ঘরের বাইরে খেটেখুটে রোজগার করলেও ঘরের কাজের বিষয়ে উদাসীন, এমন পুরুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাঁদের সংসারের বেশির ভাগ কাজ নারীদেরই সামলাতে হয় বাধ্য হয়ে। এ নিয়ে অশান্তিও হয়। পুরুষের এ মানসিকতার পেছনে তাঁর বেড়ে ওঠাটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এ বিষয়ে শিশু-কিশোর ও পারিবারিক মনোরোগবিদ্যার সহকারী অধ্যাপক এবং যুক্তরাজ্যের সিনিয়র ক্লিনিক্যাল ফেলো ডা.                
      
				
নিজের ঘরে আরাম-আয়েশে থাকতে চাইবেন যে কেউই। তবে তার মানে এই নয় যে একজন জীবনসঙ্গী সব সময়ই সংসারের সব কাজ সামলে দেবেন অপরজনের জন্য। দুজন মিলে জীবনের পথ পাড়ি দেওয়ার নামই তো সংসার।
সংসার দুজনেরইবাসার সব কাজ স্ত্রীর ওপর না চাপিয়ে নিজেও কিছু ভাগ করে নিন।উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুবিনের মৃত্যু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিস্ফোরক মন্তব্য
গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মারা যান ভারতের বরেণ্য সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গ। তার মৃত্যু নিয়ে ক্রমশ ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে। এ গায়কের মৃত্যু মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নির্দেশে জুবিন গার্গের মৃত্যুতদন্তের জন্য গত সেপ্টেম্বর মাসে ‘সিট’ গঠন করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে চার্জশিট জমা দেবেন তদন্তকারীরা। তার আগে জুবিনের মৃত্যু নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত শর্মা।
আরো পড়ুন:
ঋত্বিক ঘটক কীভাবে বিধু বিনোদ চোপড়ার নাম রাখেন?
দুই গায়িকার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, দ্বন্দ্ব চরমে
ষড়যন্ত্রের আশঙ্কা করে মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত শর্মা ভারতীয় গণমাধ্যমে বলেন, “১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে জুবিনের রহস্যমৃত্যুকে ‘দুর্ঘটনা’ বলে উল্লেখ করব না। ডিসেম্বর মাসের ১৭ তারিখ জুবিন গার্গের ‘খুন’ এর চার্জশিট জমা দিতে হবে। যদিও আমি ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে বলেছি। আমরা সবদিক থেকে প্রস্তুত।”
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বিদেশে কোনো ঘটনা ঘটলে চার্জশিট দাখিলের আগে আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। গতকাল আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকেও বিষয়টি জানিয়েছি, যাতে উনি দ্রুত অনুমোদন দিতে পারেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সিটের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি যাবে। অনুমোদন পেলে, আমরা ৮, ৯ কিংবা ১০ ডিসেম্বর চার্জশিট দাখিল করব।”
গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরের সেন্ট জন’স দ্বীপ থেকে অচেতন অবস্থায় গায়ক জুবিনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিনই সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এরপর প্রাথমিক তদন্ত ও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ভারতের হাইকমিশনকে সরবরাহ করে সিঙ্গাপুর পুলিশ। তাতে কারণ হিসেবে স্পষ্ট লেখা—“ডুবে যাওয়া”। সাঁতার কাটতে গিয়েই তার মৃত্যু হয়েছে। এরপরও উত্তপ্ত হয়ে পড়ে আসামবাসী। বিষয়টি সিঙ্গাপুর পুলিশও জানতে পারেন।
গত ১৭ অক্টোবর দুপুরে সিঙ্গাপুর পুলিশ অফিসিয়ালি একটি বিবৃতি প্রকাশ করে। এ বিবৃতিতে বলা হয়, “মিস্টার জুবিন গার্গের মৃত্যু নিয়ে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া জল্পনা-কল্পনা ও ভুয়া তথ্য সম্পর্কে অবগত সিঙ্গাপুর পুলিশ ফোর্স। বর্তমানে এই মামলা সিঙ্গাপুরের ‘করোনার্স অ্যাক্ট ২০১০’-এর অধীনে তদন্তাধীন। প্রাথমিক তদন্তে, পুলিশ অপরাধমূলক কোনো কিছুই পায়নি।”
সিঙ্গাপুল পুলিশের তদন্ত শেষ হতে ৯০ দিন সময় লাগতে পারে। এ তথ্য উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, “এ মামলার তদন্ত সম্পূর্ণ করতে আরো তিন মাস বা আরো কিছুটা সময় বেশি লাগবে। তারপর তদন্ত রিপোর্ট সিঙ্গাপুরের স্টেট করোনারের কাছে জমা দেওয়া হবে।”
জুবিনের মৃত্যুতে আসাম পুলিশ খুনের মামলা দায়ের করেছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর জুবিনের টিমের ড্রামার শেখর জ্যোতি গোস্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পয়লা অক্টোবর গ্রেপ্তার হন জুবিনের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ শর্মা ও নর্থ-ইস্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজক শ্যামকানু মহন্ত। ৩ অক্টোবর প্রেপ্তার করা হয় জুবিনের টিমের গায়িকা অমৃতপ্রভ মহন্তকে। তাছাড়াও গ্রেপ্তার হয়েছেন জুবিনের এক কাজিন।
ঢাকা/শান্ত