রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট চূড়ান্ত করতে হবে: মির্জা ফখরুল
Published: 19th, January 2025 GMT
‘সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্যে কোনো বিরোধ নেই, দুটো একসাথেই চলতে পারে’ এ কথা বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট চূড়ান্ত করতে হবে। নির্বাচনের মধ্য দিয়েই জনগণের কাছে যাওয়া সম্ভব, জনআকাঙ্খা পূরণ করা সম্ভব। রোববার সকালে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে তাঁর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণা তাড়াতাড়ি হওয়া উচিত উল্লেখ করে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ছয় মাসের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান করে ফেলা অসম্ভব। এজন্য নির্বাচনের ঘোষণাটা তাড়াতাড়ি দরকার। বিগত ১৬ বছর দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের চেষ্টা হয়নি, আবার চেষ্টাটা চালু করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, চার সংস্কার কমিশন যেসব সুপারিশ দিয়েছে তা বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমত প্রয়োজন। ঐক্যমত ছাড়া এসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়।
রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন এবং সরকারের সহযোগিতা ছাড়া সুপারিশ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের হাজারও নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম র জ ফখর ল ইসল ম আলমগ র র জন ত ক ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
মানুষের প্রয়োজনে না এলে সেই সংস্কার কাজে আসবে না: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম যদি মানুষের প্রয়োজনে না আসে, শিশুদের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করতে না পারে, শিশুদের জন্য নিরাপদ জীবন গড়ে দিতে না পারে, তাহলে সে সংস্কার কোনো কাজে আসবে না।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ মাঠে ‘গণতান্ত্রিক পদযাত্রায় শিশু’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
আমরা বিএনপি পরিবার আর মায়ের ডাক যৌথভাবে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে গুমের শিকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া শিশুদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, পরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তী সরকার শিশুদের (গুমের শিকার ব্যক্তিদের সন্তান) পুনর্বাসনের জন্য একটি স্পেশাল সেল গঠন করবে। অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, কাজটি হয়নি। আশা করব, দেরিতে হলেও অন্তর্বর্তী সরকার তাদের জন্য কিছু করবে।’
অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত গুম কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘একটি কমিশন করা হয়েছে। এই কমিশন এখন পর্যন্ত একটা রিপোর্ট নাকি করেছে। কিন্তু তাদের এই যে খোঁজ করা, এ বিষয়ে খুব বেশি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে মনে হয় না।’
গুমের শিকার ব্যক্তিদের নিয়ে আয়োজিত কোনো অনুষ্ঠানে এলে ‘ভারাক্রান্ত হন’ উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ পরিবারগুলো যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, আমরা কিন্তু সেই ত্যাগ অনেকেই করতে পারিনি। যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে শিশুদের বলতে শুনি যে আমি আমার বাবাকে দেখতে চাই, বাবার হাত ধরে স্কুলে যেতে চাই, ঈদের মাঠে নামাজ পড়তে যেতে চাই, তখন আমি আমার আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।’
গুমের শিকার বিভিন্ন ব্যক্তি ও জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া শিশুদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রাজধানীর বনানীর কামাল আতাতুর্ক অ্যাভিনিউ মাঠে, ২৯ জুলাই