আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপির ১৫ জনের প্যানেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
Published: 19th, January 2025 GMT
চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত ‘সমমনা আইনজীবী ঐক্য’ প্যানেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছে। এতে সমমনা প্যানেলের বাবর বেপারী-জসিম মেহেদী-আতিক প্যানেলের ১৫ প্রাথীই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
রোববার বিকেলে জেলা আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.
নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী রোববার ছিল আপত্তি দাখিল ও আপত্তি শুনানি এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোনো প্রার্থী প্রত্যাহার না করায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার দাখিলকৃত সমমনা প্যানেলের প্রার্থীদেরকে জয়ী বলে ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আইনজীবী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ.এন.এম মাইনুল ইসলাম বলেন, ১৬ তারিখে মনোনয়নপত্র দাখিল করার দিন ধার্য ছিল। ওই দিন পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম একটি প্যানেল দাখিল করেছে। ১৯ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের তারিখ ছিল- যেহেতু একটি প্যানেল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে এবং তারা প্রত্যাহারও করেননি, তাই সঙ্গত কারণেই এ প্যানেলকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করতে হয়েছে।
তিনি জানান, আগামী ২৩ জানুয়ারি জয়ী প্যানেলের কাছে দায়িত্বভার হস্তান্তর করা হবে।
উল্লেখ্য, চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ (আওয়ামী লীগ) বিদ্যমান পরিস্থিতি ও পরিবেশ বিবেচনায় নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। গত ১৬ জানুয়ারি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান চাঁদপুর সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন যারা :
সমমনা আইনজীবী ঐক্য (বিএনপি) প্যানেলের নির্বাচিত কর্মকর্তারা হলেন : সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বাবর বেপারী, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মঞ্জুর আলম চৌধুরী, জুনিয়র সহ-সভাপতি পদে অ্যাডভোকেট মো. ফরিদ আহাম্মদ মিয়া (রিপন), সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন (মেহেদী হাসান), যুগ্ম সম্পাদক পদে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ আতিকুর রহমান, সম্পাদক ফরমস পদে অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন, সম্পাদক লাইব্রেরি পদে অ্যাডভোকেট আবদুল কাদের খান, সম্পাদক সমাজকল্যাণ ও সেমিনার পদে অ্যাড. শাহাদাত সরকার শাওন, জেনারেল অডিটর পদে অ্যাডভোকেট মো. কামাল হোসেন পাটওয়ারী, রানিং অডিটর পদে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মুসলিম মিয়াজী, চেয়ারম্যান রেজিস্টারিং অথরিটি পদে অ্যাডভোকেট মো. সানজিদ হাসান (সনি), সম্পাদক রেজিস্ট্রারিং অথরিটি পদে অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন ফাহাদ, সদস্য রেজিস্টারিং অথরিটি পদে অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান প্রধান, অ্যাডভোকেট তানজীর আহমেদ (মামুন), অ্যাডভোকেট আবদুল কাদের জিলানী (মিল্টন)।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
আবারও নিরপরাধ দাবি হিটু শেখের, ভিন্ন কথা সাক্ষীদের
আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তৃতীয় দিনের মতো গতকাল মঙ্গলবার সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে মাগুরায়। এদিন সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে ১০ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এদিনও মামলার প্রধান আসামি আছিয়ার বোনের শ্বশুর হিটু শেখ আদালত কক্ষে ঢোকার আগে সাংবাদিকদের কাছে নিজেকে নিরপরাধ দাবি করেন। কিন্তু আদালত সূত্র জানায়, সাক্ষীরা প্রত্যেকে হিটু শেখের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন।
এর আগে সোমবার ছিল এই মামলার দ্বিতীয় দিনের সাক্ষ্য গ্রহণ। সেদিনও শুনানি শেষে আদালত থেকে বের হওয়ার সময় হিটু শেখ নিজেকে নিরপরাধ দাবি করেন।
গতকাল কড়া নিরাপত্তার মধ্যে হিটু শেখসহ ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী ও নারী-শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, গত তিন কার্যদিবস টানা সাক্ষ্য গ্রহণ চলেছে। গতকাল ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষীদের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন, আছিয়ার বোন হামিদা ছিলেন। এ নিয়ে মোট ১৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো। এ মামলায় মোট ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। আজ বুধবার মাগুরা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা সাক্ষ্য দেবেন। গতকাল আসামিপক্ষের আইনজীবী স্বাধীনভাবে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। তিনি আদালতে আসামিরা নির্দোষ বলে যুক্তি উপস্থাপন করেন।
গতকালও আদালত কক্ষে ঢোকার আগে হিটু শেখ ঘটনার জন্য তাঁর পুত্রবধূ আছিয়ার বোনকে দায়ী করে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। হিটু শেখ বলেন, ঘটনার সময় আমিসহ আমার দুই ছেলে বাড়িতে ছিলাম না। সকালে বাইরে যাওয়ার সময়ও আছিয়াকে সুস্থ দেখে গেছি। আছিয়ার বোন এ সময় একাই বাড়িতে ছিল। সাংবাদিকরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখেন। দোষী হলে যে শাস্তি হয়, মাথা পেতে নেব।
বোনের বাড়ি বেড়াতে এসে ৬ মার্চ রাতে মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখের ধর্ষণের শিকার হয় ৮ বছরের শিশু আছিয়া। ঢাকা সিমএমএইচে ১৩ মার্চ তার মৃত্যু হয়।