তিন অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি কিনে বিপাকে বেবিচক
Published: 19th, January 2025 GMT
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের জন্য ৪০ কোটি টাকায় কেনা ৩টি অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি নিয়ে বিপাকে পড়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল (বেবিচক) কর্তৃপক্ষ।
তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পের টাকায় কেনা এসব গাড়ির বয়স এক বছর পার হলেও নানা কারণে এগুলো বুঝে নেয়নি বেবিচক। ফলে গাড়িগুলো শাহজালাল বিমানবন্দর এলাকার ফায়ার স্টেশনের সামনে এখন খোলা জায়গায় অযত্নে পড়ে আছে।
বেবিচক কর্মকর্তারা জানান, আমদানির সময়েই গাড়িগুলোর ব্যাটারিসহ অধিকাংশ যন্ত্রাংশ নষ্ট ছিল। গত সরকারের আমলে এই তিনটি গাড়ি ক্রয়ে অর্থের নয়ছয় হয়েছে। দরপত্রের নিরাপত্তা নির্দেশনা অনুসারে গাড়ি তিনটি কেনা হয়নি। অধিকাংশ যন্ত্রাংশ নষ্ট থাকার পরও কীভাবে গাড়ি তিনটি আমদানি করা হলো, তা নিয়ে কারও কাছে উত্তর নেই।
জানা গেছে, গত বছরের শুরুর দিকে এয়ারপোর্ট ঢাকা কনসোর্টিয়ামের (এডিসি) মাধ্যমে চীন থেকে কেনা হয়েছে এসব গাড়ি। তবে এডিসি সরাসরি কোনো মাল ক্রয় করে না। ইউনিমেক নামে বাংলাদেশি একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গাড়ি তিনটি আমদানি করা হয়। তবে এ বিষয়ে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কোনো বক্তব্য জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া বলেন, আগের চেয়ারম্যানের সময় তৃতীয় টার্মিনাল ফায়ার স্টেশনের জন্য যেসব গাড়ি কেনা হয়েছে, তা নষ্ট থাকলে বুঝে নেওয়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। গাড়িগুলো আমদানির ক্ষেত্রে কোনো নয়ছয় হলে তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগের চেয়ারম্যানও গাড়ি তিনটি বুঝে নেননি।
এ ব্যাপারে বিমানবন্দর তৃতীয় টার্মিনাল প্রকল্পসংশ্লিষ্ট কয়েক কর্মকর্তা জানান, অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনায় এরই মধ্যে প্রকল্প পরিচালক একেএম মাকসুদুর রহমানকে অপসারণ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও জাল- জালিয়াতির মাধ্যমে প্রকল্পের হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধানে কাজ শুরু করেছে দুদক।
এ বিষয়ে বিমানবন্দরের পরিচালক বলেন, তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে কিনা, তদন্ত করছে দুদক। আগেই এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা যাচ্ছে না।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহে ছেলের হাতে বাবা খুন
ঝিনাইদহে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের কোদালের কোপে শাহাদত হোসেন (৬৩) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফয়সাল হোসেনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৬ জুন) সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহাদত হোসেন ওই গ্রামের তাইজেল হোসেনের ছেলে।
নিহতের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, সকাল ১০টার দিকে শাহাদত হোসেন ছেলে ফয়সাল হোসেনকে সাথে নিয়ে মাঠে কাজ করতে যান। কাজ করার ফাঁকে ফয়সাল কোদাল দিয়ে তার বাবার মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মৃত বাবাকে মাঠে রেখে বাড়িতে গিয়ে মাকে পুরো ঘটনা জানান ফয়সাল। স্বজনেরা দ্রুত মাঠে গিয়ে শাহাদতের লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন।
আরো পড়ুন:
কারাগারে ‘ফাঁস নিলেন’ জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সুজন
মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ফয়সাল হোসেন দুই বছর ধরে মানসিক বিকারগ্রস্ত। পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কিছুদিন আগে বাড়িতে ফিরেছেন।
ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘‘অভিযুক্ত ফয়সালকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’
ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব