আমদানি মূল্য পরিশোধের সময় বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক
Published: 20th, January 2025 GMT
ডলার সাশ্রয় ও পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে শিল্পের কাঁচামাল এবং কৃষি উপকরণের আমদানি মূল্য পরিশোধের সময় বাড়িয়ে এক বছর করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ (এফইপিডি) এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।
এতে বলা হয়, ব্যাক টু ব্যাক আমদানি, কৃষি উপকরণ ও রাসায়নিক সার আমদানিসহ শিল্পের কাঁচামাল সাপ্লায়ার্স ও বার্সার্স ক্রেডিটের আওতায় আমদানির ক্ষেত্রে বিলম্ব মূল্য পরিশোধ সীমা ১৮০ দিন থেকে বাড়িয়ে ৩৬০ দিনে উন্নীত করা হয়েছে। এ সুযোগ চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বহাল রাখা হবে।
তবে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) ঋণের আওতায় আমদানির ক্ষেত্রে এই সুবিধা প্রযোজ্য হবে না বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।
এর আগে, এসব পণ্য আমদানির বিলম্ব মূল্য পরিশোধ সীমা ৩৬০ দিনে উন্নীত করে গত বছরের ৩০ জুন সার্কুলার জারি করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক; যার মেয়াদ ছিল ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ সাল পর্যন্ত।
নতুন সার্কুলার অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের পর গ্রাহকের নামে বৈদেশিক মুদ্রায় দায় পরিশোধের সময় বাড়ানো যাবে না।
এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জানি করে দেশে কার্যরত সকল বৈদেশিক মুদ্রার ডিলারদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ঢাকা/এনএফ/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ল য পর শ পর শ ধ আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহ শুরু করেছে ইসি
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহের প্রক্রিয়া শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের গুদামে ইতোমধ্যেই এসব নির্বাচনী সরঞ্জাম পৌঁছানো শুরু হয়েছে।
সোমবার বিকেলে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নির্বাচন ভবনের বেসমেন্টে অবস্থিত ইসির গুদামে নির্বাচনী সরঞ্জাম দেখতে যান। এ সময় তারা সংগৃহীত ভোটগ্রহণের বিভিন্ন সরঞ্জাম পরীক্ষা করে দেখেন।
এসব নির্বাচনী সরঞ্জামের মধ্যে রয়েছে ব্যালট বাক্স, লক, ঢাকনা, গানি ব্যাগ, সিল, বিভিন্ন ধরনের ফরম, প্যাকেট ইত্যাদি।
ইসি ঘোষিত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে মাঠ পর্যায়ের নির্বাচনী দ্রব্য, ফরম, প্যাকেট বিতরণের পরিকল্পনা রয়েছে।
নির্বাচনী সরঞ্জাম সংগ্রহের বিষয়ে জানতে চাইলে ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বাসসকে বলেন, ‘আজ বার্ষিক দ্রব্য সংগ্রহের পরিকল্পনা সংক্রান্ত মিটিং করেছি। ইতিমধ্যে নির্বাচনী সরঞ্জাম আসা শুরু হয়েছে।’
ইসি সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ বাসসকে বলেন, ‘ইতোমধ্যেই আমরা কোনো কোনো নির্বাচনী উপকরণ প্রায় অর্ধেক পেয়েছি। আবার কোনো কোনো উপকরণ এখনো আসেনি। আশা করছি, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নির্বাচনী দ্রব্য সামগ্রী পেয়ে যাব।’
ইসি সচিব আখতার আহমেদ জানান, বর্তমানে দেশের ১০টি অঞ্চলের আওতায় ৬৪ জেলায় ৩০০ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৬১ লাখ ৬১ হাজার ২০১ জন। এবার গড়ে প্রতি ৩ হাজার ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র করার ভিত্তিতে মোট ৪২ হাজার ৬১৮টি ভোটকেন্দ্র প্রস্তাব করা হয়েছে। এছাড়া সব মিলিয়ে ভোটকক্ষ হবে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬টি। আগামী ২০ অক্টোবর চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ করা হবে।
নির্বাচনী উপকরণ সংগ্রহের বিষয়ে সম্প্রতি ইসি সচিব সাংবাদিকদের বলেন, ‘এ পর্যন্ত ব্রাস সিল ও সিলগালা বাদে অন্যান্য উপকরণগুলো আমরা পাচ্ছি। সময়সীমা দেওয়া আছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই উপকরণগুলো পাচ্ছি। সেপ্টেম্বরের মধ্যেই সকল দ্রব্য পাওয়া যাবে বলে আমরা আশাবাদী।’