু সে আমাদের দলের জন্য অপরিহার্য ছিল। তাকে আমি গোল্ডেন বয় বলে ডাকতাম।’’

‘‘আমি সব সময় তার সঙ্গে খেলেছি। সে বিশ্বের অন্যতম সেরা হওয়ার দৌড়ে ছিল। আমি সর্বদা সহায়তা করতাম, তার সঙ্গে কথা বলতাম। মাঝে মাঝে সে আমার বাসায় আসতো। আমরা একসঙ্গে রাতের খাবার খেতাম। আমাদের মধ্যে খুব ভালো সময় কেটেছিল। কিন্তু যখন মেসি আসলো তখন সে কিছুটা হিংসুটে হয়ে উঠলো। সে আসলে চাইতো না আমার সঙ্গে অন্য কারও খুব ভালো সম্পর্ক তৈরি হোক। আমাদের দুজনের মধ্যে অন্য কেউ আসুক। এরপর আমাদের মধ্যে ঝামেলা হলো। আমাদের আচরণে পরিবর্তন আসলো।’’

আরো পড়ুন:

‘ফার্গি টাইমে’ ম্যাচ জিতে আমোরিম জানালেন ম্যানইউ ভালো খেলেনি 

এন্ড্রিকের জোড়া গোলে কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল

এমবাপ্পে মোনাকো থেকে ২০১৭ সালে পিএসজিতে যোগ দিয়েছিল। একই বছর নেইমারও রেকর্ড দল বদল ফিতে বার্সেলোনা ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন পিএসজিতে। তাদের দুজনকে পিএসজি দলে নিয়েছিল উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জেতার জন্য। যদিও সেটা এখনও তাদের জেতা হয়নি।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল এমব প প

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলে ফের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লো ইরান

ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইরান। রবিবার মধ্যরাতে ইসরায়েলজুড়ে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর পর, সোমবার (১৬ জুন) ভোর হতে না হতেই দ্বিতীয় দফায় ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে তেহরান।সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েলে ইরানের এটি দশম আক্রমণ।

টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, সোমবার ভোরে ইরান নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পরপরই ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হোম ফ্রন্ট কমান্ড সাধারণ ইসরায়েলিদের বোমা শেল্টার ও আশ্রয়কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশ দিয়েছে।

তেহরান টাইমস জানিয়েছে, রবিবার রাতে ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের বন্দরনগরী হাইফায় সরাসরি আঘাত হানে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের কঠোর সেন্সরশিপ সত্ত্বেও, অনলাইনে প্রচারিত ফুটেজে হাইফায় একটি বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র আগুনে পুড়ে গেছে বলে দেখা গেছে। অঞ্চল জুড়ে ব্যাপক বিদ্যুৎ বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে। তেল আবিবের একাধিক স্থানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

আরো পড়ুন:

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইসরায়েলের হামলা

ইসরায়েলের নতুন হামলায় ইরানের আইআরজিসির গোয়েন্দা প্রধান নিহত

রবিবার রাতে ইরান ইসরায়েলের নেগেভ মরুভূমি এবং কিরিয়াত গাটের কৌশলগত স্থানগুলোর পাশাপাশি হাইফার অন্যান্য অঞ্চলগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে। এতে ইসরায়েলের সামরিক ও অর্থনৈতিক অবকাঠামোর উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে তেহরান।

আগের দিনগুলোতে, ইরান ইসরায়েলের বৃহত্তম তেল শোধনাগার এবং ১৫০টিরও বেশি সামরিক ও গোয়েন্দা স্থাপনায় হামলা চালানোর দাবি করেছে।

শুক্রবার ভোরে তেহরানের আবাসিক ভবন ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে ইসরায়েলের ব্যাপক হামলা চালানোর পর ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়।

তেহরান জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৭ জন ইরানি সামরিক কর্মকর্তা, ৯ জন পরমাণু বিজ্ঞানী এবং ২২০ জনেরও বেশি ইরানি বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন।

ইরান ইসরায়েলকে ‘অসহায়’ না করা পর্যন্ত আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ