রংপুর রাইডার্সের জয়রথ ছুটছেই। এবার চিটাগং কিংসকে হারিয়ে চলতি বিপিএলে টানা অষ্টম জয় তুলে নিলো নুরুল হাসান সোহানের দল। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চিটাগংকে ৩৩ রানে হারায় রংপুর। আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৬৪ রান করে তারা। জবাবে ১৩১ রানে শেষ হয় চিটাগংয়ের ইনিংস।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা রংপুর রাইডার্সের শুরুটা ভালো ছিল না। বিনুরা ফার্নান্ডো-মারুফ মৃধাদের প্রথম দুই ওভারের সুইংয়ে রীতিমত ঘাম ঝরেছে রংপুরের দুই ওপেনার তৌফিক খান আর স্টিভেন টেলরের। সাইফ ও টেলর জুটি গড়লেও তেমন দ্রুত রান তুলতে পারেননি তারা। এর মধ্যে টানা তিন ওভারে সাইফ, টেলর এবং ইফতিখার আহমেদের উইকেট হারায় রংপুর। রান বাড়াতে খুশদিল শাহ একাই চেষ্টা চালালেন, তবে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি নুরুল হাসান সোহান।

রংপুরের অধিনায়ক ফিরে যাওয়ার পরও খুশদিল তার ঝোড়ো ইনিংস চালিয়ে যান। মারুফ মৃধার পর মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রকে এক ওভারে তিনটি ছক্কা মারেন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করা খুশদিল ২৮ বলে ৫৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। শেষদিকে শেখ মেহেদী ১২ বলে করেন ১৭ রান। আর শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ১৬৪ রানে পৌঁছে দেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। চিটাগংয়ের আলিস আল ইসলাম ২৮ রানে আর মোহাম্মদ ওয়াসিম ৪২ রানে নেন দুটি করে উইকেট।

১৬৫ রানের লক্ষ্যে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো দলটি কোনো অবস্থাতেই জয়ের দৌড়ে ছিলো না। শামিম হোসেন পাটোয়ারি ছাড়া আর কেউ পারেননি দাপট দেখাতে। যদিও তার ৩১ বলে ৩৮ রানের ইনিংস কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নদের জয়রথ থামাতে পারেনি চিটাগং।

টানা আট ম্যাচের সবকটিতে জিতে সবার আগে প্লে-অফে নুরুল হাসান সোহানরা। আর হারলেও ৬ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরেই আছে চিটাগং। নেট রান রেটে পিছিয়ে থাকা বরিশাল আছে ৩ নম্বরে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর

* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।

* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।

* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।

শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।

এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।

আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫

দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।

গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।

টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ